November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

মারাত্মক ঘামতে ঘামতে গাড়ি চালালেই সর্বনাশ !

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

শুরুর পথে গরম। এরপরই তীব্র তাবদাহে জ্বলবে ধরিত্রী। জীবন গরমে হয়ে উঠবে দুর্বিষহ। তাতে এই প্রবন্ধটি একবার পড়ে ফেলা মাস্ট! কারণ জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়! সবাই বলে মদ্যপান করে গাড়ি চালানো একেবারেই উচিত নয়। এমনটা করলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই তো পুলিশ-প্রশাসন এই বিষয়টি নিয়ে সদা তৎপর থাকেন। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে, মারাত্মক ঘামতে ঘামতে গাড়ি চালানো এবং মদ্যপান করে ডাইভ করার মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। তাই তো একাধিক সময় চিকিৎসক মহল এই বিষয়টির উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করেছেন যে শরীরে জলের অভাব থাকাকীলান গাড়ি চালানো একেবারেই উচিত নয়। যে কারণে গরমের সময় গাড়িতে দুটো করে জলের বোতল রেখে দেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

কিন্তু প্রশ্ন হল, শরীরে জলের অভাবের সঙ্গে গাড়ি না চালানোর কী সম্পর্ক?

তথ্য ১: একাধিক সমীক্ষায় দেখা গেছে শরীরে জলের অভাব দেখা দিলে জল তেষ্টাও বেড়ে যায়। এমন অবস্থায় গাড়ি চালালে একের পর এক ভুল হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। যেমনটা রাশ ড্রাইভিং বা মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর সময় হয়ে থাকে।

তথ্য ২: শরীর স্বাভাবিক অবস্থায় থাকলে যে কোন ড্রাইভার ঘন্টায় সাধারণত কম-বেশি ৩ থেকে ৮ টে ভুল করে থাকেন। যেখানে ডিহাইড্রেট অবস্থায় থাকা চালক ঘন্টায় প্রায় ৬-৭ টা ভুল করেন। রাস্তায় যেখানে একটা ভুলে প্রাণ যেতে পারে সেখানে কোনও ড্রাইভার যদি ৭ টা ভুল করে তাহলে তা প্রাণহানীর আশঙ্কা কতটা যে বাড়িয়ে দেয়, তা নিশ্চয় আর আলাদা করে বলে দিতে হবে না।

তথ্য ৩: শরীরে জলের অভাব দেখা দিলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে। ফলে মনোযোগ ঘাটতি দেখা দেয়। আর এমনটা গাড়ি চালাতে চালতে হলে কিন্তু বিপদ! কারণ সেক্ষেত্রে যে কোনও সময় মারাত্মক কিছু ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই এবার থেকে গাড়ি চালাতে চালাতে জল তেষ্টা পেলেই গাড়ি থামিয়ে অল্প করে জল খেয়ে নিন। তারপর কিছুটা সময় বসে নিয়ে গাড়ি চালানো শুরু করুন। এমনটা করলে মারাত্মক কিছু ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা কমে।

তথ্য ৪: শরীরে জলের ঘাটতি থাকাকালীন গাড়ি চালানোর সময় অনেক ক্ষেত্রেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলা, মাথা ঘোরা এবং হঠাৎ ঝাপসা দেখার মতো সমস্যাগুলি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। এই অবস্থায় গাড়ি চালানো মোটও নিরাপদ নয়। কারণ যেভাবে সারা দেশে জনসংখ্যার চাপ বাড়ছে তাতে সামান্য ভুলও যে মারাত্মক রূপ নিতে পারে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাই সাবধান!

তথ্য ৫: অ্যাক্সিডেন্ট কেন হয়? একাধিক সমীক্ষার রিপোর্ট পর্যালাচনা করলেই জানতে পারবেন শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বে প্রায় ৮০ শতাংশ অ্যাক্সিডেন্টের পিছনে দায়ি থাকে ড্রাইভারের কোনও না কোনও ভুল। আর শরীরে জলের ঘাটতি নিয়ে গাড়ি চালালে ভুল হওয়ার সম্ভবনা আরও বেড়ে যায়, সেকথা কে না জানে।

তথ্য ৬: গরমের সময় এসি না চালালে গাড়ি চালানোর সময় মারাত্মক ঘাম হয়। ফলে শরীর থেকে নিমেষে জল বেরিয়ে গিয়ে ডিহাইড্রেশনের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই তো গরম কালে সঙ্গে দুটো জলের বোতল রাখবেন। আর বোতল দুটোকে ভেজা কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখতে ভালবেন না। এমনটা করলে জলটা অনেকক্ষণ পর্যন্ত ঠান্ডা থাকবে। এবার নিশ্চয় বুঝতে পরেছেন, চিকিৎসকেরা কেন অতিরিক্ত ঘামার সময় গাড়ি চালাতে মানা করেন!

Related Posts

Leave a Reply