তাড়াতাড়ি নাকি ধীরে-ধীরে? আপনার খাবার পদ্ধতিই বলে চরিত্রের ধরণ
কলকাতা টাইমস :
খাবার খাওয়ারও একটা ধরন রয়েছে যাতে সচরাচর খাদ্যরসিকরা নজর দেন না। কিন্তু একটু যদি মুখের সঙ্গে সঙ্গে চোখ-কান খোলা রাখেন, তবেই জানতে পারবেন আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কেমন। যেমন –
১. খুব তাড়াতাড়ি যাঁদের খাবার খাওয়ার অভ্যাস, তাঁদের জীবনের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভারসাম্যের সমস্যা থাকে। তবে এমন মানুষরা আগে নিজেদের পরিবার ও প্রিয়জনদের কথা ভাবেন তারপর নিজেদের কথা। আর কোনও কাজ হাতে নিলে তা সাফল্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ করেন।
২. যাঁদের ধীরে ধীরে খাওয়ার অভ্যাস তাঁরা সাধারণত একগুঁয়ে হন। তবে জীবনের সমস্ত অভিজ্ঞতাকে সুন্দরভাবে উপভোগ করতে জানেন। এঁরা সবার আগে নিজের কথা ভাবেন তারপর বাকিদের কথা।
৩. অনেকে খাবারে বৈচিত্র পছন্দ করেন। এমন মানুষরা বাড়ি ও কর্মক্ষেত্রে বড় দায়িত্ব পালনে সক্ষম হন। নেতৃত্ব দেওয়া তাঁদের স্বভাবজাত গুণ। তবে কোনও একটি জিনিস নিয়ে এনারা সন্তুষ্ট থাকতে পারেন না। আর বেশিরভাগ সময়ই সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন।
৪. অনেকে নিয়ম মেনে একই খাবার খান। এমন ব্যক্তিরা জীবনে পরিবর্তন পছন্দ করেন না। জীবনে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম বানিয়ে নেন, আর সেই অনুযায়ী বাঁচেন। প্রতিকূল পরিস্থিতি এড়িয়ে চলতে ভালবাসেন।
কেউ ঝাল খেতে ভালবাসেন, কেউবা মিষ্টি। খাবারের এই পছন্দের উপরও নির্ভর করে মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য-
১. ঝাল খাবার খেতে যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁরা হামেশা জীবনে নতুন কিছু করতে চান। চ্যালেঞ্জ নিতে এঁরা কখনও পিছপা হন না। বরং সমস্ত বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে বাঁচাটাই এমন মানুষদের কাছে সবচেয়ে বেশি সুখের।
২. আর যাঁরা মিষ্টি খেতে ভালবাসেন, তাঁরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মিশুকে হন। এঁরা কথা বলতে খুবই ভালবাসেন। এমন মানুষজনই আবার মাংসজাতীয় খাবার ও অ্যালকোহল ভীষণমাত্রায় পছন্দ করেন।
৩. আবেগপ্রবণ লোকেরা বেশি জাঙ্কফুড খেতে ভালবাসেন। এমনকী তাঁরা লুকিয়েও চিপস-চকোলেটের মতো খাবার খেয়ে ফেলেন।
অবশ্য, মানব চরিত্র সদা পরিবর্তনশীল। আবার স্বাদও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পালটাতে থাকে। তাই এত বাছবিচার আপনি নাও করতে পারেন। আর পছন্দের খাবারটি পেলে মনের সুখেই তা খেয়ে ফেলতে পারেন।