এই ফলগুলি খাওয়ার পর জল খেলেই সর্বনাশ !
ছোট থেকেই মা বলে আসছেন খেয়ে উঠে জল না খেতে। কিন্তু কী করি, আমার খেতে বসলেই যেন জল তেষ্টা বেড়ে যায়। মনে হয় যেন মরুভূমিতে এনে ফেলেছে আমায়। তাই খাবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঘটা ঘট জল খাওয়াও চলতে থাকে। এমন অবস্থার শিকার কি আপনিও? তাহলে এই প্রবন্ধটি আপনার জন্যই লেখা। তবে এই লেখায় খাবার খাওয়ার সময় জল খেলে কী হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে না, বরং বিশেষ কিছু ফল খাওয়ার পর জল খেলে কী হতে পারে, তার উপর আলোকপাত করা হবে। কারণ খাবার সময় জল খেলে তবু ক্ষতিকে আনেকাংশে আটকানো সম্ভব, কিন্তু এই ফলগুলি খাওয়ার পর জল খেলে তো মারাত্মক বিপদ!
কী কী ফলের পর জল নৈব নৈব চ! চলুন চলুন জানার চেষ্টায় নেমে পরা যাক। সময় নষ্ট করা মানে কারও না কারও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে!
জলের সঙ্গে জল নয়!
যে যে ফলে জলের পরিমাণ খুব বেশি থাকে, সেইসব ফল খাওয়ার পর ভুলেও জল খাওয়া চলবে না। যেমন ধরুন, তরমুজ, শসা, কমলা লেবু, মৌসাম্বি, আনারস প্রভৃতি। কেন?
শরীরে পি এইচ লেভেল বিগড়ে যায়:
যে ফলে জল বেশি, এমন ফল খাওয়ার পর জল খেলে পি এইচ লেভেল ঠিক থাকে না। ফলে হজমের সমস্যা সহ একাধিক রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে। তাই তো প্রতিনিয়ত পি এইচ লেভেল ঠিক রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। এই একই কারণে খালি পেটে পেঁপে খেতেও মানা করেন চিকিৎসকেরা। কারণ এমনটা করলেও পি এইচ লেভেল কমতে শুরু করে।
হতে পারে ডাইরিয়াও!
একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে ভরা পেটে যদি শসা বা তরমুজ খাওয়া যায়, তাহলে হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটে। কিন্তু সেই একই ফল যদি কালি পেটে খাওয়া হয় অথবা খাওয়ার পর পরই জল খাওয়া হয়, তাহলে পেটের অন্দরে এমন বিক্রিয়া হয় যে লুজ মোশান বা ডায়ারিয়ার মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। এখানেই শেষ নয়, শরীরে জলের পরিমাণ বেড়ে গেল হজমে সহায়ক একাধিক অ্যাসিড জলে গুলে যায়, ফলে বদ-হজম, গ্যাস-অম্বল প্রভৃতি সমস্যায় শরীর জর্জরিত হয়ে পরে।
তাহলে উপায়?
খাবার খাওয়ার ৩০-৪০ মনিটের মধ্যে জল খাওয়া যেমন চলবে না, তেমনি জল বেশি রয়েছে এমন ফল খাওয়ার পরও একই নিয়ম মানতে হবে। না হলে কী হতে পারে, তা নিশ্চয় এতক্ষণে জেনে গেছেন। তাই না!