May 10, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ধর্ম

শনিবার অথবা রবিবার এই সময় কাল এনার পুজো করলে এক মিনিটে মিতে যাবে সব সমস্যা 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
পনার দুঃখের কারণ যাই হোক না কেন, তা মিটে যেতে এক মুহূর্তও সময় লাগবে না যদি শনিবার বা রবিবার রাহুকালে, অর্থাৎ বিকাল ৪-৬ টার মধ্যে শিব ঠাকুরর কাল ভৈরব রূপের অরাধনা করেন তো। আসলে হিন্দু শাস্ত্রে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে টানা ৮ সপ্তাহ কাল ভৈরবের অরাধনা করলে দেব এতটাই প্রসন্ন হন যে মনের মণিকোঠায় সযত্নে সাজানো প্রতিটি স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না।
এখন প্রশ্ন হল দেবাদিদেবের এই রুদ্র রূপকে প্রসন্ন করতে পারলে কী কী সুফল মেলে?
পূরণ হবে ধনী হওয়ার স্বপ্ন : শাস্ত্র মতে দেব কাল ভৈরব বেজায় সরল মনের। তাই তো তাঁর মন জয় করাটা খুব সহজ। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নারকেল, ফুল, সিঁদুর, সরষের তেল এবং কালো তিল বীজ দিয়ে টানা আট সপ্তাহ, শনিবার বা রবিবার বিশেষ সময়ে দেবের অরাধনা করলে সর্বশক্তিমান এতটাই প্রসন্ন হন যে ভক্তের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না।
সব রোগ দূরে পালায়: একেবারে ঠিক শুনেছেন বন্ধু! এমনটা বিশ্বাস করা হয় এক মনে দেবের অরাধনা করলে চারিপাশে পজেটিভ শক্তির বিকাশ এত মাত্রায় হয় যে শরীর চাঙ্গা হয়ে উঠতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয় দেবের শক্তিতে ছোট-বড় সব রোগ দূরে পালায়। ফলে আয়ু বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে চোখে পরার মতো। 
দেখতে হবে না খারাপ সময়ের মুখ : দেব কাল ভৈরব হলেন সময়ের নিয়ন্ত্রক। তাই তো তাঁর আরাধনা শুরু করলে খারাপ সময় কেটে যেতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, খারাপ সময়ের মেঘ কেটে যাওয়ার পর গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে ভক্তের মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না।
অশুভ শক্তি থেকে মুক্তি : আজও, এই ২১ শতকেও হিংসা এবং ঈর্ষার কারণে অনেক মানুষই কালো যাদুর সাহায্য়ে বহু মানুষের জীবন ধ্বংস করে চলেছে। এমনটা যে কেউ আপনার সঙ্গে করতে চাইছে না, সে সম্পর্কে আপনি কি নিশ্চিত? যদি না হন, তাহলে এই শনিবার থেকেই কাল ভৈরব দেবের আরাধনা শুরু করুন। দেখবেন সুফল পাবেই পাবেন। আসলে এমনটা করলে আমাদের আশেপাশে শুভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে খারাপ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে কুদৃষ্টির কারণে কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও কমে। শুধু তাই নয়, দেবের শক্তির প্রভাবে মনের অন্দরে লুকিয়ে থাকা সব ভয়ও দূর হয়। 
পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে: শাস্ত্র মতে যে বাড়িতে কাল ভৈরবের পুজো করা হয়, সে গৃহস্থে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন থাকে না, তেমনি পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতেও সময় লাগে না। ফলে প্রিয়জনেদের মধ্যে কোনও ধরনের কলহ বা বিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। 
