May 18, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

কেউ নিজের শিকার করা মাংস তো কেউ সঙ্গম দেখেই খান, আরো আছেন অদ্ভুতুড়ে বিখ্যাতরা

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
খাবার নিয়ে পছন্দ-অপছন্দ কি শুধু আমাদেরই? একদম না! পছন্দ-অপছন্দেই কেবল সীমাবদ্ধ নয়, বিখ্যাত অনেক মানুষের খাদ্যতালিকায় আছে অদ্ভুত সব খাবার। আর হ্যাঁ, কিছুক্ষেত্রে তাদের পছন্দটাও একটু অন্যরকমই। চলুন না, দেখে নেওয়া যাক!

নিজের শিকার করা প্রাণীর মাংস খান মার্ক জাকারবার্গ- 

ইতিবাচক সব কাজ করার জন্য পরিচিত মার্ক জাকারবার্গ। ফেসবুকের এই প্রতিষ্ঠাতা প্রতি বছর নানা রকমের চ্যালেঞ্জ নিয়ে থাকেন। ঠিক তেমনি ২০১১ সালে তিনি ঘোষণা দেন যে, তিনি কেবল নিজের হাতে শিকার করা প্রাণীর মাংসই খাবেন। এ নিয়ে যথেষ্ট সমালোচনা করা হলেও, জাকারবার্গের স্পষ্ট উত্তর ছিল এই যে, তিনি যে মাংস খান সেটা কোথা থেকে এসেছে তা তিনি জানেন না। এমনকি মাংসের উৎপত্তি সম্পর্কে সবসময় জানা সম্ভব বলেও মনে করেন না তিনি। তাই কেবল নিজের শিকার করা খাবার খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে বলে মনে করেন মার্ক জুকারবার্গ।

রিচার্ড নিক্সন ও জেরাল্ড ফোর্ডের পনিরপ্রীতি- 

প্রেসিন্ড রিচার্ড নিক্সন সবসময় কটেজ চিজের প্রতি দুর্বল ছিলেন। তার দুপুরের খাবার ছিল পনির আর সাথে একটু কেচাপ। নিক্সন হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট হয়ে আসার পর সেখানে দুপুরের খাবারের মেন্যু একটু পরিবর্তিত হয়ে যায় শুধু তার জন্য। শুধু নিক্সন নন, এই তালিকায় আছেন প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডও। খাবারে কেচাপ আর কটেজ চিজ খেতেন তিনি। সাথে হয়তো অল্প একটু সবজি থাকতো। তবে হ্যাঁ, এই নিয়ম পাল্টায়নি কখনোই।

নিকোলাস কেইজের অন্যরকম পছন্দ- 

কোন প্রাণী কীভাবে সঙ্গম করছে সেটা নিয়ে নিশ্চয় যিনি খাচ্ছেন তার মাথাব্যথা হওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে অভিনেতা নিকোলাস কেইজ এই ব্যাপারটিকেই প্রাধান্য দিতেন সবচাইতে বেশি। কেইজের দৃষ্টিতে যে প্রাণীরা যৌনসম্পর্কের ক্ষেত্রে সম্মান বজায় রাখে এবং যাদের যৌনজীবন সঠিক, তাদেরকেই কেবল খাওয়া যায়। তাই তিনি মাছ এবং মুরগি খেতেন। শূকরের মাংস খেতে পছন্দ করতেন না এই অভিনেতা শুধু এই একটি কারণেই। 

হিটলারের সবজিপ্রীতি- 

এমন না যে হিটলার মাংস কখনো খাননি। তবে এই স্বৈরশাসকের খাদ্যাভ্যাস পুরোপুরি বদলে যায় তার হবু বউ এবং এক ভাতিজির মৃত্যুর পর। ১৯৩০ এর পর থেকে মাংস খাওয়া একেবারের জন্য বন্ধ করে ফেলেন এই একনায়ক। তার বদলে একেবারে নিরামিষভোজী হয়ে যান তিনি। তবে অনেকে মনে করেন যে, হিটলারের শরীরের অবস্থা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য বেশ বড় ভূমিকা রেখেছিল তার এই খাদ্যাভ্যাস বদলানোর পেছনে। 

মুসোলিনির দুধের প্রতি ভালোবাসা- 

খাবার নিয়ে বেনিতো মুসোলিনিরও কম ঝক্কি ছিল না। মুসোলিনি কখনোই অনেকের সাথে খাবার গ্রহণ করতেন না। একা খাবার খেতে পছন্দ করতেন তিনি। তার মতে, খাবার খাওয়া একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যেটি কিনা অনেক বেশি মনোযোগ দিয়ে করা উচিৎ। অন্য কেউ খাওয়ার সময় উপস্থিত থাকলে এই মনোযোগটা খাবারে দেওয়া সম্ভব হয় না। এ তো গেল খাবারের পরিবেশ নিয়ে অদ্ভুত চিন্তাভাবনা। 

তবে শুধু তাই নয়, মুসোলিনি দুধ পান করতে প্রচণ্ড পছন্দ করতেন। তার আলসারের সমস্যা শুরু হলে চিকিৎসকের কোনো পরামর্শ না মেনে দুধ এবং ফল খাওয়াকেই প্রতিকার হিসেবে ভেবে নেন তিনি। যদিও এতে কোনো উপকার হয়নি। আলসার, রক্তশূন্যতা, নিন্ম রক্তচাপ- এমন অনেক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। 

দ্বিতীয় কিম জং এর সেরা খাবার- 

নিজের দেশের অনেক মানুষ যেখানে খাবার পাচ্ছে না, সেখানে দ্বিতীয় কিম জং-এর খাদ্যাভ্যাস ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল। যেকোনো খাবারের জন্য সবচাইতে সেরা দেশটি নির্বাচন করতেন তিনি। এই যেমন- উজবেকিস্তানের ক্যাভিয়ার, থাইল্যান্ডের পেঁপে, চীনের আঙ্গুর, ডেনমার্কের শূকরের মাংস ইত্যাদি। এমনকি ভাতের প্রতিটি দানাও যেন ঠিকঠাক আকৃতিতে থাকে সেটাও নজরে রাখতে হতো এই শাসকের জন্য। 

Related Posts

Leave a Reply