November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

দিনের এই সময়ে জল খেলে কী হতে পারে জানেন?

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
সেই ছোট বেলা থেকে শুনে আসছেন নিশ্চয় যে জল যত বেশি করে খাবেন, তত শরীর সুস্থ থাকবে। একথার মধ্যে যে কোনও ভেজাল নেই, তা বলাই বাহুল্য। তবে আপনাদের কী জানা আছে দিনের কোন কোন সময়, কত পরিমাণে জল খেলে শরীর ভাল থাকে? জানা নেই তো। সেই কারণেই তো লিটার লিটার জল খেয়েও কোনও উপকার পান না।
কেউ বলে দিনে ৮ গ্লাস জল খাওয়া চাইই-চাই। আবার কারও ধারণা দৈনিক ৩-৪ লিটার জল না খেলে শরীর খারাপ হতে শুরু করে। আবার এমনও বিশ্বাস আছে যে, দুপুরের আগে বেশি করে জল খাওয়া উচিত। একবার লাঞ্চ হয়ে যাওয়ার পর বেশি জল খেলে নাকি শরীরের উলটো প্রভাব পরে। কোন কথাটা যে সত্যি, আর কোনটা মিথ্যে, তা কেউই ঠিক মতো জানেন না। তাই তো আজ বিশ্ব জল দীবসের দিন এই প্রবন্ধের মাধ্যমে জল নিয়ে দশকের পর দশক ধরে চলে আসা নানা ভুল ধারণার আবসান ঘটানো হবে। সেই কারণেই তো এই প্রবন্ধটি পড়া মাস্ট!
১. ঘুম থেকে ওঠার পর: সকালে চোখ খোলার সঙ্গে সঙ্গে কম করে ১-২ গ্লাস জল খেতেই হবে। এমনটা করলে শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকর সব টক্সিন বেরিয়ে যায়। ফলে রোগাক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
২. রাতে শুতে যাওয়ার আগে: রাত্রে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস জল খাওয়া মাস্ট। এমনটা করলে শরীরে জলের অভাব হওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে হ্রাস পায় ঘুমের মধ্যে স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কাও।
৩. স্নান করার আগে: প্রতিবার স্নান করার আগে অল্প করে জল খেয়ে নেবেন। এমনটা করলে শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে। ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক হতে শুরু করবে। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা যে রক্তচাপ যত স্বাভাবিক থাকবে, তত শরীর সুস্থ হয়ে উঠবে।
৪. খাবার খাওয়ার আগে ও পরে: কিছু খাবার খাওয়ার কম করে আধ ঘন্টা আগে এক গ্লাস জল পান জরুরি। এমনটা করলে হজম ক্ষমতা বেড়ে যায়, ফলে বদহজমের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও কমে যায়। ফলে ওজন হ্রাস পেতে শুরু করে। তাই তো য়ারা অতিরিক্ত দৈহিক ওজনের কারণে চিন্তিত, তারা আজ থেকেই খাবার খাওয়ার আগে জল পান শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন। অপরদিকে, খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জল খাবেন না। বরং মিল শেষ করার কম করে ৩০ মিনিট পরে জল পান করবেন। এমনটা করলে খাদ্যের মধ্যে থাকা পুষ্টিকর উপাদানগুলি আরও ভাল করে শরীরে লাগবে। ফলে দুর্বলতা যেমন হ্রাস পাবে, তেমনি রোগভোগের হাত থেকেও রক্ষা পাবেন।
৫. শরীরচর্চার আগে ও পরে: এক্সারসাইজ শুরু করার আগে ও পরে কম করে ১-২ গ্লাস জল খাওয়া জরুরি। এমনটা করলে শরীরে জলের অভাব দেখা দেবে না। ফলে ডিহাইড্রেশনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমবে।
৬. শরীর খারাপের সময়: শরীর যখন খারাপ থাকবে তখন সাধারণ দিনের তুলনায় বেশি করে জল খাবেন। ইচ্ছা হলে এই সময় জুসও খেতে পারেন, একই উপকার পাবেন। আসলে শরীর যখন ঠিক থাকে না তখন দেহে জলের অভাব দেখা দওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই জল বেশি করে জল খেলে ডিহাইড্রেশন হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়।
৭. যখন খুব ক্লান্ত লাগবে: সারাক্ষণই কেমন দুর্বল লাগে? কাজ করার শক্তিই পান না? এমন লক্ষণ দেখা গেলে বুঝবেন আপনার শরীরে জলের অভাব দেখা দিয়েছে। তাই তো ক্লান্তি বোধ হলেই এক গ্লাস জল খেয়ে নেবেন। দেখবেন অনেক তরতাজা লাগবে।
৮. ভাজাভুজি খাওয়ার সময়: জাঙ্ক ফুড খাওয়ার সময় জল খেলে খিদে কমে যায়। ফলে শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর খাবারগুলি বেশি করে শরীরে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে নানাবিধ রোগ হওয়ার আশঙ্কা যেমন হ্রাস পায়, তেমনি ওজন বৃদ্ধির হারও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

Related Posts

Leave a Reply