May 21, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

এই ধরনের প্রেমিক থেকে শতহস্ত দূরই ভাল

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

প্রেমে পড়তে পারেন যে কেউ, যেকোনো সময়েই। প্রেমের স্থান-কাল বিবেচনা নেই, তবে যিনি প্রেমে পড়েন তাকে অবশ্যই অনেক হিসাব-নিকাশ করে এগোতে হয়। কারণ প্রেমে পড়া আর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া এক কথা নয়। কেউ আপনার প্রেমে হাবুডুবু খেলেই তাকে হ্যাঁ বলার আগে একটু সময় নিয়ে ভাবুন। আর মেয়েরা যেহেতু প্রকৃতিগতভাবেই বেশি আবেগী হয় তাই তাদেরই বেশি সাবধানী হতে হবে। নয়তো সম্পর্কে জড়িয়ে গেলে পরে যদি দেখা যায় সেটি মনের মতো নয়, তখন কষ্টটাও মেয়েদেরই বেশি হয়। কিছু ধরনের ‘প্রেমিক’ রয়েছে যাদের থেকে দূরে থাকাই কল্যাণকর। চলুন জেনে নেই-

প্রথম দেখাতেই প্রেমে হাবুডুবু: এদের অনুভূতিগুলো বড্ড বেশি অ্যাড্রেনালিন হরমোন দ্বারা পরিচালিত। প্রেমের প্রথম দিকে এরা এমন ভাব করে যেন রক্তমাংসের মানুষ নয়, স্বয়ং কোনো পরী এসে ধরা দিয়েছে। পরবর্তীকালে প্রতি মুহূর্তেই এরা প্রেমিকার চলনে-বলনে খুঁত ধরতে থাকে এবং অনেক সময় বেশ বকাঝকাও করে।

অতিরিক্ত যত্নবান: প্রথম প্রথম এদের যত্নআত্তি ভালো লাগে কিন্তু যত সময় যায় ততই এই যত্ন অনেকটা অত্যাচারে পরিণত হয়। এরা দিনে অসংখ্যবার ফোন করে জানতে চায় প্রেমিকা কী করছে, কী খাচ্ছে, কোথায় যাচ্ছে, কার সঙ্গে যাচ্ছে, ঠিক সময়ে বাড়ি পৌঁছলো কি না, ট্যাক্সি ধরতে গিয়ে হোঁচট খেল কি না অথবা স্বপ্নে ভূত দেখে চমকে উঠল কি না। প্রথম প্রথম এসব ভালো লাগলেও একটা সময় পরে প্রেমিকার শ্বাসরোধ হতে বাধ্য।

সেক্স-অ্যাডিক্ট: এরা প্রেমিকার সঙ্গে চারটি কথা বললে তার মধ্যে তিনটি কথাই হবে শরীর সংক্রান্ত। এদের কাছে সম্পর্কের মানে হলো মূলত শরীরী আকর্ষণ। শারীরিক সম্পর্ক প্রেমের একটা অঙ্গ, এটাই মূল ভিত্তি হতে পারে না কখনো।

তুমি আমার বউ: প্রেম মানেই বিয়ে নয়। সম্পর্ক মানেও কিন্তু বিয়ে নয়। কিন্তু এরা প্রথম থেকেই প্রেমিকাকে বউ ভাবতে শুরু করে, অর্থাৎ প্রথমেই একটা ডেস্টিনেশন বেঁধে দিয়ে সম্পর্কে যায়। যদি তেমনটাই করতে হয়, তাহলে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ করাই ভালো, প্রেম করার কোনো মানে নেই।

উদাসীন: প্রেমিকাকে অতিরিক্ত আঁকড়ে ধরে তার শ্বাসরোধ করা যেমন সুস্থ সম্পর্কের লক্ষণ নয়, তেমনই আবার উল্টোদিকটাও অর্থাৎ প্রেমিকার প্রতি অতিরিক্ত উদাসীন থাকাটাও খুব একটা সুস্থ সম্পর্কের লক্ষণ নয়। সম্পর্ককে প্রতি মুহূর্তে গড়ে তুলতে হয় মানসিক আদানপ্রদানের মাধ্যমে। সেই জায়গায় খামতি থাকলে বুঝতে হবে যে হয়তো সেই প্রেমিক খুব একটা সিরিয়াস নয় সম্পর্কের প্রতি।

Related Posts

Leave a Reply