গোমড়া মুখে হাসি ফোটাবেন? ভরসা ম্যাজিক মাশরুম
কলকাতা টাইমস :
গোমড়া মুখে হাসি ফোটাবেন? ভরসা ম্যাজিক মাশরুমভারাক্রান্ত মনে জাঁকিয়ে বসেছে অবসাদ৷ পৃথিবীতে কিছুই আর ভালো লাগছে না৷ বিনা কারণে পেয়ে বসেছে একরাশ বিরক্তি৷ নতুন কোনো ইচ্ছে নেই, নেই কোনো উদ্যম৷ মনোবিদের পরামর্শেও কোনো লাভ হচ্ছে না৷ এমন সময় কাজে লাগতে পারে কেবল মাশরুমের জাদু৷ যেমন-তেমন মাশরুম নয় এ হচ্ছে ম্যাজিক মাশরুম৷ গোমড়া মুখে হাসি ফোটাতে এটাই গবেষক-চিকিৎসকদের নতুন অস্ত্র৷ সম্প্রতি ব্রিটেনের ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই ম্যাজিক মাশরুমের কাহিনি৷ যার সামান্য সেবনেই মানসিক অবসাদগ্রস্ত মানুষের মুখে ফুটছে হাসি৷ যা একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য থেকেও যাচ্ছে৷ কীভাবে, কোথায় এই মাশরুম তৈরি হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর এখনো মেলেনি৷
তবে গবেষকদের দাবি, মানসিক অবসাদের যে সমস্ত মামলায় ডাক্তাররা পর্যন্ত হার মেনে নিয়েছেন এমন কিছু মনোরোগীর মুখেও হাসি ফুটিয়েছে এই ম্যাজিক মাশরুম৷ এর প্রভাব প্রায় পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত থাকে৷ এই সময়ের মধ্যে রোগীদের মধ্যে বেশ ভালো সাড়া দেখা গেছে৷ অনেকে জানিয়েছেন, ম্যাজিক মাশরুম খাওয়ার পর তাঁদের মনে হয়েছে যেন মাথার ভেতরটা কেউ পরিষ্কার করে দিল৷ কেউ কেউ একে কম্পিউটার রিবুট করার সঙ্গেও তুলনা করেছেন৷
প্রকৃতির মাঝে প্রকৃতির নিয়মেই তৈরি হয় এই মাশরুম৷ গবেষকদের দাবি এতে এমন সাইকোঅ্যাক্টিভ যৌগ রয়েছে যা মস্তিষ্কে ভীষণভাবে প্রভাব ফেলে৷ মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এর প্রভাব টের পাওয়া যায়৷ তবে গবেষকদের মতে পুরো বিষয়টি এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার স্তরেই রয়েছে৷ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকার সম্ভাবনাও প্রবল৷ তা ছাড়া এর প্রভাব সাময়িক৷ সময় পেরিয়ে গেলই প্রভাব কমতে থাকে৷ দ্বিতীয়বার এর প্রয়োগ করলে বিপরীত প্রতিক্রিয়াও হতে পারে৷