সেলফি তোলার ঝোঁকে যা করলেন এই তরুণী, শুনলে চমকে উঠবেন
সেলফির টানে অঘটন বা মৃত্যুর সঙ্গে আমরা যেন অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি। নিজের ছবি তুলতে গিয়ে বিপদ কতটা হতে পারে তা অনেকেরই বোধহয় মাথায় থাকে না। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে সেলফির দৌলতে এমনই এক ঘটনা ঘটল।
শহরের এক প্রদর্শনীতে গিয়ে এক কৌতুহলী কিশোরী লোভ সামলাতে পারেননি। একটি মূর্তির সামনে সেলফি তুলতে গিয়েছিলেন। মুহূর্তের অসতর্কতায় একের পর এক মূর্তি ভেঙে খানখান হয়ে যায়। চোখের সামনে প্রায় ২ লাখ ডলারের সামগ্রী ক্ষতি হওয়ায় কর্তৃপক্ষের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে।
সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলসের একটি অডিটোরিয়ামে চলছিল শিল্পী সাইমন বাইরিচের প্রদর্শনী। সোনা, রুপা, পিতল এবং ফাইবারের কিছু সামগ্রী দিয়ে তৈরি হয়েছিল নানারকম মূর্তি। এসবের টানে হাজির হয়েছিলেন বহু কৌতুহলী। অধিকাংশ উৎসাহী প্রদর্শনীতে ঢুকে ছবি তুলতেই বেশি ব্যস্ত ছিলেন। এখানেই বাধে গোল। এক কিশোরী ছবি তুলতে তুলতে স্ট্যাচুর খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তবু তাঁর যেন ছবি মনঃপুত হচ্ছিল না। আর ভালো ছবি তোলার টানে মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে পোজ দেন ওই কিশোরী। তখনই ঘটে অঘটন। সেলফি তুলতে গিয়ে কিশোরী বুঝতে পারেননি তাঁর পা পেছনের স্ট্যান্ডে ধাক্কা খাচ্ছে।
স্ট্যান্ড নড়ে যাওয়ায় স্ট্যাচুটি পিছনের দিকে হেলে পড়ে। তার পিছনে পরপর ছিল অনেকগুলি স্ট্যান্ড। অভিঘাতে প্রতিটি স্ট্যান্ড মাটিতে পড়ে যায়। প্রথমে বিষয়টি কিছু হয়নি এমন ভাব দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন ওই কিশোরী।
ঘটনায় কার্যত হতবাক হয়ে যান প্রদর্শনীতে থাকা অন্য দর্শনার্থীরা। বিহ্বলতা কাটিয়ে দর্শনার্থীরা বুঝতে পারেন সর্বনাশ হয়ে গেছে। সিসিটিভি থেকে পাওয়া এই ভিডিও দ্রুত ভাইরাল হয়। তিন দিনের মধ্যে ইউটিউবে ভিডিওতে ২৫ লাখ মানুষ দেখেন সে ভিডিও।
প্রদর্শনী সংস্থার তরফে বলা হয়েছে দর্শনার্থীর অনিচ্ছাকৃত ভুলে যেসব মূর্তির ক্ষতি হয়েছে তা মেরামত সম্ভব নয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অন্তত ২ লাখ মার্কিন ডলার। তবে ওই দর্শনার্থীকে কী শাস্তি পেতে হলো তা অবশ্য জানা যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফির টানে জীবনের মূল্য অনেকের কাছে কমে গিয়েছে। আমেরিকার ঘটনা বুঝিয়ে দিল প্রবণতা মারাত্মক আকার নিয়েছে।