গ্রীষ্মে ছোট্ট সোনাকে রাখুন জলে হাবুডুবু, বাঁচান অবসাদ থেকে
চলছে গ্রীষ্মকাল।গ্রীষ্মের এ প্রচণ্ড গরমে অধিকাংশ মানুষ আক্রান্ত হয়ে থাকে বিভিন্ন অসুখে।বিশেষ করে প্রাণচঞ্চল বাচ্চারা সহজেই এ সময় আক্রান্ত হয়ে পড়ে অসুখে।এসব অসুস্থতার মধ্যে রয়েছে জ্বর, সর্দি কাশি, ডায়রিয়া, সামার বয়েল, ঘামাচি ইত্যাদিকিছু সাবধানতা অবলম্বন করে চললে সহজেই এসব সমস্যা থেকে শিশুদের রক্ষা করা যায়।
তীব্র গরমে শিশুরা সহজেই জলশূন্যতায় আক্রান্ত হতে পারে।যা থেকে সৃষ্টি হয় ডিহাইড্রেশন ফিভার। এতে শরীরের তাপমাত্রা একটু বেশি থাকে।তবে শরীরের জলের ভারসাম্য ঠিক রাখলে জ্বর নিয়ন্ত্রণ করা সহজেই সম্ভব।পাশাপাশি প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।গরমে জলশূন্যতার হাত থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত জল পান করাতে হবে শিশুকে।
এ ছাড়া, ডাবের জল, ঘরে তৈরি ফলের রস কিংবা ওরস্যালাইন দেয়া যেতে পারে।কোনোক্রমেই বাইরের খোলা শরবত খাওয়া উচিত নয়।শরীরে জলের অভাব হলে শিশু সহজেই অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে।তাই শিশুর শরীরে জলের ভারসাম্যতা বজায় রাখা খুবই জরুরি।এ ছাড়া, গরমে ঘামাচি কিংবা সামার বয়েলে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা।গরমের এই সময়ে শিশুকে সবসময় সুতির পোশাক পরিয়ে রাখতে হবে।এতে শিশুর শরীরের ঘাম বসে সর্দি লাগবে না।
এ ছাড়া, শিশুকে যতটা সম্ভব ঠাণ্ডা পরিবেশে রাখতে হবে এবং নিয়মিত স্নান করাতে হবে। শিশুর ঘামাচিতে ক্যালামাইন লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে।তবে সামার বয়েলে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক সেবনকরতে হবে।দুঃসহ এই গরমে শিশুর সঠিক যত্ন নিশ্চিত করতে পারলেই আপনার শিশু থাকবে প্রাণচঞ্চল ও সুস্থ ।