May 17, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular সফর

এমন শহর যেখানে নেই কোনো পুলিশ ও সেনাবাহিনী, কারণ হতভম্ব করে দেবে

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এখন বিশ্বে চলছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই। এই লড়াইয়ে আজ যে শত্রু কাল সে মিত্র। আবার শত্রুর শত্রুও হয়ে যাচ্ছে পরম মিত্র। এ এমন এক অবস্থা যখন যুক্তরাষ্ট্র নির্ধারিত গণতন্ত্রের পেছনে ছুটতে ব্যস্ত আমরা সকলে। কিন্তু দেশ-কাল ভেদে যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ভিন্নতা আছে তা মানতে নারাজ বিশ্ব মোড়লেরা। তবু এরই মাঝে কিছু দেশ-শহর যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের মডেলকে অস্বীকার করে নিজেদের বন্দোবস্ত নিজেরাই করে নিয়েছে। এই তালিকায় কিউবা, বলিভিয়া, বুরকিনা ফাঁসোসহ বেশ কয়েকটি দেশ অন্যতম। রাষ্ট্রের বাইরে কিছু শহরও আছে যাদের আছে নিজস্ব শাসন কাঠামো এবং জীবনযাপনের ভিন্ন পদ্ধতি।

ইউরোপভুক্ত দেশ স্পেনের দক্ষিণের একটি ছোটো শহর মারিনালেদা। গোটা স্পেনে বেকার জনগোষ্ঠি থাকলেও এই ছোট্টো শহরটিতে নেই কোনো বেকার যুবক-যুবতী। চর্তুপাশে সবুজ পাহাড় বেষ্টিত এই শহরটি সামগ্রিক স্পেন থেকে কিছুটা বিচ্ছিন্ন। এখানে সমাজতান্ত্রিক কায়দায় শাসন কাঠামো সাজানো হয়েছে। কিন্তু মজার বিষয় হলো, এই শহরটি যে প্রদেশে অবস্থিত সেই প্রদেশটি হলো স্পেনের সবচেয়ে দারিদ্রপীড়িত অঞ্চলগুলোর মধ্যে অন্যতম। ২০০৮ সালের বৈশ্বিক অর্থমন্দায় যখন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নাভিশ্বাস উঠবার অবস্থা তখনও শান্তি বিরাজ করছিল মারিনালেদাতে। শহরটির মেয়র হুয়ান ম্যানুয়েল সানজেক গরডিল্লো পুঁজিবাদ বিরোধী অবস্থান থেকে সবসময়ই শহরের বাসিন্দাদের সম্মিলিত সমৃদ্ধির ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করে গেছেন। আর তার এই অবস্থানের কারণে গোটা ইউরোপে তাকে ‘দ্য স্প্যানিশ রবিন গুড’ নামে ডাকা হয়। শহরে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে তিনি স্থানীয় সুপারমার্কেটগুলোর কাছ থেকে বাজার নিয়ন্ত্রনের অধিকার কেড়ে নেন। সুপারমার্কেটগুলো থেকে তেল, চাল, বীজ ইত্যাদি গাড়িতে করে নিয়ে রাখা হয় স্থানীয় খাদ্য ব্যাংকে। এই ব্যাংক থেকে গরীব এবং অসহায়দের সহযোগিতা করা হয়।

উন্নত বিশ্বের একজন নাগরিককে কোনো জমিতে বাড়ি বানাতে গেলে রাষ্ট্রকে বিপুল পরিমান অর্থ দিতে হয়। কিন্তু মারিনালেদাতে মোট ছয় লাখ নব্বই হাজার ফাঁকা ভূমি থাকার পরেও এই ভূমি নিয়ে বাণিজ্য করছেন না মেয়র। উল্টো এই শহরে যদি কেউ বাড়ি বানাতে চান তাহলে সরকারকে দিতে হচ্ছে না কোনো অর্থ। টাউনহলের তালিকায় থাকা শ্রমিকরাই একটি নির্দিষ্ট মজুরির বিনিময়ে সেই বাড়ি তৈরি করে দিতে প্রস্তুত থাকে সবসময়। গোটা শহরের জনগোষ্ঠি এখন মাত্র দুই হাজার ৭০০ জন। শহরের মানুষের মাথাপিছু আয় প্রায় ১২০০ ইউরো। শহরে কোনো বেকার না থাকার কারণে দুর্নীতি কিংবা অপরাধ ঘটার হার নেই বললেই চলে। আর তাই শহরের নিরাপত্তার জন্য দরকার হয় না কোনো পুলিশ কিংবা সেনাবাহিনীর।

Related Posts

Leave a Reply