May 15, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

জানেন কি, বিশ্বের ৭৫ লাখ মানুষ গলার রোগের শিকার 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

বেশিরভাগ মানুষই কণ্ঠস্বর সম্পর্কে সচেতন নন। কিন্তু কণ্ঠস্বর সমস্যা নিয়ে অবহেলা বড় কোনো বিপদ ডেকে আনতে পারে। দেখা দিতে পারে ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগ।আমেরিকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ডেফনেস অ্যান্ড কমিউনিকেশনের তথ্যমতে, বিশ্বে ৭৫ লাখ মানুষ (সব বয়সের) কোনো না কোনো কণ্ঠস্বরজনিত সমস্যায় ভুগছেন। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক জরিপে দেখা যায়, যেসব শিক্ষক সারাক্ষণ কথা বলেন তাদের ১১ শতাংশ কণ্ঠ সমস্যায় ভুগছেন। অন্য পেশার ক্ষেত্রে এটা ৬ দশমিক ২ ভাগ।আরেকটি জরিপ থেকে জানা যায়, ২০ শতাংশ শিক্ষক তাদের চাকরি হারিয়েছেন কণ্ঠ সমস্যার জন্য, যেখানে অন্য পেশাজীবীদের এ হার ৪ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কণ্ঠনালির সমস্যার লক্ষণ হলো গলা ব্যথা, কণ্ঠস্বর পরিবর্তন, কাশি, কিছু গিলতে অসুবিধা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি। যদি ঘন ঘন কণ্ঠস্বর পরিবর্তিত হয় বা ২ সপ্তাহে ভালো না হয়, তাহলে নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ দেখাতে হবে। বিভিন্ন কারণে কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন হতে পারে। কণ্ঠস্বর পরিবর্তনের প্রধান কারণ কণ্ঠনালির ভাইরাসজনিত তীব্র প্রদাহ।

শ্বাসনালির ভাইরাস প্রদাহে কণ্ঠনালি ফুলে যায়, যাতে কণ্ঠনালির কম্পনে সমস্যা সৃষ্টি করে, ফলে স্বর পরিবর্তন হয়। আবহাওয়া পরিবর্তন, পরিবেশ দূষণের কারণেও কণ্ঠনালির প্রদাহ বা ল্যারিনজাইটিস হতে পারে। তবে প্রচুর পরিমাণ জল খেলে এবং কণ্ঠনালিকে বিশ্রাম দিলে এটা ভালো হয়ে যায়।

তীব্র প্রদাহ অবস্থায় যদি কেউ জোরে কথা বলেন তা কণ্ঠনালির ওপর চাপ সৃষ্টি করে। কণ্ঠনালির ভাইরাসজনিত তীব্র প্রদাহ ঠিকমতো চিকিৎসা না করা হলে, দীর্ঘমেয়াদি ল্যারিনজাইটিস হতে পারে। পাকস্থলীর এসিড রিফ্ল্যাক্সের জন্য দীর্ঘমেয়াদি কণ্ঠনালির প্রদাহ হতে পারে। ধূমপান, অতিরিক্ত গরম চা বা পানীয় খেতে হবে , হাঁপানির জন্য ইনহেলার ব্যবহার বা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের দীর্ঘমেয়াদি ল্যারিনজাইটিস হতে পারে।

এছাড়া অতি উচ্চস্বরে, অতিরিক্ত কথা বলা, দীর্ঘমেয়াদি বা পরিবর্তিত স্বরে কথা বললে কণ্ঠনালির প্রদাহ দেখা দিতে পারে; যা ভারি জিনিসকে ঠিকভাবে না উঠানোর জন্য পিঠে ব্যথা হওয়ার মতো। গলা ও শব্দযন্ত্রের মাংসপেশির সংকোচন এবং কথা বলার সময় ঠিকভাবে শ্বাস না নিলে শ্বাসযন্ত্রের অবসাদ হয়। কথা বলতে কষ্ট হয়। ফলে কণ্ঠস্বর পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে এবং কণ্ঠনালিতে পলিপ বা নডিউল, এমনকি রক্তক্ষরণও হতে পারে।

প্রচণ্ড উচ্চস্বরে চিৎকার করলে বা গলায় অধিক শক্তি দিয়ে কথা বললে বা গলায় আঘাত পেলে হঠাৎ কথা বলা বন্ধ হতে পারে। কণ্ঠ সুস্থ ও সুন্দর রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু যুগান্তরকে বলেন, ‘জল কণ্ঠনালিকে আর্দ্র রাখে।

আর্দ্র কণ্ঠনালি শুষ্ক কণ্ঠনালি থেকে বেশি ব্যবহার করা যায়। প্রতিদিন অন্তত দুই থেকে তিন লিটার বিশুদ্ধ জল পান করতে হবে।’ এছাড়া ধূমপান কণ্ঠনালির প্রদাহ সৃষ্টি করে। তাই কণ্ঠ ঠিক রাখতে এসব পরিত্যাগ করাই ভালো।’

Related Posts

Leave a Reply