এই বর্জ্যের ক্ষমতা জানলে আপনি অবাক হবেন!
মানুষের দেহের পরিস্থিতি ক্রমাগত বদলায়। আর এ দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিকে বোঝা সম্ভব হয় মল পরীক্ষার মাধ্যমে। পাকস্থলি ও পরিপাকতন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া সারা দেহেই প্রভাব বিস্তার করে। সম্প্রতি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার উদ্দেশ্যে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল পরিপাকতন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া কিভাবে দেহের ওপর প্রভাব বিস্তার করে তার বিস্তারিত জেনে নেওয়া। এ প্রকল্পের প্রধান রব নাইট। তিনি নিউ জিল্যান্ডের অধিবাসী এবং ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি লম্বা। তার দেহের ওজন ২০০ পাউন্ড।
তিনি সারা জীবন তার দেহের ওজন স্বাস্থ্যকর রেখেছেন, এমনটা ভাবলে ভুল হবে। তার ওজন এখনকার চেয়ে ৬০ পাউন্ড বেশি ছিল। তবে তিনি তা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। এক্ষেত্রে ওজন কমাতে তিনি শারীরিক পরিশ্রম কিংবা কঠোর কোনো ডায়েট কন্ট্রোল পদ্ধতি অবলম্বন করেননি। পেরু ভ্রমণে গিয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এতে তার প্রচুর অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে হয়। আর এ কারণেই তার ওজন কমতে থাকে। আর তার দেহের ওজন কমে যাওয়া অস্থায়ী ছিল না। তিনি স্থায়ীভাবেই তার দেহের ওজন হারান।
নাইট একজন ব্যাকটেরিয়া বিশেষজ্ঞ। তিনি জানান, তার দেহের ওজন কমাতে ভূমিকা রেখেছে অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া। আর এ কারণে তিনি তার অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার হ্রাস-বৃদ্ধি পরিমাপের জন্য নিয়মিত মল পরীক্ষা করছেন।
তিনি জানান, ব্যাকটেরিয়া সবার ক্ষেত্রে এক ধরনের কাজ নাও করতে পারে। আর তাই ওজন কমানোর জন্য ফুড পয়জনিংয়ের শিকার হওয়া এবং তার পর অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া যে একই ধরনের কাজ করবে তা নয়। এমনকি তার স্ত্রীও একই ধরনের পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন। তবে তাতে তার দেহের ওজন কমেনি।
প্রত্যেকের দেহেরই নানা পরিস্থিতি অনুধাবন করা যায় মল পরীক্ষার মাধ্যমে। এক্ষেত্রে আপনার দেহের গ্রহণ করা খাবার, ঘুমের পরিমাণ, শারীরিক অনুশীলনের হার, ওষুধ গ্রহণ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতির কথা জানা যায় মলের ব্যাকটেরিয়া পরীক্ষার মাধ্যমে। এ বিষয়টিতে অতীতে চিকিৎসা পদ্ধতিতে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে মনে করেন নাইট। তবে ভবিষ্যতে এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হলে তা চিকিৎসাবিদ্যায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।