May 17, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ধর্ম

দাম্পত্যে নিত্য কলহ দূর করতে এই নিয়মগুলি মানতেই হবে

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

ফিস-কাছারির ঝামেলা, সংসারের চাপ এবং আরও নানাবিধ কারণ মানসিক অশান্তি এত মাত্রায় ঘাড়ে চেপে বসেছে যে ছোট ছোট বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুলকালাম ঝগড়া লেগে যাচ্ছে।
এই লেখায় এমন কিছু নিয়ম তুলে ধলা হল, যা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে অনেক সময় গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান পরিবর্তনের কারণে যেমন এমন ধরনের কলহ দেখা দিতে পারে, তেমনি গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রভাব বাড়লেও কিন্তু মানসিক অশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকে। তাই সুখে-শান্তিতে থাকতে যদি নিয়মিত এই মন্ত্রগুলি জপ্ করেন তাহলেই অচিরেই দাম্পত্যে ফি আসবে সুখ-শান্তি, প্রেম। সেগুলি হল…

মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ : এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে টানা ২১ টা সোমবার মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র মন্ত্র পাঠ করলে মহাদেবের আশীর্বাদে গৃহস্থের অন্দরে উপস্থিত খারাপ শক্তির প্রভাব যেমন কমে যায়, তেমনি পরিবারে সুখ-শান্তির ছোঁয়া লাগে। ফলে ঝগড়া-ঝাটি হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি পরিবারের অন্দরে কোনও ধরনের কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। তাই তো বলি বন্ধু প্রিয় মানুষটার সঙ্গে সুখে-শান্তিতে বাকি জীবনটা কাটাতে চাইলে এই শক্তিশালী মন্ত্রটি নিয়ম করে জপ করতে ভুলবেন না যেন!

বেড রুমের রং: জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিটি ঘরের রংও নানাভাবে আমাদের জীবনের উপর প্রভাব ফেলে থাকে। তাই তো বেড রুমের রং সব সময় হালকা হওয়া উচিত। কারণ এমনটা হলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। ফলে কোনও ধরনের অশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনা আর থাকে না বললেই চলে। প্রসঙ্গত, ভুলেও শোওয়ার ঘরে গাড় বা উজ্জ্বল কোনও রং করবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে মানসিক অশান্তি বাড়ার যেমন আশঙ্কা থাকে, তেমনি নানাবিধ ঝামেলা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনাও থাকে।

দক্ষিণ বা পূর্ব দিক: বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে রাত্রে ঘুমানোর সময় দক্ষিণ বা পূর্ব দিকে মাথা করে শোওয়া উচিত। সেই সঙ্গে শোওয়ার ঘরে ভুলেও কোনও ভগবানের ছবি রাখা চলবে না। কারণ এই নিয়মগুলি মানলে দেখবেন কোনও ধরনের মনোমালিন্য দেখা দেওয়ার আশঙ্কা যাবে কমে। ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুচ্ছ কারণ ঝগড়া-ঝাটি হওয়ার সম্ভাবনাও আর থাকে না।

তুলসি গাছ: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে তুলসি গাছ রাখলে কোনও ধরনের পারিবারিক অশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা যায় কমে। আর যদি তুলসি গাছের গোড়ায় হলুদ, সিঁদুর এবং ছোট একটা বাঁশি রাখা যায়, তাহলে নাকি আরও উপকার পাওয়া যায়! প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে একতটা বিষয় মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। তা হল বাড়ির মাহিলাদের প্রতিদিন তুলসি গাছে জল দিতে হবে। আর সন্ধায় দিতে হবে ধুপ-ধূনো। এমনটা করলে দেখবেন উপকার পাবেই পাবেন!

শুক্রের দোষ: অনেক সময় জন্মকুষ্টিতে শুক্রের অবস্থান দুর্বল হয়ে পরলেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে। তাই এমন পরিস্থিততে একবার জেনে নেওয়া উচিত শুক্রের অবস্থায় আদৌ ঠিক আছে কিনা। আর যদি দেখেন এই বিশেষ গ্রহটি দুর্বল হয়ে পরার কারণে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে এমন মনোমালিন্য দেখা দিচ্ছে, তাহলে একটা হিরের আংটি পরতে ভুলবেন না যেন! আর যদি তেমনটা সম্ভব না হয়, তাহলে প্রতি শুক্রবার উপোস করে মা লক্ষ্মীর অরাধনা করতে হবে। এমনটা করলে শুক্র গ্রহের খারাপ প্রভাব তো কেটে যাবেই, সেই সঙ্গে দেবীর আশীর্বাদে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়াও লাগবে।

বিষ্ণু সহস্রনাম জপ : যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে আমাদের আশেপাশে নেগেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেলেও অনেক সময় সম্পর্কে অবনতি হওয়ার মতো পরিস্থিতি মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তাই এমনটা যাতে না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে প্রতিদিন বিষ্ণু সহস্রনাম জপ করা উচিত। সেই সঙ্গে যদি ১০৮ বার গায়েত্রী মন্ত্র পাঠ করতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই! আসলে এই মন্ত্র দুটি জপ করা শুরু করলে গৃহস্থে উপস্থিত খারাপ শক্তির প্রভাব তো কমেই, সেই সঙ্গে শুভ শক্তির প্রভাবে আরও নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়।

লাল বাল্ব: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে একটা জিরো ওয়াটের লাল বাল্ব জ্বালিয়ে রাখলে খারাপ শক্তির দাপাদাপি কমে যায়। আর এমনটা হলে কী কী উপকার মিলতে পারে, তা নিশ্চয় আর বলে বোঝাতে হবে না!

Related Posts

Leave a Reply