সিঙ্গাপুরের ‘স্যান্টোসা’ দ্বীপের ইতিহাস শুনলে গা শিউরে উঠবে আপনার!
নিউজ ডেস্কঃ
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উনের মধ্যে বৈঠকের জন্য সিঙ্গাপুরের যে জায়গাটিকে নির্ধারণ করা হয়েছে সেই স্যান্টোসা দ্বীপের গা শিউরে উঠার মতোন ইতিহাস রয়েছে। যা এক সময় মানুষের চোখের জল ঝরিয়েছিল।
ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য স্যান্টোসা বর্তমানে সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি স্থান। স্যান্টোসার অর্থ ‘শান্তি এবং প্রশান্তি’ হলেও এর অন্য একটি নাম রয়েছে। তা হলো পালাউ বেলাকাং মাটি, যার অনুবাদ করলে অর্থ দাঁড়ায়, ‘পেছনে মৃত্যুর দ্বীপ’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মৃত্যু এবং রক্তপাতের সঙ্গে দ্বীপের একটা সম্পর্ক এখনও তাড়িয়ে বেড়ায় স্থানীয়দের। ১৯৪২ সালে জাপানি বাহিনীর কাছে সিঙ্গাপুর আত্মসমর্পণ করার পর স্যান্টোসা অস্ট্রেলিয়া ও বিট্রিশ বন্দীর জন্য নিষ্ঠুর এক ক্যাম্পে পরিণত হয়।
জাপানি দখলদারিত্বের সময় এটা তখন সিঙ্গাপুরের চীনা নাগরিকদের জন্য একটা হত্যাক্ষেত্রও হয়ে উঠে। যেখানে জাপানবিরোধী কাজের জন্য তাদের অভিযুক্ত করে নির্যাতন ও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতো। যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছিল তাদের বেশিরভাগই সাধারণ মানুষ। তাদেরকে দুই কিলোমিটার এলাকার সমুদ্র সৈকতে গোলাকারভাবে রাখা হতো। যা এখন একটি বৃহৎ গল্ফ কোর্স। সেখানে তাদের গুলি করে হত্যার পর মৃতদেহ সাগরে ফেলে দেওয়া হতো। জাপানি দখলদারিত্বের সময় প্রায় ৩০০ মৃতদেহ সৈকতে ভেসে আসে।
তবে ১৯৭০ দশকে দ্বীপের পরিবর্তন আসে। এই সময় সিঙ্গাপুরের সরকার দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য জনপ্রিয় করে তোলার উদ্যোগ নেন। এরপর থেকে সেখানকার পরিবেশ পরিবর্তনের পাশপাশি পাল্টে যায় নামও। প্রসঙ্গত, আগামীকাল মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের ‘স্যান্টোসা’ দ্বীপের কাপেল্লা হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে ট্রাম্প ও কিমের মধ্যকার সেই ঐতিহাসিক বৈঠক।