May 17, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

দুপুরে ঘুমকাতুরে টিনএজাররা সাবধান!

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

যাদের ঘরে টিনএজ সন্তান রয়েছে, তাদের সাবধান বাণী দিয়েছে বিজ্ঞান। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়, যে টিনএজাররা দুপুরে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে বা ঘুম ঘুম ভাব চলে আসে তাদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি পায়। এক বা দেড় যুগ পর অন্যান্য ছেলে-মেয়েদের চেয়ে তাদের মাঝে সাড়ে গুন বেশি অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি পায়।

ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়া এবং ইউনিভার্সিটি অব ইয়র্কের এক গবেষণায় এ বিষয়টি তুলে আনা হয়েছে। তাতে বলা হয়, ভর দুপুরে ক্লান্তিভাব বা অলসতা চলে আসার সঙ্গে অপরাধপ্রবণতার সম্পর্ক রয়েছে। এ ধরনের মানুষের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে আসে। আর মস্তিষ্ক যত বেশি অকর্মণ্য হয়ে পড়বে, অপরাধপ্রবণতা তত বেশি বাড়বে।

প্রধান গবেষক ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়ার আদ্রিয়ান রেইনে বলেন, টিনএজারদের অপরাধী হয়ে ওঠার বিষয়টি খতিয়ে দেখার ক্ষেত্রে এটাই প্রথম গবেষণা। যারা দিন-দুপুরে ঘুমান, ১৪ বছর পর তারা অন্যদের তুলনায় বড় বড় অপরাধে জড়িয়ে পড়েন।

চাইল্ড সাইকোলজি অ্যান্ড সাইকিয়াট্রি জার্নালে এ গবেষণাটি প্রকাশিত হয়।

এর আগেও টিনএজারদের ঘুমের সমস্যা নিয়ে পরিচালিত হয়েছে। কিন্তু এবার যে গবেষণা করা হয়েছে তাতে ঘুমকাতুরে কিশোর-কিশোরীদের অপরাধী হয়ে ওঠা পরিষ্কার হয়ে উঠেছে।

পরীক্ষায় ১০১ জন টিনএজার ছেলেকে বেছে নেওয়া হয়। এদের বয়স ১৫ বছর বা তার কিছু বেশি। এরা সবাই ইংল্যান্ডের উত্তরে বিভিন্ন স্কুলে পড়াশোনা করেন। প্রতিটা ল্যাব সেশনে দুপুর ১টা থেকে ৩টার মধ্য তাদের ঘুমতাকাতুরে স্বভাব পরিমাপ করা হয় ৭ পয়েন্টের একটি স্কেলে। যারা পুরোপুরি সজাগ থাকে তাদের নির্দেশ করা হবে এক পয়েন্ট দিয়ে। আর ৭ পয়েন্ট অবস্থানকারীরা হবেন ঘুমকাতুরে।

এসব শিক্ষার্থীদের অসামাজিক আচরণের বিষয়টিও পর্যবেক্ষণ করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা নিজেরাও বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। পরে তাদের এসব আচরণের সঙ্গে স্কেলের পয়েন্ট মেলানো হয়েছে।

পরে অংশগ্রহণকারীদের জীবনযাপনে কোনো অপরাধ রয়েছে কিনা তার তথ্য সংগ্রহ করা হয় সেন্ট্রাল ক্রিমিনাল রেকর্ডস অফিস থেকে। দেখা গেছে, ১৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বড় হয়ে কোনো না কোনো অপরাধ ঘটিয়েছেন যার রেকর্ড রয়েছে। তার তাদের সবাই ভর দুপুরে ঘুমাতো।

তাই আপনার সন্তান কি এ বয়সে দুপুরে ঘুমায়? যদি তাই হয় তো সাধারণ চিকিৎসার মাধ্যমে তাকে এ অভ্যাস থেকে বের করে আনা যায়। কারণ বিষয়টি তার আচরণের সঙ্গে জড়িয়ে।

Related Posts

Leave a Reply