মালিঙ্গা-সচিন ভাগ্য বলে যা বিশ্বাস করতেন জানলে চমকে উঠবেন
ক্রিকেটে যেমনিভাবে পরিশ্রমই পারে একজন ক্রিকেটারের ভাগ্য পরিবর্তন করতে ঠিক তেমনিভাবে কিছু জিনিষ ক্রিকেটারের জন্য হয়ে থাকে ভাগ্যের আর্শিবাদ। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ক্রিকেটের যে বিষয়গুলোকে ভাগ্য বলে বিশ্বাস করতেন ক্রিকেটাররাঃ
লাসিথ মালিঙ্গার চুমু
রান আপ থেকে দৌড়ানোর আগে বলে চুমু খাওয়া। এটা আসলে তার অভ্যাস নয়, কুসংস্কার। এ প্রসঙ্গে মালিঙ্গা একবার বলেছিলেন, “ক্রিকেট বলের প্রতি আমার সর্বোচ্চ সম্মান আছে। তাই আমি এমনটা করি।”
শচীন টেন্ডুলকারের ডিনার
২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার সাথে সিডনি টেস্টে ২৪১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন শচীন। মজার ব্যাপার হলো, শচীন মনে করেন এই ম্যাচে তার রাতের খাবার খাওয়ার পেছনেই নাকি সফলতার রহস্য জড়িয়ে ছিল। সেটা কী রকম? তিনি এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছিলেন, ২০০৪ সালের ওই সিডনি টেস্টের প্রথম তিন রাতে সিডনির একটি মালয়েশিয়ান রেস্টুরেন্টে একই টেবিলে বসে একই খাবার খেয়েছিলেন। ম্যাচে তখন রুটিনমাফিক সফলতার পথে এগোচ্ছিলেন শচীন। তাই খাবারের ব্যাপারে ও বসার জায়গা নিয়েও নিজের রুটিন ভাঙতে চাননি তিনি।
হাস খেলে ডাবল সেঞ্চুরি হবে
এই ধারনার মধ্যেই ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার স্টিভেন স্মিথ। তবে প্রত্যেক ম্যাচের আগে তিনি হাসের মাংস খেয়ে নামতেন নাকি সেটা এখনো জানা যায়নি। হাঁস খেলে ডাক মারবেন ২০১৫ সালে একবার ভুলে গেলেন সে কথা। ইংল্যান্ডের লর্ডসে অ্যাশেজ চলাকালীন সময়ে মনের ভুলে হাঁসের মাংস খেয়ে ফেললেন। কিন্তু ঘটনা ঘটলো উল্টো। শূন্য রানে আউট হওয়া তো দূরে থাক, ক্যারিয়ারের সেরা ২১৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ফেললেন! তারপর থেকে ম্যাচের আগে নিয়মিত হাঁসের মাংস খেতেন কি না, সে ব্যাপারে জানা যায়নি। তবে ২১৫ রানের রেকর্ড ভেঙে পার্থ টেস্টে গড়েছিলেন নতুন রেকর্ড। খেলেছিলেন ২৩৮ রানের ইনিংস। তারপর থেকে তার ধারণাও বদলে যায় সেভাবে।