যে শহর কখনো ঘুমায় না
ট্রাভেল ডেস্ক :
থাইল্যান্ডের একটি শহরের নাম ফুকেট।লক্ষ্য ছিল ট্রেনে ব্যাংকক থেকে ফুকেট যাওয়ার।বাসে এবং ট্রেনে যেতে সময় লাগে ১২ ঘণ্টার।খুব ভাল ভিআইপি বাসে গেলে খরচ পড়ে ৯০০ থেকে ১১০০ বাথ (২.৭৫ টাকা = ১ বাথ) বাংলা আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা।তবে একটু চালাক না হলে ভ্রমণটা একটু কষ্টদায়ক হবে।কারন অনেক বাস কাউন্টার থেকে ভিআইপি বাসের ছবি দেখিয়ে টাকা নিয়ে সাধারন বাসে ভ্রমন করায়।
তবে ব্যাংকক থেকে সরাসরি ট্রেনে ফুকেট যাওয়া যায় না।ব্যাংকক রেইলষ্টেশন থেকে সুরাত থানি এবং সেখান থেকে বাসে ফুকেট।ট্রেন খরচ অবশ্য অনেক কম।ট্রেনে উঠে অবাক হয়ে যাবেন যখন দেখবেন এয়ারহস্টেজের মতো কয়েকটা মেয়ে আপনাকে বাসে উঠতেই জুস, পুডিং কেক, জল ইত্যাদি খেতে দেবে । সেখান থেকে প্রায় ৫ ঘণ্টা সময় লাগে ফুকেট যেতে।সেখান থেকে ট্যাক্সিতে করে যেতে হবে হোটেলে।
ফুকেটকে বিদেশীদের শহর বলা হয়।কারন পুরো ফুকেট জুড়ে ব্রিটিশ, আমেরিকান ও মধ্যপ্রাচ্যের পর্যটকদের সমাগম।বাঙালি নাই বললেই চলে।হোটেলে থাকার খরচ অনেক বেশি হলেও অফ সিজনে ভাড়া অর্ধেক।সিজন হচ্ছে ডিসেম্বর থেকে মার্চ-এপ্রিল।মোটামুটি সাধারন হোটেলের ভাড়া আঠারশ থেকে ২ হাজার টাকা হলেও অফ সিজনে ভাড়া অর্ধেক।
সারা শহর আলোয় আলোকিত হয়। নাচ, গান, জাদু, কনসার্ট আরো কতকি।রেস্টুরেন্ট গুলোতে মদ ও বিয়ারের ছড়াছড়ি।আর মেয়েরা অর্ধলাঙ্গভাবে টেবিলে টেবিলে গিয়ে মানুষকে বিনোদন দেয়।বাঙালি হিসেবে দেখতে অবাক লাগে যে কিভাবে মানুষ এত ফুর্তি করে।আনন্দ ফুর্তি চলে ভোর ৬টা পর্যন্ত। আবার শুরু হয় রাতে।ফুকেটের রাস্তায় রাস্তায় হরেকরকমের খাওয়া পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে ফল, নুডুলস, ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই, সুপ, কেক আরও নাম না জানা অনেক খাবার। তাছাড়া কেএফসি, বার্গার কিং, মেগডোনাল্ডস, সাবওয়েতো আছেই।এদের দামের সাথে বাংলাদেশের আকাশ পাতাল তফাৎ।
হোটেলে এবং শপিং মল গুলোতে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ কার্ড পাওয়া যায়।এই কার্ড গুলো কেনার মাধ্যমে ফুকেটের বিভিন্ন দ্বীপ সারাদিন ঘুরে দেখা যায়।সমুদ্রের চারপাশে শুধু দ্বীপ আর দ্বীপ। চোখ ফেরানো যায় না।মায়াবী, ফি ফি আইল্যান্ড, মাংকি বীচ সহ আরও অনেক গুলো দ্বীপে ঘোরা যায়।সবচেয়ে অলৌকিক বিষয় ছিল মাংকি বীচ আইল্যান্ডে অনেকগুলো বাঁদর বসবাস করে।
কেনাকাটার জন্যে ব্যাংকক’র মতো বিখ্যাত না হলেও ফুকেটে বেশ কয়েকটি শপিং মল রয়েছে। এর মধ্যে জাংসিলন অন্যতম।