অবাক করবে সবচেয়ে ক্ষমতাশালী মেলানিয়ার এই ৫ তথ্য
কলকাতা টাইমস :
মার্কিন ফার্স্ট লেডি অর্থাৎ ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্ত্রী লাস্যময়ী মেলানিয়া যেন মিডিয়ার মধ্যমণি। একসময়ের সুপার মডেল মেলানিয়া স্লোভানিয়ার নিবাসী, নাগরিকত্ব বদলে আমেরিকা চলে আসেন। তিনি হোয়াইট হাউজের এযাবৎকালের সবচেয়ে যৌনাবেদনময়ী ফার্স্ট লেডি। আসুন সেই মেলানিয়া সম্পর্কে কিছু জানাই। ট্রাম্প পত্নী মেলানিয়া সম্পর্কে এই ৫টি মজার তথ্য আপনাকে অবাক করবে।
১. স্লোভানিয়ায় মেলানিয়ার একজন ভাই রয়েছেন যার খবর হারিয়েই যায়। প্রতিবেদক জুলিয়া আইয়োফি জানান, বাবা ভিক্টর নাভস মেলানিয়ার মাকে বিয়ে করার আগে তার আগের ঘরে একটি ছেলে ছিল যার নাম ডেনিস সিগেলজাক। তবে ডেনিসকে নিজের সন্তান বলে মেনে নেননি তিনি। তবে পরীক্ষায় প্রমাণ মেলে তিনিই তার বাবা। বর্তমানে ডেনিস তার বাবা অথবা ট্রাম্পের কাছ থেকে কিছুই আশা করেন না। তবে তিনি সৎ বোন আইনেস এবং মেলানিয়ার সঙ্গে দেখা করতে ইচ্ছুক। প্রথমে মেলানিয়া প্রতিবেদকের কাছে ঘটনাটি স্বীকার করেননি। তবে পরে তা স্বীকার করেন।
২. লরেন কলিনস এক প্রতিবেদনা জানান, মেলানিয়া প্রথম ট্রাম্পের নজরে পড়েন ১৮ বছর আগে। কিন্তু ট্রাম্পকে তিনি সাড়া না দিয়ে হতাশ করেন। কারণ তখন রিয়েল এস্টেট মোগলের সঙ্গে অন্য নারীর সম্পর্ক চলছিল। ১৯৯৮ সালে নিউ ইয়র্কের কিট ক্যাট ক্লাবে মডেলিং এজেন্সি পাওলো জাম্পোলির আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দুজনের দেখা হয়। সেখান ডোনাল্ড মেলানিয়ার ফোন নম্বরটি চান। কিন্তু ট্রাম্পের সঙ্গে নরওয়েজিয়ান প্রসাধন সম্রাজ্ঞী সেলিনা মিডেলফ্লার্টের কিছু একটা চলছিল। পরে দুজন দুজনের হয়ে যান।
১৯৯৯ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক মেলানিয়াকে প্রশ্ন করেছিলেন, আপনি কেমন ফার্স্ট লেডি হতে চান? জবাব ছিল, আমি খুবই গতানুগতিক হবো। বেটি ফোর্ড বা জ্যাকি কেনেডির মতো। আমি তাকে সমর্থন দিবো।
এ বছরের প্রথম দিকে মেলানিয়া জানান, ফার্স্ট লেডি হয়ে আমি নারী ও শিশুদের জন্যে কাজ করতে চাই।
৩. সংবাদমাধ্যম এনবিসি’র জনপ্রিয় কমেডি অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মেলানিয়াকে নিয়ে বেশ কৌতুক করা হয়। দুজন ট্রাম্প দম্পতি সেজে স্যাটায়ার করেন। স্যাটারডে নাইট লাইভ-এ মেলানিয়াকে স্ত্রী নয়, বরং ট্রাম্পের মেয়ে বলে মনে হয় বলে কৌতুক করা হয়। কারণ মেলানিয়া ট্রাম্পের চেয়ে বয়সে ২৪ বছরের ছোট। সম্প্রতি তিনি বিলাসী এক অ্যাপার্টমেন্টে উঠেছেন। একে ওই অনুষ্ঠনে সাদ্দাম হোসেনের প্রাসাদের ইন্টেরিয়রের সঙ্গে তুলনা করা হয়। এসব কৌতুক দারুণ পছন্দ করেন মেলানিয়া। বলেন, কেউ কৌতুকের মধ্য দিয়ে আপনাকে নিয়ে কথা বলছে। বিষয়টি অনেক সম্মানজনক। আমি অনেক মজা পাই।
৪. প্রেসিডেন্ট পত্নী হওয়ার পর মেলানিয়া টুইটারে টুইট করা থেকে বিরত থাকেন। তখন থেকেই টুইটারে তার ৫১ হাজার ৬০০ ফলোয়ার প্রিয় মেলানিয়ার সেই আগের মতো টুইট পান না। রূপচর্চা, ব্যক্তিগত বিমানে চড়া ও আবেদনময়ী বিকিনি পরিহিত ছবিগুলো বেশ মিস করেন ভক্তরা। এক বিতর্কিত মন্তব্যে ট্রাম্প আমেরিকায় বসবাসরত মেক্সিকানদের খুনি ও ধর্ষক বলার পর পরই মেলানিয়া তার ছবিগুলো সরিয়ে ফেলেন। আবার স্লোভানিয়ার তার ভাইয়ের খবর নিয়ে প্রতিবেদনের জন্যে জিকিউ ম্যাগাজিনের সমালোচনা করে টুইটারে। তবে এ উপলক্ষে তার ফলোয়ারের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে, ১ লাখ ১১ হাজার। কিন্তু ক্যাম্পেইন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র ৯টি টুইট করেছেন তিনি।
৫. ট্রাম্পের দিকে সমালোচকের দৃষ্টি রাখেন স্ত্রী। তাই ভুল মনে হলে তা শনাক্ত করে দেন। তবে সব সময় ট্রাম্প না শোনেন বলে মনে হয় না। তবে স্বামী এই জেদী মনোভাব তাকে সমালোচনা করা থেকে বিরত রাখেনি বলেই সাংবাদিককে জানান মেলানিয়া।
মানুষ এখন পর্যন্ত ট্রাম্পকে নিয়ে যতটা জানেন, সে তুলনায় প্রায় কিছুই জানেন না মেলানিয়া সম্পর্কে। অবশ্য ফার্স্ট লেডি সম্পর্কে তেমন জানান প্রয়োজনও নেই। কারণ তিনি প্রেসিডেন্ট নন। প্রাক্তন সুপার মডেল ও স্লোভানিয়ার মানুষ হওয়ার কারণে তার প্রতি আগ্রহ রয়েছে মানুষের।