দোলনাকে ভালোবাসলেই সারাজীবন সুস্থ !
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
ছোট বেলায় মায়ের হাত ধরে যখন পার্কে যেতাম, তখন মাঝে মধ্যে চড়তাম বৈকি। তবে গোঁফের রেখা বেরনোর পর আর কোনও দিন উঠেছি বলে তো মনে পরে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আবার চড়তে হবে। কেন? এক ডাক্তার বন্ধুর কারণে। কদিন কথায় কথায় সে হঠাৎই জানালো, দোলনায় চড়লে নাকি শরীরের অনেক উপকার হয়। এমনকী অনেক রোগও নাকি দূরে পালায়। তাই অগত্যা দোলনার সঙ্গে আবার বন্ধুত্ব পাতানো।
বলেন কী মশাই! দোলনা চড়লেও এবার থেকে শরীরের উপকারে লাগবে। একেবারেই! একাধিক সাইন্স জার্নালে প্রকাশিত একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে দোলনা চড়ার সময় আমাদের শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি ঝড়ে যায়। ফলে ওজন তো কমেই। সেই সঙ্গে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টরল এবং হার্ট ডিজিজের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। তবে এখানেই শেষ নয়। এই মজার কাজটি করার মধ্যে দিয়ে আরও অনেক উপকার মিলতে পারে। যেমন…
উপকারিতা ১: আপনার হয়তো বিশ্বাস করতে একটু কষ্ট হবে। কিন্তু একথা ইতিমধ্যেই একাধিকবার প্রমাণ হয়ে গেছে যে টানা ৬০ মিনিট, মানে ১ ঘন্টা দোলনায় চড়লে প্রায় ২০০ ক্যালোরি বার্ন হয়। এই পরিমাণ ক্যালোরি যদি প্রতিদিন ঝড়তে থাকে তাহলে ওজন কমতে যে একবারেই সময় লাগবে না, তা বলাই বাহুল্য!
উপকারিতা ২: দোলনায় চড়ার সময় আমাদের পায়ের পেশি, লিগামেন্ট, পেলভিক মাসল, এমনকী জয়েন্টের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীরের এই অংশগুলিতে কোনও ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
উপকারিতা ৩: এমন বেশ কিছু সহজ পদ্ধতি আছে যার মাধ্যমে আমরা শরীরকে প্রতিনিয়ত চাঙ্গা রাখতে পারি। যেমন দোলনা চড়ার কথাই ধরুন না। এই কাজটি করার সময় আমাদের স্ট্রেস লেভেল একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে মেন্টাল হেল্থ-এরও উন্নতি ঘটে।
উপকারিতা ৪: সম্প্রতি প্রকাশিত একটি স্টাডি অনুসারে অ্যাটিজম রোগে আক্রান্ত বাচ্চাদের দোলনা চড়ালে শরীরের অনেক উপকার হয়।
উপকারিতা ৫: ২০ মিনিট শরীরচর্চা করলে শরীরের যে পরিমাণ উপকার পাওয়া যায়, সেই একই সময় দোলনা চড়ে কাটালেও সমান ফল মেলে। উল্টে দোলনা চড়লে মনও খুশি হয়ে যায়। তাই বিষয়টা যখন শরীর নিয়ে তখন সময় বিশেষে একটু বচ্চা হয়ে যেতে ক্ষতি কী!
উপকারিতা ৬: এক্ষেত্রে একটা বিষয় মাথায় রাখবেন শুধু। দোলনায় এমনভাবে বসবেন যাতে সারা শরীর এর উপকার পেতে পারে। এক্ষেত্রে দোলনায় বসে পা দুটো সোজা রেখে হাওয়ায় ভাসার চেষ্টা করলে নাকি বেশি উপকারি পাওয়া যায়।।
তবে সাবধান! দোলনায় চড়ার সময় শিকলটা ভাল ধরে রাখবেন। না হলেই কিন্তু ধুরুম…ধপাস! আর বাচ্চাদের দোলনা চড়ানোর আগে মনে করে সিট এবং চেনটা দেখে নিতে ভুলবেন না।