কোন খাবারটা উপকারী কিনা তাও ঠিক করে আপনার রাশি, তাই …
মেষ : মেষ রাশির জাতকদের প্রধান উপাদান আগুন। তাই এদের বেশি ঝাল ও মশলাদাখাবর এড়িয়ে যাওয়া উচিত। না হলে অম্বল ও পেটের গোলমাল হতে পারে। শরীর ঠাণ্ডা রাখে এমন খাবার মেষ রাশির উপযুক্ত।
মেষের জাতকদের উপযুক্ত খাবার – ব্রাউন রাইস, কলা, ফলের রস, জলপাই, টমেটো, পেঁয়াজ, লেটুস পাতা, শসা, পালং শাক, ব্রকোলি, বিনস, কুমড়ো, আদা, সর্ষে
বৃষের জাতকদের উপযোগী খাবার – ক্র্যানবেরি, বিট, ফুলকপি, শসা, পালং শাক, পেঁয়াজ, কুমড়ো, বাদাম, বিনস।
দূরে রাখুন – খুব বেশি মশালাদার খাবার ও বেশি পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে এমন যে কোনও খাবার।
মিথুন : মিথুন রাশির জাতকদের প্রধান উপাদান বাতাস। তাঁদের এমন খাবার খাওয়া উচিত যা তাঁদের স্নায়ুতন্ত্র ও ফুসফুসকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে। এরা অনেকেই কোলা ও কফি পছন্দ করেন। কিন্তু এই দুটো মিথুনের জাতকদের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
মিথুনের জন্য উপযোগী খাবার – কমলালেবু, আঙুর, আঙুরের রস, আপেল, লেটুস পাতা, ফুলকপি, পালং শাক, গাজর, বিনস, টমেটো, ইয়োগার্ট, আমন্ড, আদা, রসুন।
দূরে রাখুন – কফি, আলু বা অন্য যে কোনও শিকড় জাতীয় সবজি, চিনি।
কর্কট : এই রাশির জাতকদের হজমপ্রক্রিয়া সহজে খারাপ হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। এদের তাই এমন খাবার খাওয়া উচিত যাতে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি থাকে। এর ফলে দুটো খাবারের মাঝখানে সময়ের ব্যবধান রাখা সম্ভব। এরা অ্যালকোহল ও মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য খেতে খুবই ভালোবাসের। কিন্তু কর্কটের জাতকদের সহজে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই অ্যালকোহল ও মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
কর্কটের জন্য উপযোগী খাবার – গম, দানাশস্য, ভাত, ওটমিল, ফল, সেদ্ধ সবজি, ব্রকোলি, বাঁধাকপি, ফুলকপি, কুমড়ো, শসা, ইয়োগার্ট, বিনস।
দূরে রাখুন – তেলতেলে খাবার, অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার, মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য।
সিংহ : সিংহ রাশির জাতকদের প্রধান উপাদান আগুন। এরা সাধারণত খুবই কর্মব্যস্ত জীবন যাপন করেন। তাই সিংহ রাশির জাতকদের খাবারে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকা জরুরি। ছাগলের দুধ নিয়মিত পান করলে এরা কাজে নতুন শক্তি ও উদ্যম পাবে। এছাড়া হৃদযন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ থাকে, এমন খাবার সিংহ রাশির জন্য উপযোগী।
সিহ রাশির উপযোগী খাবার – গোটা শস্য, ভাত, লেবু জাতীয় ফল, আপেল, পিচ, আলু, গাজরের মতো শিকড় জাতীয় সবজি, পালং শাক, ব্রকোলি, উচ্ছে, করলার মতো তেতো সবজি, বাদাম,আমন্ড।
দূরে রাখুন – মশালাদার খাবার ও ডেয়ারি দ্রব্য
কন্যা : কন্যা রাশির জাতকদের স্নায়ুতন্ত্র ও তলপেটে নানা ধরনের সমস্যার আশঙ্কা থাকে। সেই কারণে এদের দুধ, আইসক্রিমের মতো ডেয়ারিজাত খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। ফাইবার জাতীয় ও অমেগা ফ্যাট বেশি পরিমাণ রয়েছে এমমন খাবার কন্যা রাশির জাতকদের জন্য উপকারী। এদের মস্কিষ্ক সদাসর্বদা ক্রিয়াশীল হয়। তাই ওমেগা ফ্যাট এদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যও উন্নত করবে।
কন্যা রাশির জন্য উপযোগী খাবার – গোটাশস্য ও দানাশস্য, ওটমিল, ফল, স্যালাড, ফলের রস, পাতওয়ালা সবজি, স্যুপ, চা, আমন্ড।