শনির সাড়ে সাতির খপ্পরে পরার আশঙ্কা কমে: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে দেবের শক্তিশালী এই রূপের পুজো শুরু করলে শনির সাড়ে সাতির খপ্পরে পরার আশঙ্কা হ্রাস পায়। ফলে জীবন নরকে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা যায় কমে। প্রসঙ্গত, এমনটাও অনেকে মানেন যে যারা শনির সাড়ে সাতির জালে ইতিমধ্য়েই ফেঁসে গেছেন, তারা যদি এই বিশেষ পুজোর আয়োজন করেন, তাহলে শনি দেবের খারাপ প্রভাব কেটে যেতে সময় লাগে না। ফলে টানা সাড়ে সাত বছর ধরে খারাপ সময়ের মার খাওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। 
যে কোনও কাজে সফলতা আসে: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নতুন কোনও কাজ শুরু করার আগে যদি একবার কাল ভৈরব দেবের অরাধনা করা যায়, তাহলে সে কাজে সফলাতর স্বাদ পেতে সময় লাগে না। 
জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্ত মেলে: শাস্ত্র মতে দেবাদিদেবের এই রুদ্র রূপের অরাধনা করা শুরু করলে স্বর্গের দরজা খুলে যায়। মানেটা ঠিক বুঝলেন না, তাই তো? আসলে বন্ধু এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কাল ভৈরব দেবের অরাধনা করলে জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকেও মুক্তি মেলে। ফলে মোক্ষ লাভের পথ প্রশস্ত হতে সময় লাগে না। 
গ্রহ দোষ কেটে যায়: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন ১০৮ বার কাল ভৈরব মন্ত্র পাঠ করলে জন্মকুষ্টিতে থাকা গ্রহ-নক্ষত্রের খারাপ প্রভাব কেটে যেতে সময় লাগে না। ফলে জীবন পথে চলতে চলতে দুঃখ-কষ্টের সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। 
প্রতিপক্ষদের নিকেশ ঘটে: আজকের দুনিয়ায় যেখানে বেশিরভাগই নিজেদের ভাল ছাড়া আর কিছুই ভাবে না। সেখানে আমাদের ক্ষতি করতে চায়, এমন লোকের সংখ্যা যে নেহাতই কম নয়, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে! তাই তো বলি বন্ধু, নিজেকে যদি প্রতিপক্ষদের মার থেকে সুরক্ষিত রাখতে হয়, তাহলে দেবের শরণাপন্ন হতে ভুলবেন না যেন। আসলে শ্রাস্ত্র মতে শি ঠাকুরের এই রুদ্র আরাধনা করলে সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদে প্রতিপক্ষদের নিকেশ ঘটতে সময় লাগে না। 
কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতা :: ৩০ পেরতে না পেরতেই কি বাড়ি, গাড়ি এবং মোটা মাইনের চাকরি পেতে চান, তাহলে বন্ধু, শনি অথবা রবিবার কাল ভৈরব মন্ত্র জপ করতে করতে দেবের এই শক্তিশালী রূপের আরাধনা ককরতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এমনটা করলে সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদ লাভ হয়। ফলে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ তো হয়ই, সেই সঙ্গে কর্মজীবনে চরম সফলতার স্বাদ মিলতেও সময় লাগে না। 
এই পুজোয় মন্ত্রগুলি পাঠ করতে হবে, সেগুলি হল… ১.. কাল ভৈরব বীজ মন্ত্র: দেবের পুজো করার সময় “ওম আইম হ্রিম ক্লিম শ্রী বাটুকভৈরব”, এই বীজ মন্ত্রটি যেমন জপ করতে পারেন, তেমনি “ওম হ্রিম হ্রিম হ্রোম হারিম হ্রহম কাশম কষ্ট্রপাল্য কাল ভৈরব নমহ “, এই মন্ত্রটি জপ করলেও কিন্তু সমান উপকার মেলে। ২.. কাল ভৈরব গায়েত্রী মন্ত্র: “ওম কালাক্যালায়া ভিদমাহে কালাতিথ্য়িয়া ধিমাহি তানো কালা ভৈরব প্রাচোদায়াৎ”, এই মন্ত্রটিকেই শাস্ত্রে কাল ভৈরব গায়েত্রী মন্ত্র বলা হয়। এমন বিশ্বাস রয়েছে যে এই মন্ত্রটি প্রতিদিন ১০৮ বার পাঠ করলে দেব এতটাই প্রসন্ন হন যে নানাবিধ উপকার মিলতে সময় লাগে না।

Related Posts

Leave a Reply