গার্নেট পরলেই টের পাবেন মহিমা !
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
একেবারে ঠিক শুনেছেন আপনারা। আমি গয়নার কথাই বলছি! আপনার পছন্দের একাধিক গয়না নানাভাবে আপনার শরীরকে একাধিক রোগের হাত থেকে যে প্রতিনিয়ত বাঁচিয়ে চলেছে, সে বিষেয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে মজার বিষয় কি জানেন, বেশিরভাগ মানুষেরই এই বিষয়ে কোনও ধারণা নেই, তাই তো এই প্রবন্ধটি একবার পড়ে ফললে আপনি গয়না-গাটি যে আর ব্যাঙ্কের লকারে পুরে রাখবেন না, সে কথা হলফ করে বলতে পারি।
এখন প্রশ্ন হল, গয়না এবং পাথর কীভাবে আমাদের শরীরের ভাল-মন্দকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে? একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে যে যে উপাদান ব্যবহার করে গয়না বানানো হয়, সেগুলি প্রথমে ত্বকের সংস্পর্শে আসে, তারপর রক্তে মিশে গিয়ে শরীরের অন্দরে নানা পরির্বতন করতে শুরু করে, যা নানাবিধ রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কীভাবে এমনটা সম্ভব হয়? চলুন খোঁজ লাগানো যাক সে বিষয়ে।
রূপোর গয়না: এমন গয়না পড়াকালীন রূপো আমাদের ত্বক ভেদ করে ধীরে ধীরে রক্তে মিশিতে শুরু করে। ফলে শরীরে এই ধাতুটির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। আর এমনটা হলে রক্তচাপ একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে সারা শরীরে রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি পায়, রক্তনালীর পরিধির উন্নতি ঘটে এবং হাড় আরও মজবুত হয়।
প্রসঙ্গত, শরীরে যে কোনও ধরনের যন্ত্রণা কমিয়ে ফেলতেও রূপো দারুন কাজে আসে। এবার বুঝতে পারছেন তো অনেকেই রূপোর থালায় কেন খাবার খান।
তামার চুড়ি বা বালা: এই ধরনের গয়না পরলে যে কোনও ধরনের যন্ত্রণা কমে যায়। কারণ তামা ব্যথা কমাতে দারুন উপকারে লাগে। শুধু তাই নয়, এই ধাতুটি রক্তে মিশে যাওয়ার পর শরীরের যে কোনও ধরনের প্রদাহ হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে আর্থ্রারাইটিসের মতো রোগের লক্ষণও কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, আপনি কি বাতের ব্যথায় কাবু? কিছু করেই যন্ত্রণা কমছে না? তাহলে আজই তামার চুড়ি পরা শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন।
সোনার গয়না: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে সোনার গয়না পরলে শরীরের বয়স কমে যায়। কারণ এই ধাতুটি বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে একেবারে থামিয়ে দেয় । সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরের যে কোনও ধরনের কষ্ট কমায় এবং ডিপ্রেশন, অ্যাংজাইটির মতো রোগর প্রকোপ হ্রাসে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আত্মবিশ্বাস বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় এই ধাতুটি।
মুক্ত: হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি ডায়াজেস্টিভ ট্রেকের স্বাস্থ্য ফেরাতে, হার্ট ভাল রাখতে এবং ফার্টিলিটি বৃদ্ধি করতে মুক্তোর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শরীরে মুক্তোর প্রভাব যত বাড়তে থাকে, তত রাগ কমে যায় এবং মন শান্ত হতে শুরু করে।
গার্নেট: একথা তো কারও অজানা নেই যে জেমস্টোন নানাভাবে আমাদের শরীর এবং মনকে প্রভাবিত করে থাকে। তাই যে কোনও ধরনের পাথর পরার আগে একবার অ্যাস্ট্রোলজারের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে ভুলবেন না। প্রসঙ্গত, গার্নেট যেমন কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে, তেমনি আত্মবিশ্বাস বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
অ্যাম্বার: সেই প্রাচীনকাল থেকে ঘারের ব্যথা, মাথার যন্ত্রণা এবং গলার কষ্ট কমাতে এই হলদেটে এই পাথরটির ব্যবহার হয়ে আসছে। এখানেই শেষ নয়, এই পাথরটি দিয়ে তৈরি নেকলেস প্রতিনিয়ত পরে থাকলে, কখনও ক্লান্তি বা অ্যাংজাইটির শিকার হবেন না। নীলা: এই পাথরটি পরলে মন-মেজাজ একেবারে শান্ত হয়ে যায়। সেই সঙ্গে অ্যাংজাইটি এবং মানসিক চাপও কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, দৈহিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির পাশপাশি শরীর যাতে কোনওভাবে দুর্বল না হয়ে পরে, সেদিকেও খেয়াল রখে নীলা।
পান্না: দাঁতকে শক্তপোক্ত রাখার পাশাপাশি হজম ক্ষমতা এবং দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে পান্না দারুনভাবে কাজে আসে। শুধু তাই নয়, জীবন পজিটিভ এনার্জিতে ভরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মনকে খুশি রাখতেও এই পাথরটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।