May 13, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

অবৈধ ভাবে বিশ্বকাপ দেখাবে সৌদি আরব !

[kodex_post_like_buttons]

নিউজ ডেস্ক :

রাশিয়ায় পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিচ্ছে সৌদি আরব। ১৪ জুন টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামবে তারা। প্রতিপক্ষ স্বাগতিক রাশিয়া। তবে বিশ্বকাপে নিজেদের খেলা টেলিভিশনে বৈধভাবে দেখার সুযোগ পাচ্ছে না সৌদি নাগরিকরা। 

শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপের সবগুলো ম্যাচ অবৈধভাবে দেখতে হবে তাদের। সৌদি কর্তৃপক্ষ বেআইনীভাবেই বিশ্বকাপের সব ম্যাচ দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে তাদের নাগরিকদের। অন্তত এমনটাই দাবি করেছে মধ্যপ্রাচ্যে বিশ্বকাপের সম্প্রচার স্বত্বের অধিকারী চ্যানেলটি।

মধ্যপ্রাচ্যে ইউরোপিয়ান লিগসহ বিশ্বকাপের সম্প্রচার স্বত্ব ‘বিইন স্পোর্টস’ এর। চ্যানেলটি সৌদি আরবের পার্শ্ববর্তী দেশ কাতারের। আর সমস্যাটি সেখানেই। প্রায় এক বছর ধরে কাতারের ওপর সৌদি নেতৃত্বাধীন ৫ দেশের একটি বাণিজ্যিক, কূটনৈতিক ও যোগাযোগ অবরোধ কার্যকর আছে।

যার ফলে বিইন স্পোর্টস সৌদি আরবে নিষিদ্ধ। এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে বিশ্বকাপের সম্প্রচার স্বত্ব একমাত্র এই চ্যানেলটির। তাই বৈধভাবে বিশ্বকাপের খেলাগুলো সৌদি আরবে সম্প্রচার করতে হলে কাতারভিত্তিক এই চ্যানেলটির দ্বারস্থ হতে হবে সৌদি কর্তৃপক্ষকে।

এ পরিস্থিতিতে নিজ দেশে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো সম্প্রচার করতে চৌর্যবৃত্তির আশ্রয় নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এমনই দাবি কাতারভিত্তিক চ্যানেলটির। তারা জানিয়েছে, বিইন চ্যানেলের সম্প্রচার তরঙ্গ চুরির জন্য ‘বিআউটকিউ’ নামে এক ধরনের স্যাটেলাইট সার্ভিসের সহায়তা নিচ্ছেছ সৌদি কর্তৃপক্ষ।

যার মাধ্যমে সৌদি আরব বিইন চ্যানেলের তরঙ্গ পাইরেট করে নিজ দেশের ইন্টারনেট গ্রাহকদের খেলা দেখাতে পারবে। এর জন্য গ্রাহকদের ৮০ পাউন্ড খরচ করে একটি ডেকোডার বক্স কিনতে হবে মাত্র। ‘বিআউটকিউ’র ট্রান্সমিশন পুরোপুরি ‘বিইন’এর মতো। মাত্র ১০ সেকেন্ডের ডিলেতে এটি সম্প্রচারিত হবে।

এদিকে সৌদি কর্তৃপক্ষের এই চুরি রুখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিইন। তারা এরই মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার পাউন্ড খরচ করেছে সৌদিকেন্দ্রিক সম্প্রচার স্টেশনটি খুঁজতে। যাতে করে তারা ওখান থেকে সম্প্রচার বন্ধ করতে পারে।

তারা জানিয়েছে বিআউটকিউ’র সিগন্যালের উৎস হচ্ছে, সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে। এ বিষয়ে বিইন এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর টম কেভেনি বলেছেন, রিয়াদভিত্তিক স্যাটেলাইট প্রোভাইডার ‘আরবসাত’ ওই চুরি করা তরঙ্গ প্রেরণ করছে। যে কোম্পানির বেশিরভাগ শেয়ারহোল্ডার সৌদি আরব’।

এর জন্য সৌদি আরবের সরকারকে দায়ী করে তিনি আরো বলেছেন, এ ধরনের কাজ করতে প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান লাগে। সেইসঙ্গে মিলিয়ন ডলারের ফান্ড লাগে। যা একজন ব্যক্তি তার বেডরুমে বসে করতে পারবে না

Related Posts

Leave a Reply