May 17, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ব্যবসা ও প্রযুক্তি রোজনামচা

বিটকয়েনের চক্করে প্রবল বিদ্যুৎ সংকটে পড়তে চলেছে আইসল্যান্ড

[kodex_post_like_buttons]

 

নিউজ ডেস্কঃ

আইসল্যান্ডে বড় বড় ডাটা সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে বিটকয়েন খোঁজার যে হিড়িক পড়েছে তাতে দেশটি এখন বিদ্যুৎ সংকটে পড়তে চলেছে। দেশটির একটি জ্বালানি কোম্পানি এইচএস ওরকা জানিয়েছে, এসব ডাটা সেন্টার চালাতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে।

কোম্পানিটির মুখপাত্র জানিয়েছেন, এ বছর আইসল্যান্ডে সব বাড়িতে যত বিদ্যুৎ খরচ হবে, তার চেয়ে হয়তো বেশি বিদ্যুৎ খরচ হবে এসব ডাটা সেন্টারে। তিনি জানান, আরও অনেকে এখন এসব ডাটা সেন্টার স্থাপনের দিকে ঝুঁকছে। সব প্রকল্প যদি বাস্তবায়িত হয়, সেগুলো চালানোর মতো বিদ্যুৎ আইসল্যান্ডে থাকবে না।

আইসল্যান্ডের জনসংখ্যা খুব কম, মাত্র তিন লাখ ৪০ হাজার। কিন্তু সম্প্রতি এই দ্বীপে নতুন ডাটা সেন্টার গড়ার হিড়িক পড়েছে। যেসব কোম্পানি এসব ডাটা সেন্টার স্থাপন করছে তারা দেখাতে চায় যে তারা পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহার করছে। আইসল্যান্ডে উৎপাদিত বিদ্যুতের শতকরা একশো ভাগই আসে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে।

কিভাবে বাড়ছে এই চাহিদা…..
বিটকয়েন মাইনিং বলতে বোঝায় বিশ্বজুড়ে যে বিটকয়েন নেটওয়ার্ক আছে তার সঙ্গে কম্পিউটারকে যুক্ত করা এবং এই ক্রিপ্টো কারেন্সীর যে লেন-দেন হচ্ছে সেগুলো যাচাই করা। যেসব কম্পিউটার এই যাচাইয়ের কাজটি করে, তারা সামান্য পরিমাণে ‘বিটকয়েন পুরস্কার’ পায় এর প্রতিদানে। কিন্তু কেউ যদি এই কাজটি বিশাল আকারে করতে পারে, সেটি বেশ লাভজনক।

কিন্তু আইসল্যান্ডে এখন এই ব্যবসার বিপুল প্রবৃদ্ধি ঘটছে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডাটা সেন্টারগুলোর জন্য বিদ্যুৎ খরচ। অনুমান করা হচ্ছে, এবছর আইসল্যান্ডে বিটকয়েন মাইনিং অপারেশনের পেছনে প্রায় ৮৪০ গিগাওয়াট ঘণ্টা প্রতি বিদ্যুৎ খরচ হবে। এর বিপরীতে আইসল্যান্ডের সব বাড়ি মিলে বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে সাতশো গিগাওয়াট প্রতি ঘণ্টা। বিটকয়েন নিয়ে এই পাগলামি যে তাড়াতাড়ি থামবে, তার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

 

Related Posts

Leave a Reply