May 17, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

জানেন কি এই ৮টি অদ্ভুত কারণেই  মানুষ বিয়ে করে!

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

মোটামুটিভাবে দেখতে গেলে বয়স ২৫শের কাছাকাছি এলেই বিয়ে নিয়ে মাতামাতি শুরু করে বাড়ির লোক। তাদের মতে, বিয়েটা নাকি করতেই হবে। একজন সঙ্গীকে জীবনে গ্রহণ করতেই হবে।

কিন্তু কেউ যদি বিয়ে না করেই সারাজীবন কাটাতে চায়, সে বেলায়? তখন সেই ব্যক্তির স্বেচ্ছাচারিতা মেনে নিতে পারে না কেউ। কিছুতেই বুঝতে চায় না বিয়েটাই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নয়। তবে আটটি অদ্ভুত কারণে মানুষ বিয়ে করে। সেগুলি কী কী জেনে নিন…

১. বাবা-মায়ের মতে বিয়ে করলেই জীবনের সমস্ত সমস্যা দূর হয়। ছেলে রাত করে বাড়ি ফিরছে? কারোর কথা শুনছে না। বিয়ে দিয়ে দাও…মেয়ের কারোর সঙ্গে চক্কর চলছে, বিয়ে দিয়ে দাও।

২. বিয়ে হলো তরুণ-তরুণীর লাইসেন্স। অন্তত সব সমাজই তাই মনে করে। পরিবারের মত নিয়ে ঘটা করে পালিত হয় ফুলসজ্জার রাত। গোটা দুনিয়াকে ঢাকঢোল পিটিয়ে জানানো হয়, আজ রাতে আমি বিয়ে করছি। আসলে মোদ্দা কথা হল, প্রতিরাতে একজনকে চাই। তার জন্য বিয়ে করা সমাজে সকলের জন্য বাধ্যতামূলক।

৩. সবার কাছেই বিয়ে হল জীবনের লক্ষ্য। ছেলেদের ছোটো থেকে বলা হয়, ভালো রোজগার না করলে কোনও মেয়ে বিয়ে করতে চাইবে না। মেয়েদের এই ট্রেনিং দিয়েই বড় করা হয়, সুশীলা না হলে কোনও ছেলে বিয়ে করতে চাইবে না। এ ছাড়া আর কোনও উদ্দেশ্য থাকতে নেই জীবনে! কোনও মেয়ে যদি লেখাপড়া করে, ভালো চাকরি করে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে চায়, সেটাকেও বিয়ের ভালো প্রোফাইল।

৪. সিঙ্গল থাকব না। জীবনে কাউকে একটা চাই-ই চাই। শেষ বয়সে কে দেখবে, এই হল ভয়। ৩০ বছর হয়ে গেলে বিয়ে না হলে, মানুষ ভাবতে থাকে নিঃসঙ্গ মৃত্যুবরণ করতে হবে। কিন্তু তাঁরা এটা কিছুতেই বুঝতে চায় না মৃত্যু জিনিসটা নিঃসঙ্গই। যেভাবে আমরা একা পৃথিবীতে আসি, একাই যাই পৃথিবী ছেড়ে। এই সহজ কথাটা সবাই জানে, কেউ মানতে চায় না।

৫. বিয়ে নিয়ে মহিলাদের ধ্যানধারণা আরও অদ্ভুত। তাঁরা মনে করেন, বিয়ে করলেই সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন হওয়া যায়। এটা বোঝেন না, বিয়ে হল পরাধীনতার আরও এক ধরন। বাবা-মায়ের অধীন থেকে স্বামীর অধীনে চলে আসা। আজীবনের অঙ্গীকার। স্বামী মুক্ত মানসিকতার মানুষ হলে স্বাধীনতা এলেও আসতে পারে। কিন্তু তাতেও অনেক বাঁধন থাকে।

৬. ছেলে-মেয়েরা বিয়ে করে বাবা-মায়ের মুখ চেয়ে। আরও ভালোভাবে বলতে গেলে মৃত্যু পথযাত্রীর কথা ভেবে। তিনি নাতি/নাতনির বিয়েটা দেখে যেতে চান, নাতজামাই, নাতবউ দেখে যেতে চান বলেই কিনা বিয়ে করা।

৭. পণ নেওয়া বা দেওয়া দণ্ডণীয় অপরাধ জেনেও অনেকে সেই প্রথায় বিশ্বাসী। ফলে মেয়ের বাড়ি থেকে মোটা পণের লোভেও বিয়ের পিঁড়িতে বসে অর্থলোভী পাত্র।

৮. সন্তান সুখের আশাতেও বিয়েকে বেছে নেয় অনেকে। সন্তানকে সামাজিক পরিচয় দিতে বিয়েটা করতেই হয় এ দেশে।এরপর থেকেই অনেকখানি সংগ্রাম ও বিয়েটাই সম্বল।

Related Posts

Leave a Reply