আনন্দে হৃদয় তো রাগে যকৃতে ধুকপুকানি, বাকি আবেগের প্রভাব জানলে চমকে উঠবেন
কলকাতা টাইমস :
আবেগ ও শরীরের সম্পর্ক নিয়ে রয়েছে হাজারো বিতর্ক আর কৌতূহলও। বহু গবেষকই আবেগ এবং শরীরের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে গভীর গবেষণা চালিয়েছেন। সম্প্রতি ফিনল্যান্ডের পূর্ব ফিনল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু গবেষক ৫টি পৃথক গবেষণা চালিয়েছেন এই বিষয়টি নিয়ে। যেখানে ৭০০ জনের উপরে পরীক্ষা চালানো হয় এবং সেখানে দেখা যায় যে, শরীরের বিভিন্ন অংশের উপর বিভিন্ন ধরনের আবেগ প্রভাব ফেলে। তাঁরা জানিয়েছেন ঠিক কোন ধরনের আবেগটি মানব শরীরের কোন অংশে প্রভাব ফেলে। আসুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।
আনন্দ: ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিনের মতে, হৃদপিন্ড আনন্দ এবং উচ্ছ্বাসের অনুভূতির সঙ্গে জড়িত। আনন্দ হৃদপিন্ডে উদ্দীপনা সৃষ্টিতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত উচ্ছ্বাসে বুক ধড়ফড় করার সমস্যা তৈরি হতে পারে।
রাগ: বিরক্তি ভাব, খিটখিটে মেজাজ এবং ক্রোধের সঙ্গে সম্পর্কিত যা অনুতাপ ও যন্ত্রনা সৃষ্টি করতে পারে। বিশ্বাস করা হয় যে এই ধরনের আবেগ যকৃৎ ও পিত্তথলির উপর প্রভাব বিস্তার করে।
দুঃখবোধ: দুঃখবোধ এমন এক ধরনের অনুভূতি যার কারণে মানুষ কেঁদে ফেলেন। ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিনের মতে, অত্যধিক কান্নাকাটি ফুসফুসের কাজে এবং সারা শরীরে শক্তির সরবরাহে বাধা দেয়।
উদ্বিগ্নতা: উদ্বিগ্নতা ফুসফুসের উপরে প্রভাব ফেলার পাশাপাশি বৃহদান্ত্রের উপরেও প্রভাব ফেলে। এই ধরনের আবেগ ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট বা আলসারেটিভ কোলাইটিস সৃষ্টির জন্য দায়ী।
ভয়: ভয় পেলে মূত্রের বেগ বৃদ্ধি পায়, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে। চরম ভয়ের অনুভূতির কারণে একজন মানুষ তার কিডনি ও মূত্রাশয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারেন।
গভীর চিন্তা বা ধ্যানমগ্নতা: অতিরিক্ত চিন্তার কারণেই তৈরি হয় ধ্যানমগ্ন ভাব। এটি এক ধরনের শ্রমসাধ্য চিন্তার প্রক্রিয়া যার ফলে শরীর থেকে শক্তি নিঃশেষিত হয়ে যায়। এই দুঃখজনক আবেগ প্লীহার উপর প্রভাব ফেলে এবং ঘুম কমিয়ে দেয়।
আতঙ্ক: এটি এমন এক ধরণের আবেগ যা সৃষ্টি হয় আকস্মিক ও অপ্রত্যাশিত আঘাতের কারণে। আতঙ্ক হৃদপিন্ডের উপর খারাপ প্রভাব বিস্তার করে পারে।