কারেন্সি কাউন্টিং মেশিন এমনিতে যথেষ্ট সুবিধাজনক। অতি দ্রুত মোটা মোটা টাকার বাণ্ডিল গুনে ফেলতে পারে এই যন্ত্র। ফলে যত্ন ও মনোযোগ সহকারে টাকা গোনার ঝামেলা থেকে পাওয়া যায় মুক্তি। তাছাড়া অনেকেরই ধারণা থাকে, টাকা গোনার কাজে মানুষের ভুল হতে পারে, কিন্তু যন্ত্রের নিশ্চয়ই ভুল হবে না। সেই কারণে যন্ত্রের উপরে তাদের ভরসাও থাকে বেশি। দিনে দিনে এই সব কারণে এই যন্ত্রের জনপ্রিয়তাও বাড়ছে।
প্রথম প্রথম শুধু ব্যাংকে এই যন্ত্রের দেখা পাওয়া যেত। এখন বিভিন্ন দোকানেও দেখতে পাওয়া যায় এসব মেশিন। বিশেষত যেসব দোকানে মোটা অঙ্কের লেনদেনের ব্যাপার থাকে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্প্রতি এক ধরনের চাইনিজ টাকা গোনার যন্ত্র এসেছে বাজারে। এই যন্ত্রের বিশেষত্ব হলো, এই যন্ত্র টাকা গোনার সময় এক বিশেষ কায়দায় একগুচ্ছ টাকার মধ্যে থেকে কিছু টাকা লুকিয়ে ফেলে যন্ত্রের ভিতরে থাকা একটা গুপ্ত প্রকোষ্ঠের মধ্যে।
ধরুন, কোথাও আপনাকে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। আপনি গুনে গুনে ১০০ টাকার ১০০টি নোট দিলেন। যিনি টাকাটা নিলেন, তিনি টাকার বাণ্ডিলটি নিয়ে বসিয়ে দিলেন টাকা গোনার মেশিনে। মেশিনের ডিসপ্লে বোর্ডে সংখ্যা ভেসে উঠল ৯৭। আপনি ভাবলেন, আপনার গুনতে কোথাও ভুল হয়েছিল। কাজেই আপনি পকেট থেকে আরো ৩ টি ১০০ টাকার নোট বের করে দিলেন। কিন্তু যেটা আপনি জানতে পারলেন না তা হলো, আপনি কিন্তু প্রথমবারে ১০০ টি নোটই দিয়েছিলেন। গোনার সময় তা থেকে ৩টি নোট মেশিনটি লুকিয়ে ফেলেছে নিজের ভিতরে। আর আপনি দিয়েছেন অতিরিক্ত ৩টি ১০০ টাকার নোট। ফলে যিনি টাকাটা গুনছিলেন তার পকেটে আপনার অলক্ষ্যে ৩০০ টাকা ঢুকে গেল।
কিন্তু এই প্রতারণা ঠেকাবেন কীভাবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবচেয়ে ভাল হলো, টাকা গোনার মেশিনকে এড়িয়ে চলা। ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডে টাকা দিলে সবকিছুরই একটা লিখিত হিসেব থাকে। ফলে কার্ডে পেমেন্ট করা সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য। আর যদি নগদ টাকাতেই পেমেন্ট করতে হয়, তাহলে যিনি টাকা নিচ্ছেন, তাকে অনুরোধ করুন, তিনি যেন আপনার সামনে টাকাটা গুনে নেন।