জরুরি কাজটি চেপে রাখলে কী হতে পারে জানলে চোখ কপালে উঠবে
কোনও এক অজানা কারণে বাড়ির বাইরে মলত্যাগ করতে অনেকেই লজ্জা পান। এমনও অনেকে আছেন যারা তক্কে তক্কে থাকেন কখন অফিসের টয়লেটে ফাঁকা থাকবে, আর তখনই মলত্যাগ করতে যাবেন। আর ততক্ষণে! কী আবার, পেট চেপে বসে থাকা। জেনে রাখুন বন্ধুরা সামাজিক লজ্জার ভয়ে এমনভাবে পায়খানা চেপে থাকাটা কিন্তু একেবারেই ভাল নয়। এমন করলে কী হতে পারে জানেন?
একবার ভাবুন তো বাড়ির মধ্যে যদি নোংরা জমিয়ে রাখেন কী হবে? তেমনি শরীরের মধ্যে ময়লা জমলে একাধিক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তাই খুব বিপদে না পড়লে পায়খানা চেপে রাখার চেষ্টা ভুলেও করবেন না। প্রসঙ্গত, কারণে-অকারণে যাদের পায়খানা চেপে রাখার অভ্যাস রয়েছে তাদের কী হতে পারে জানেন?
১. সাধারণত কখন কাজটি চাপে
আমাদের সবারই একটা রুটিন আছে। যেমন ধরুন কেউ সকাল সাতটায় উঠে হালকা হতে যান। কেউ আবার হয়তো প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেন বেলা ২টায়। এমন রুটিন অনুসারে আমাদের শরীরের ভেতরে থাকা বায়োলজিকাল ক্লক মস্তিষ্ককে সিগনাল পাঠায়। তখন আমাদের মলত্যাগের অনুভব হয় । ভাববেন না আবার এটি চাপার ক্ষেত্রে সব সময়ই বায়োলজিকাল ক্লকই দায়ি থাকে। আরও অনেক কারণে বেগ পেতে পারে। এবার আসা যাক দ্বিতীয় ধাপে। এটি চাপার পর তা যখন মলদ্বারে আসে, তখন মস্তিষ্কে বিশেষ একটা সিগনাল গিয়ে পৌঁছায়। আর তখনই শরীরের বাইরে বেরিয়ে পড়ে বর্জ্য।
২. দু-ঘন্টা চেপে রাখলে কী হতে পারে জানেন?
এমনটা করলে ভলেন্টিয়ারি সফিকটার নামে একটি পেশী খুব শক্ত হয়ে যায়। সেই সঙ্গে পেটের মধ্যে গোলাতে শুরু করবে। বমিও পেতে পারে। এখানেই শেষ নয়, সময় যত এগুতে থাকবে, সমস্যা বাড়বে বই কমবে না!
৩. ছয় ঘন্টা পর
এই সময়ের পর বেগ একেবারে কমে যায়। কিন্তু সেই সঙ্গে কনস্টিপেশনের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা মারাত্মক ভাবে বেড়ে যায়। প্রসঙ্গত, একবার কনস্টিপেশনের মতো রোগ যদি শরীরে এসে বাসা বাঁধে তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ! কারণ এমন রোগ সহজে সারতে চায় না। ফলে কষ্ট সময়ের সঙ্গে বাড়তেই থাকে।
৪. ১২ ঘন্টা পরের অবস্থা
সাধারণত এমনটা কেউ করেন না। কিন্তু কেউ যদি কোনও কারণে টানা ১২ ঘন্টা মলত্যাগ চেপে থাকেন, তাহলে ধীরে ধীরে পেট ফুলতে থাকবে এবং সবথেক ভয়ের বিষয় হল করার পরও পেটের এই ফোলাভাব কমবে না।
৫. সব সময় চাপেন নাকি?
বাড়ির বাইরে থাকাকালীন মলত্যাগ চাপার অভ্যাস থাকলে, তা আজই ছাড়ুন। না হলে কিন্তু বেজায় বিপদ! কারণ এমনটা করলে মলত্যাগ পাথরের মতো শক্তো হয়ে যায়। ফলে সহজে শরীরের বাইরে বেরুতে পারে না। ফলে দেহের অন্দরে নোংরা বাড়তে বাড়তে একাধিক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে অনেক সময়ই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মল বার করার চেষ্টা করা ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। তাই ভুলেও মলত্যাগ বেগকে চেপে রাখবেন না। যা বেরুতে চায়, তাকে বেরিয়ে যেতে দেবেন, তাতেই শরীরের মঙ্গল!