সারাক্ষন কেঁদেই কেটেছে এই বিশ্ব বিখ্যাত অভিনেতার
কলকাতা টাইমস :
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ডোয়েইন ‘দ্য রক’ জনসনের বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন ডলার। গত দুই বছর আমেরিকার সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতা মনে করা হচ্ছে তাকে। কিন্তু বিষণ্ণতা ও প্রতিকূল পরিস্থিতির সাথে এই তারকার কঠিন সংগ্রামের গল্প খুব বেশি মানুষ জানে না।
জনসন বলেন, ‘আমি এমন অবস্থায় পৌঁছে গেছিলাম যে কিচ্ছু করতে ইচ্ছা করত না, কোথাও যেতে মন চাইত না। আমি তখন সারাক্ষণ কাঁদতাম।’
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের এক্সপ্রেস পত্রিকাকে জনসন জানান, তার যখন ১৫ বছর বয়স তখন জনসনের সামনেই তার মা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এর কয়েকমাস আগে তাদেরকে এপার্টমেন্ট থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল।
দুঃসহ স্মৃতি বর্ণনা করতে জনসন বলেন, মা ব্যস্ত একটি মহাসড়কে গাড়ি থেকে নেমে ছুটে আসা যানবাহনের দিকে এগিয়ে যান। গাড়ি ও বড় বড় ট্রাক তাকে দ্রুত পাশ কাটিয়ে যাচ্ছিল। ‘আমি তাকে গিয়ে ধরে টেনে আবার রাস্তার কিনারায় নিয়ে আসি,’ বলেন দ্য রক। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে ওই ঘটনার কথা মার একদম মনে নেই। সম্ভবত এটা মনে না থাকাই ভাল।’
এর কয়েক বছর পর জনসনের পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যায় অসংখ্য ইনজুরিতে ভোগার কারনে। কানাডার একটি ফুটবল লিগের সাথে চুক্তি করলেও এক বছরেই শেষ হয়ে যায় তার ক্যারিয়ার।
এর অল্প কিছুদিন পর, জনসনের প্রেমিকা তাকে ছেড়ে চলে যায়। ‘সেটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময়,’ বলেন তিনি।
কিন্তু এরপর থেকে রেসলিংয়ে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন তিনি। ২০০০ সালে অভিনয় জীবন শুরুর আগ পর্যন্ত দাপটের সাথে রিং শাসন করেন।
জনসনবলেন, এগিয়ে চলার জন্য নিজের মনের জোর খুঁজে না পেলে তিনিও সহজেই মায়ের মতো আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে পড়তেন। দ্য রক বলেন, ‘আমরা দুজনই এখন ভাল আছি। কিন্তু কেউ কষ্টে আছে দেখলে তাদের সাহায্য করার জন্য আমাদের সাধ্যমত সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হয়। ওদেরকে সাহায্য করতে হয় যেন তারা নিজেদের একলা মনে না করেন।’
সম্প্রতি একজন ভক্ত জনসনকে জানায় সে বিষণ্ণতায় ভুগছে। এর জবাবে তিনি লেখেন, ‘আমি তোমার কথা শুনছি। আমি এই পশুর সাথে একাধিকবার লড়াই করেছি।’