এই খাবারে সবচেয়ে খুশি থাকবে আপনার লিভার
দিনরাত কাজ করে চলেছে আপনার শরীরের যেসব অংশ লিভার তার মধ্যে অন্যতম। এর মধ্যে ঢোকা সবকিছুকেই এটি পরিশোধিত করার কাজে ব্যস্ত থাকে। [৭দিনে ফোলা পেট ফ্ল্যাট করার উপায়] শরীরের সমস্ত জমা ক্ষতিকর টক্সিন গিয়ে জমা হয় লিভারে। সেখান থেকে তা মল-মূত্রের মাধ্যমে শরীরের বাইরে বেরিয়ে যায়। ফলে শরীর সুস্থ থাকে। আর এই প্রক্রিয়াটি বিরামহীনভাবে দিবারাত চলতে থাকে।
খাবার হজম করানো ছাড়াও নানা ধরনের পুষ্টিগুণকে শরীরে জমাতেও লিভার কার্যকরী ভূমিকা নেয়। এর উপরে যদি কেউ মধ্যপানে অভ্যস্ত হন, সেটা লিভারের জন্য অত্যন্ত খারাপ হয়ে দাঁড়ায়।
তাই লিভারকে অযথা হয়রানি করা একেবারেই উচিত নয়। এর পাশাপাশি খাবারের ক্ষেত্রেও আমাদের এমন জিনিস বাছতে হবে যা লিভারকে ভালো রাখে। সবই বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
ব্রকোলি : ক্লোরোফিলের জন্য ব্রকোলির বাইরের রং হয় সবুজ। এছাড়াও এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ও ফাইবার ভরপুর মাত্রায় রয়েছে। যা শরীরের ক্ষতিকর টক্সিনকে দূর করতে বিশেষ সাহায্য করে।
বীট : বীট লিভারের জন্য অত্যন্ত ভালো।এটি রক্তকে পরিষ্কার করে ও লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। এতে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, আয়রন ও আরও নানা পুষ্টিগুণ ঠাসা রয়েছে।
লেবু : লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস যা লিভারকে ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায় ও সারিয়ে তোলে। শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দিতেও এর জুড়ি নেই।
আপেল : আপেলে রয়েছে পেকটিন যা একধরনের ফাইবার। এটি রক্ত থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দেয়। এছাড়াও লিভারকে ভালো রাখার নানা উপাদান এতে রয়েছে।
মিষ্টি আলু : মিষ্টি আলুতে রয়েছে বিটা ক্য়ারোটিন। যা লিভারের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। পেঁয়াজ পেঁয়াজে থাকে অ্যালিসিন যা পাচনক্রিয়া ও লিভারের জন্য উপযোগী। এছাড়া লিভারকে পরিষ্কার করতেও এর জুড়ি নেই।
রসুন : রসুনেও পেঁয়াজের মতো অ্যালিসিন রয়েছে। এটিও রক্ত পরিশ্রুত করতে ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
আভোকাদো : আভোকাদো ছাড়াও নানা ধরনের বাদামে শরীরের উপযোগী উপকারী ফ্যাট রয়েছে। এছাড়াও শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দিতেও এর জুড়ি নেই।
সবুজ শাক-সবজি : সবধরনের সবুজ শাক-সবজিই শরীরের জন্য উপকারী। নিজের প্রতিদিনের ডায়েটে এগুলিকে রাখলে লিভারের পাশাপাশি গোটা শরীরই সুস্থ থাকবে।