May 10, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

ইন্দোনেশিয়ায় ক্রমশই সক্রিয় হচ্ছে আইএস !

[kodex_post_like_buttons]

নিউজ ডেস্কঃ

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের মত বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম প্রধান দেশ ইন্দোনেশিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই হামলাকারীরা তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের সাথে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে।

২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় বিস্ফোরণ ও গুলিতে চার বেসামরিক নাগরিক ও চার হামলাকারী নিহত হয়েছিলেন। সেবারই প্রথম ইন্দোনেশিয়ায় হওয়া কোনও জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করে আই-এস। পরবর্তী সময়ে বলা হয় জাকার্তায় হামলাকারীরা ইন্দোনেশিয়া ভিত্তিক জেমাহ আনসারুত দৌলা ( জেএডি) জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য, যারা অতীতে নিজেদের আইএস এর সাথে সম্পৃক্ত বলে দাবি করেছিল।

তারপর থেকেই দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় জঙ্গি তৎপরতা বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করে আইএস।জাকার্তা হামলার পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাদের কর্মকান্ড ক্রমেই বাড়িয়ে চলেছে আইএস। সমর্থকদের আরো আক্রমণের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে ও সরকারকে হুমকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ভিডিওতে তারা ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকদের ব্যবহার করে। ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল গ্যাতত নুর্মান্তায়ো ২০১৭ সালে এক বক্তব্যে বলেন যে ইন্দোনেশিয়ার প্রায় সব প্রদেশেই ছড়িয়ে পড়েছে আই-এস।

গত কয়েক বছরে সিরিয়া ও ইরাকে আইএস এর পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে অনেকেই দেশত্যাগ করেছে বলেও মনে করা হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার এই সব জিহাদি গোষ্ঠীর অন্যতম প্রভাবশালী নেতা মনে করা হয় জেএডি’র নেতা আমান আব্দুর রহমানকে, যিনি গত ১২ বছর ধরে ইন্দোনেশিয়াযর কারাগারে বন্দি রয়েছেন। সমর্থকদের সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিচার চলছে আদালতে। বর্তমানে যেই কারাগারে তিনি রয়েছেন সেটিকে বিশ্লেষকরা আই-এস সমর্থক জঙ্গিদের চারণভূমি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

২০০২ এ বালির একটি নাইটক্লাবের বাইরে আল কায়েদার সাথে সম্পর্ক থাকা জঙ্গিদের বোমা হামলায় ২০২ জন মারা যায়। এরপর ইন্দোনেশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী উগ্রপন্থী দলগুলোর ওপর কঠোর অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ব্যাপক গ্রেফতার ও পরিকল্পিত হত্যাসহ ইন্দোনেশিয়ান জঙ্গিদের মনোভাব পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে নানা ধরণের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। ছাড়া পাওয়া জঙ্গিদের পুনর্বাসনের জন্যও নেওয়া হয় বিভিন্ন উদ্যোগ। বালির বোমা হামলার পর ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ প্রায় ৮০০ জঙ্গিকে গ্রেফতার করে আর ১০০ জনের বেশী জঙ্গিকে হত্যা করা হয়।

ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সুরা-বায়া’র তিনটি গির্জায় হওয়া সর্বশেষ হামলায় ১১ জন নিহত হওয়ার ঘটনাটি ২০০৫ এর পর ইন্দোনেশিয়ায় হওয়া সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলা। ২০০৫ এ বালিতে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে ২০ জনের বেশী মানুষ মারা যায়। তবে গত কয়েকবছরে ইসলামপন্থী জঙ্গিরা বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়।

 

Related Posts

Leave a Reply