সাপের জিভ থাকে তো জানেন কিন্তু তা দিয়ে কী করে জানলে তাজ্জব হবেন
কলকাতা টাইমস :
প্রথমেই বলে রাখা যেতে পারে, যতই ভয়ঙ্কর দেখাক, সাপ আদতে নিরীহ প্রাণী। নিতান্ত ভয় বা খিদে না পেলে সাপ কারও ক্ষতি করে না। এইবারে আসা যাক জিভের প্রসঙ্গে। সাপের মুখ খুললে প্রথমে জিভটাই ভাল করে চোখে পড়ে না। সাপ অনায়াসে জিভ গুটিয়ে রাখতে পারে মুখের ভিতরে। নীচের দাঁতের সারির আড়ালে সাপ লুকিয়ে রাখে তাদের জিভ। শুধুমাত্র সামনের দিকে চেরা অংশটি দেখা যায়।
খেয়াল করলে দেখা যাবে, সাপ মুখ না-খুলেই তাদের জিভ বের করতে পারে। সাপের উপর এবং নীচের চোয়ালের (মানুষের ক্ষেত্রে যা ঠোঁট) মাঝে, একেবারে মাঝবরাবর একটি গর্ত থাকে। সেখান দিয়েই সাপ তাদের জিভ বের করে দেয়। এই ফুটোকে বলা হয় রসট্রাল গ্রুভ। এই রসট্রাল গ্রুভ দিয়ে বেরিয়ে এসে সাপের জিভ কী করে? মুখ থেকে বেরিয়ে আসার পরে বাতাসে মিশে থাকা রাসায়নিক পার্টিক্ল জিভে অনুভব করতে থাকে সাপ। তার পরে জিভ গুটিয়ে নেয় মুখের ভিতরে। জিভের ডগা সোজা চালান করে দেয় ‘জেকবসন অর্গ্যান’-এ।
কী এই ‘জেকবসন অর্গ্যান’? সাপের মুখের একেবারে উপর দিকে, যাকে বলে টাকরায়, থাকে এই ‘জেকবসন অর্গ্যান’। দু’টি ফুটো থাকে এই ‘জেকবসন অর্গ্যান’-এ। সাপের চেরা জিভের ডগা চালান হয়ে যায় এই ফুটো-জোড়ায়। সাপ বুঝে নেয়, কোথায় কী রয়েছে। স্বাদ নয়, গন্ধ! আজ্ঞে হ্যাঁ, সাপ জিভ দিয়ে যা করে, তা আমাদের গন্ধ শোঁকার সামিল। চেরা জিভের ডগা দিয়ে সাপ পেয়ে যায় তার চারপাশের গন্ধ।