অবাক হবেন! এনার পোকা-মাকড়ের দাম কোটি-কোটি টাকা
কলকাতা টাইমস :
এক অদ্ভূত ধরণের নেশাই বলতে হবে। কেননা সোনা-রূপা, বইপত্র কিংবা ডাকটিকেট নয়, নেশা যখন পোকা-মাকড় সংগ্রহের। হ্যা, আর এই নেশার টানেই বহু বছর আগে তাঁরা একে অপরের কাছে এসেছেন। ঘর বেঁধেছেন। আর পোকা-মাকড়ের নেশাতেই ছুটে বেড়িয়েছেন দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তে।
এভাবে গত ষাট দশক ধরেই তাঁদের সংগ্রহে জমেছে দশ লাখেরও বেশি বিভিন্ন প্রজাতির পোকামাকড়। মার্কিন মুলুকে অ্যারিজোনার টাসকন শহরের অশীতিপর দম্পতি চালর্স ও লয়েস ও’ব্রায়েনের সেই সংগ্রহের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি ডলার।
সম্প্রতি নিজেদের সারা জীবনের সেই ভান্ডার ও’ব্রায়েন দম্পতি তুলে দিলেন অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভারসিটি কর্তৃপক্ষের হাতে। এত বড় মাপের কোনও ব্যাক্তিগত সংগ্রহ গোটা দুনিয়াতেই বিরল।
অ্যারিজোনার বিশ্ববিদ্যালয়ের পতঙ্গবিজ্ঞানী নিকো ফ্রান্জের মতে, ও’ব্রায়েন দম্পতির এই সংগ্রহ গবেষকদের কাছে সোনার খনি হাতে পাওয়ার মতোই মূল্যবান। সংগ্রহে রয়েছে ছাড়পোকা, গুবরেপোকা-সহ অনেক বিরল প্রজাতির পোকামাকড়। আর প্রতিটি পোকামাকড়ের নমুনার এক একটির দাম হতে পারে ৫ থেকে ৩০০ ডলার।
এর মধ্যে রয়েছে এমন হাজারের বেশি পতঙ্গ যা হয়তো গবেষকদের কাছেও বিরল প্রজাতির। পতঙ্গদের বৃহত্তর বংশলতিকা তৈরি ছাড়াও বিভিন্ন গবেষণায় এই সংগ্রহ খুবই কাজে আসবে বলে মত নিকো ফ্রান্জের।
আপাতত এই বিপুল ভান্ডারের ক্যাটালগ তৈরিতে তিনি কাজে লাগিয়েছেন পার্ট-টাইমার হিসাবে কাজ করা ছাত্র-ছাত্রীদের। এক সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়েই পার্ট-টাইমার হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ও’ব্রায়েন দম্পতি। কেমিস্ট হওয়ার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের টক্সিকোলজি বিভাগেও পার্ট-টাইম কাজ করতেন লয়েস।
সেই সময়ই পতঙ্গবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনাও শুরু করেন। তখনই পরিচয় হয় সহ-শিক্ষক চালর্সের সঙ্গে। এর পর চালর্সের সঙ্গে সঙ্গে পোকা-মাকড়েরও প্রেমে পড়েছিলেন লয়েস। সেই শুরু। এর পর প্রায় দশকের পর দশক ধরে কখনও অ্যান্টার্কটিকায় বিরল প্রজাতির উইভিল বা কখনও নিউজিল্যান্ড বা সলোমন আইল্যান্ডে মাসের পর মাস খুঁজে বেড়িয়েছেন পোকামাকড়।