আগে শুনেছেন শরীরের ও মাথার ব্যালান্স ঠিক রাখে শুধু কানই
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
মানুষ সহ প্রায় সমস্ত প্রাণীর শ্রবণেন্দ্রিয় হিসাবে কাজ করে কান। এই ইন্দ্রিয়ের কারণে জীবজগতের সমস্ত শব্দ আমরা শুনতে পাই। আর সেই অনুযায়ী তথ্য আদান-প্রদানে সমর্থ হই।
কান ভালো রাখতে চিকিৎসকেরা সবসময়ই কয়েকটি দাওয়াই বাতলে থাকেন। বেশি জোরে চলা শব্দের কাছাকাছি না থাকা, কাঠি দিয়ে না করে তুলোর পাফ দিয়ে কান পরিষ্কার করা, বেশিক্ষণ কানে ইয়ার ফোন ব্যবহার না করা।
তবে কান সম্পর্কে এমন অনেক অজানা তথ্য রয়েছে যা আমরা অনেকেই জানি না। সেগুলি সম্পর্কেই বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
কান পরিষ্কার করা : কানের মধ্যে মোমজাতীয় একটি উপাদান তৈরি হয় যা নিজে থেকেই কানের ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
কানের মধ্যে শব্দ : হাই তোলার সময়ে কানের মধ্যের টিউবের মতো জায়গা ভিতরকার চাপকে স্তিমিত করার জন্য খুলে যায়। এই সময়ে ভিতর থেকে জোরে বাতাস কানের বাইরে বেরিয়ে আসে। এভাবে বাতাসের চাপ থেকে কান রক্ষা পায়। ক
শরীরের ব্যালান্স ঠিক রাখতে : কান শুধু শব্দ শুনতেই নয়, শরীরের ও মাথার ব্যালান্স ঠিক রাখতেও সাহায্য করে।
বেড়াতে বেরিয়ে অসুবিধা : কোথাও ঘুরতে গিয়ে অনেকেরই বমি, মাথা ঘোরা ইত্য়াদি হতে থাকে। এসবের মূল কারণ কান। চলন্ত অবস্থায় কানের মধ্য়ের সমতা বিগড়ে যায় ও যার ফলে বমি হয়। কানে শোনা বন্ধ হয় না কানে শোনা ঘুমের মধ্যেও বন্ধ হয় না। এক্ষেত্রে ঘুমের মধ্য়ে কান থেকে মস্তিষ্কে সিগন্যাল পৌঁছনো বন্ধ থাকে। তবে কোনও শব্দ কানে পৌঁছনো থেকে বিরতি থাকে না।
কানে না শোনার কমন কারণ : ৮৬ ডেসিবেলের বেশি শব্দ হলে কান শোনা বন্ধ হয়ে যায়। ৬০ ডেসিবল পর্যন্ত শব্দ ভালোভাবে কানে পৌঁছয়। কানের মধ্যের ছোট লোম কানের দেওয়ালে ছোট ছোট লোম থাকে। এই ছোট লোমগুলি কানের থেকে নিয়ে শব্দতরঙ্গকে মস্তিষ্কে পৌঁছে দেয়। তারপর মস্তিষ্ক সেই শব্দকে অনুধাবন করে আত্মস্থ করে। এই লোমগুলির কোনও ক্ষতি হলে কানে শোনার ক্ষমতা বাধাপ্রাপ্ত হয়।