আপনার শিশু বাতের সমস্যায় কাতর নয় তো ?
শিশুরা ছুটোছুটি করবে, খেলাধুলা করবে, দুষ্টুমি করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এসবের প্রতি যদি শিশুর অনীহা তৈরি হয় তবে তা একটি গুরুতর সমস্যা বটে! সমস্যা অনুসন্ধানে ব্যর্থ হয়ে ছুটলেন ডাক্তারের কাছে। শুরু হলো চিকিৎসা। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না! কী করবেন তখন? আপনার আদরের সন্তানটি বাতযন্ত্রণায় আক্রান্ত নয় তো?
শিশুর হাড়ের গিঁটে গিঁটে ব্যথা। অস্থিসন্ধি ফুলে উঠছে। ব্যথা কমার কোনো লক্ষণ নেই। সঙ্গে আছে জ্বর। শিশু তো বুঝিয়ে কিছু বলতেও পারে না-এ এক মহাসমস্যা। সাধারণত হাঁটু, হাত ও পায়ের জোড়ায় বাত রোগ আক্রান্ত হলে এসব উপসর্গ দেখা দেয়। এছাড়া কাঁধ ও চোয়ালেও বাত হতে পারে। অনেক সময় হাঁটুর দুদিক ও কোমরের নিচের অংশও আক্রান্ত হয়। সংক্রমণের ফলে হাড়ের সংযোগস্থল ফুলে গিয়ে গরম হয়ে যায়।
এই রোগের উৎপত্তি কীভাবে তা এখনও সুস্পষ্টভাবে জানা যায়নি। এটা অটো ইমিউন রোগ। অর্থাৎ প্রতিরোধ শক্তি নিজেই নিজেকে আক্রমণ করে বসে। মানে শরীরই শরীরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে জিনঘটিত কারণেও শিশুর বাত হতে পারে। প্রথমে অস্থিসন্ধির ওপরের ত্বক আক্রান্ত হয়। এরপর আক্রান্ত হয় কার্টিলেজ।
দ্রুত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা শুরু করতে পারলে আবারও প্রাণোচ্ছল হয়ে উঠবে শিশু। ষোলো বছর বয়সের আগেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠার সম্ভাবনা সিংহভাগ। তবে চিকিৎসার ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে কোনোমতেই শিশুকে মোটা হতে দেওয়া যাবে না। নিয়মিত ফিজিওথেরাপি করাতে হবে।