দূরে রাখুন – বেশি মশলাদার, হাই ক্যালোরিযুক্ত খাবার, চকোলেট।
তুলা : তুলা রাশির জাতকদের প্রধান উপাদান বাতাস। সাধারণত তুলা রাশির জাতকদের স্নায়ুতন্ত্র দুর্বল হয় এবং মেজাজের ওঠানামা ঘনঘন হয়। এদের অ্যালকোহল ও কফি থেকে দূরে থাকা ভালো। রক্তচাপ যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেদিকে নজর রাখা ভালো। খুব বেশি পরিমাণ সবুজ শাকসবজি খাওয়া তুলা রাশির জাতকদের জন্য উপকারী।
তুলার জাতকদের উপযোগী খাবার – গোটা শস্য, ওটমিল, আপেল, আঙুর, স্ট্রবেরি, ভাপানো সবজি, পালং শাক, টমেটো, মটরসুটি, গাজর, ভুট্টা, বাদাম, আমন্ড।
দূরে রাখুন – অ্যালকোহল, নরম পানীয়, মিষ্টি খাবার
বৃশ্চিক : বৃশ্চিক রাশির জাতকদের প্রধান উপাদান জল। এদের অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা বাঞ্ছনীয়। দিনে অন্তত আট গ্লাস জল খাওয়া দরকার। এরা ঝিনুক, শামুক ইত্যাদি খেতে ভালোবাসেন। বেশি করে ব্ল্যাক চেরি খেলে বৃশ্চিক রাশির জাতকদের মেজাজের ওঠানামা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে।
বৃশ্চিক রাশির উপযোগী খাবার – কলা, ব্ল্যাক চেরি, নারকোল, ভাপানো সবজি, স্যালাড, ফুলকপি, পেঁয়াজ, টমেটো, শসা, বিট, বিনস, আমল্ড।
দূরে রাখুন – তেলতেলে খাবার, অতিরিক্ত ভাজাভুজি, মিষ্টি জাতীয় খাবার।”
ধনু : ধনু রাশির জাতকদের লিভারের সমস্যা একটি সাধারণ বিষয়। তাই তাঁদের এমন খাবার খাওয়া দরকার যা লিভারকে সুস্থ রাখে। পরিমিত খাদ্য গ্রহণ এদের জন্য খুবই জরুরী। এরা সস, চকোলেট ও মিষ্টি খেতে ভালোবাসে। কিন্তু সে সব খাবার এদের জন্য এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। প্রোটিনের পরিমাণ বেশি এমন খাবার এদের জন্য উপকারী।
ধনু রাশির উপযোগী খাবার – গোটাশস্য, আপেল, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, আলু, রাঙাআলু, গাজরের মতো শিকড় জাতীয় সবজি।
এড়িয়ে চলুন – মশলাদার খাবার, মিষ্টি, অ্যালকোহল।
মকর : মকর রাশির উপাদান মাটি। এদের হাড় ও দাঁত শক্তিশালী রাখে এমন খাবার খাওয়া ভালো। তাই ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার এদের জন্য প্রয়োজনীয়। এছাড়া লেবু, পালং শাক, ভুট্টা, ব্রাউন রাইস খাওয়া এদের জন্য ভালো।
মকর রাশির জন্য উপযোগী খাবার – ফল, স্যালাড, লেবু, বাঁধাকপি, ভুট্টা, আলু, স্যুপ, চা।
দূরে রাখুন – হাই ক্যালোরি মশলাদার খাবার, চকোলেট।
কুম্ভ : বাতাস হল কুম্ভ রাশির জাতকদের প্রধান উপাদান। এদের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে বাতাস। কুম্ভ রাশির জাতকেরা কোলা ও কেক খেতে ভালোবাসে। কিন্তু এই সব খাবার কুম্ভ রাশির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সামুদ্রিক মাছ বেশি পরিমাণে খেয়ে এদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরী।
কুম্ভ রাশির উপযোগী খাবার – আপেল, কমলালেবু, ভাপানো সবজি, বাঁধাকপি, ভুট্টা, গাজর, টমেটো, ব্রকোলি, সোয়া ইয়োগার্ট, বাদাম, আদা, রসুন।
দূরে রাখুন – কফি, মিষ্টি, কোলা
মীন : মীন রাশির জাতকদের প্রধান উপাদান হল জল। সেই জন্য এদের এমন খাবার খাওয়া উচিত যা তাঁদের রক্ত, লিভার ও মস্তিষ্কের ক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এই রাশির প্রধান গ্রহ হল নেপচুন। এদের মধ্যে সামাজিক অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেলার প্রবণতা দেখা যায়। লোহার ভাগ রয়েছে এমন খাবার এদের খাওয়া ভালো।
মীন রাশির জাতকদের উপযোগী খাবার – গোটা শস্য, ভাত, ওটংিল, আপেল, আঙুর, কমলালেবু, পাতিলেবু, পালং শাক, পেঁয়াজ।