May 19, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

সংকট : আলো দেখানো ছেড়ে ‘রেড লাইটের’ আঁধারে শিক্ষিকারাই  

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
র্থনৈতিক সঙ্কটে জর্জরিত ভেনিজুয়েলার শিক্ষিকারাও মহিলারা সীমান্ত পেরিয়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিচ্ছেন। এর মধ্যে অন্যতম একটি দেশ কলম্বিয়া। আর সেখানে গিয়ে তারা দেশটির বিভিন্ন বারে পতিতাবৃত্তিতে নাম লেখাচ্ছেন। দেশে থাকতে তাদের কেউ ছিলেন স্কুল শিক্ষক, পত্রিকার হকার কিংবা আরও নানা পেশার মানুষ। কিন্তু জীবন বাঁচানোর তাগিদে কর্ম ও অর্থের সন্ধানে তারা নিজ দেশে ছেড়ে ভিনদেশে এমন পেশায় জড়িয়ে পড়ছেন।  এমনই  জানিয়েছে এক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন সন্তানের মা প্যাট্রিসিয়ার (৩০) অভিজ্ঞতাটা একটু তিক্ত। কলম্বিয়ার মধ্যাঞ্চলের কালামারে একটি পতিতাপল্লীতে কাজ করছেন তিনি। সেখানে অনেক সময় নেশাগ্রস্ত গ্রাহকের হাতে শারীরিক নিপীড়নেরও শিকার হতে হয় তাকে। তিনি বলেন, ‘পল্লীতে অনেক গ্রাহক আছে, যারা আপনাকে একেবারে খারাপ দৃষ্টিতে দেখবে; যা ভয়ঙ্কর। প্রত্যেকদিন আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি, আজকের গ্রাহক যেন ভালো হয়।

অ্যালেজরিয়া। ভেনিজুয়েলায় তিনি ছিলেন ইতিহাস এবং ভূগোলের শিক্ষিকা । উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে ভেনিজুয়েলায় তিনি মাসে আয় করতেন ৩ লাখ ১২ হাজার বলিভার; যা এক ডলারেরও কম। তার এই বেতনে এক প্যাকেট পাস্তাও কেনা যায় না। চার সন্তানের মা ২৬ বছর বয়সী এই শিক্ষিকা জানান, চলতি বছরেই তিনি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে কলম্বিয়ায় ঢুকে পড়েন। প্রথম তিন মাস তিনি দেশটির একটি হোটেলে ওয়েট্রেস হিসেবে কাজ করেন। কিন্তু এর বিনিময়ে তিনি কোনো বেতন পেতেন না। সামান্য কিছু টিপস পেতেন।অ্যালেজরিয়া বলেন, দেশে আমার পরিবারের কাছে এই টিপসের অর্থ পাঠাতাম। তার সন্তান-সহ পরিবারে রয়েছে ছয় সদস্য। কিন্তু এই চাকরিটা হারানোর পর অ্যালেজরিয়া কালামারে পাড়ি জমাতে বাধ্য হন। অন্য আরো নয়জন নারীর সঙ্গে অ্যালেজরিয়া ৩ হাজার মানুষের শহর কালামারের একটি বারে প্রত্যেক রাতে দেহ ব্যবসা করছেন। প্রত্যেক গ্রাহকের কাছ থেকে পান ৩৭ হাজার থেকে ৫০ হাজার পেসো (১১ থেকে ১৬ ডলার)। কিন্তু তার এই আয়ের সাত হাজার পেসো দিতে হয় বারের ম্যানেজারকে। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে কোনো রাতে অ্যালেজরিয়ার আয় হয় ৩০ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত। অ্যালেজরিয়ার স্বপ্ন তিনি কলম্বিয়ায় স্কুল শিক্ষিকা হিসেবে আবারো কাজ শুরু করবেন। কিন্তু পাসপোর্ট ছাড়া এটি সম্ভব নয়।

এদিকে, গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপের সময় গলা ধরে আসছে জলির। তিনিও অ্যালেজরিয়ার মতো নিজ দেশ ছেড়ে কলম্বিয়ায় পৌঁছে দেহ ব্যবসা করে পরিবারের ভরণ-পোষণ চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমরা কখনোই দেহ ব্যবসা করতে চাই না। আমরা এই কাজ করছি সঙ্কটের কারণে।

Related Posts

Leave a Reply