পাওয়া গেল মৃতকে বাঁচিয়ে তোলার সেই সঞ্জীবনী শিকড়ের!
কলকাতা টাইমস :
পুরাণ কাহিনীতে উল্লেখ রয়েছে সঞ্জীবনী বুটির। এই বুটি বা শিকড়ের জোরে নাকি মরা মানুষও বেঁচে ওঠে! এসব তথ্য মিথলজিতেই ঘোরাফেরা করে। কিন্তু অনেক মানুষই তা বিশ্বাস করতে পছন্দ করেন। হিমালয়ের অঞ্চলবর্তী দ্রোণগিরি পর্বতেই নাকি রয়েছে সঞ্জীবনী গাছের শিকড়। পৌরাণিক কাহিনী কতদূর সত্যি, তা জানার জন্যেই আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া দ্রোণগিরিসহ মানা, নীতি, বনপা, রেনিলতা, হর্ষিল পাহাড়ে শুরু হয়েছিল অনুসন্ধান। অনুসন্ধানকারী দলের দাবি, খোঁজ মিলেছে সেই জাদুশিকড়ের, যা মৃত মানুষের দেহে পুনরায় প্রাণ সঞ্চার করতে সক্ষম।
কোথায় রয়েছে সেই আশ্চর্য গাছ? এএসআই-এর বিজ্ঞানী ডাক্তার মানবেন্দ্র সিংহ বর্তবাল জানিয়েছেন, এই গাছের সন্ধান জানেন এই অঞ্চলের প্রাচীন অধিবাসীরা। তারা যে শুধু এই গাছের সন্ধান জানেন তাই নয়, তারা প্রয়োজনমতো এই গাছের প্রয়োগও করে থাকেন।
সত্যিই যদি এমন গাছ থেকে থাকে, তা হলে বৃহত্তর মানবসমাজের উপকারে সেই গাছের ব্যবহারকে কাজে লাগানো হচ্ছে না কেন? বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্রামের বাসিন্দারা এই গাছ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য নিজেদের মধ্যেই গোপন রাখেন। এমনকি গ্রামের প্রধান এবং বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিরা নিজেদের পরিবারের লোকজনকেও এই গাছের হদিস দেন না। তাদের নীতি হলো, যাদের মধ্যে প্রকৃত আগ্রহ রয়েছে তারা নিজেরাই খুঁজে নিতে পারবেন এই গাছ।
ডাক্তার বর্তবাল বলছেন, সঞ্জীবনী বুটি কোনো একটি গাছ নয়। আসলে অনেকগুলো গাছের শিকড়-বাকড়ের মিশ্রণকে সঞ্জীবনী বলা হয়। মৃতবৎ অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করে তোলার কাজে এই সঞ্জীবনীর আশ্চর্য ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু এই ফর্মুলা কিছুতেই গ্রামের বাইরে কাউকে জানাতে রাজি নন গ্রামবাসীরা।