May 15, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

জেনে রাখুন স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ হতে পারে স্ত্রী বা স্বামীও!

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

ম্প্রতি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দল প্রকাশ করেছে একটি বিশেষ গবেষণার ফল এবং সেই রিপোর্ট মোতাবেক, স্বামী বা স্ত্রী-ও কারও স্বাস্থ্যের অবনতির কারণ হতে পারে। কিন্তু কীভাবে?? সম্পর্কে অসুখী? স্বামী বা স্ত্রীর স্বাস্থ্য অবনতির কারণ হয়ে উঠছেন না তো?

স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য শুধুমাত্র যে ধূমপান বা মদ্যপানই দায়ী তা কিন্তু নয়। স্বামী বা স্ত্রী-ও কিন্তু কারও স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার কারণ হতে পারে। কোনও দম্পতি কতটা সুখে সহাবস্থান করে তার সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য যে সম্পর্কযুক্ত সেটা সাধারণ বুদ্ধিতেই কিছুটা আন্দাজ করা যায়।

কিন্তু বিজ্ঞান তো আর আন্দাজের উপর ভিত্তি করে চলে না। তার জন্য উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ লাগে। এই নিয়ে গত ৬ বছর ধরে ২০০০ দম্পতির উপর সমীক্ষা চালিয়েছেন মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষক চোপিক এবং তাঁর সহকর্মীরা।

পঞ্চাশোর্ধ্ব দম্পতিদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তাঁরা জীবনে কতটা সুখী এবং তাঁদের ডায়বেটিস বা অন্য কোনও ক্রনিক অসুখ রয়েছে কি না। পাশাপাশি এ-ও জানতে চাওয়া হয় যে বাড়ির কাজ তাঁরা কতটা সহজে সারেন অথবা এই সব কাজ করতে গিয়ে কতটা ক্লান্তি বোধ করেন তাঁরা?

এছাড়া আরও কিছু কিছু তথ্য সংগ্রহ করা হয় যেমন, তাঁরা কখন ডিনার সারেন, কখন ঘুমোতে যান ইত্যাদি। সমীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে চোপিক-এর বক্তব্য, যাঁদের স্বামী বা স্ত্রী-রা হাসিখুশি থাকেন সচরাচর তাঁদের পার্টনাররা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভাল স্বাস্থ্যের অধিকারী। সুখী দম্পতিরা শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক রাখার দিক থেকেও অনেক বেশি সচেতন এবং তাঁরা নিয়মিত এক্সারসাইজও করেন।

এর আগেও বহু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে দম্পতিদের মধ্যে কোনও একজন যদি সুখ-অসুখের অনুভূতির অন্যজনের স্বাস্থ্যকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। কারণটি খুবই পরিষ্কার। সম্পর্কের ডিপ্রেশন অনেক ক্ষেত্রেই মানুষকে তাঁর নিজের এবং তাঁর সঙ্গীর জীবন সম্পর্কে উদাসীন করে তোলে আর সেই থেকেই দৈনন্দিন জীবনযাপনে এমন কিছু অভ্যাস তৈরি হয় যা শেষ পর্যন্ত বড় কোনও রোগের দিকে মানুষকে নিয়ে যায়।

চোপিকের বক্তব্য, দম্পতিদের মধ্যে কোনও একজন একা একা সুখী হতে পারে না। মানুষের বয়স যত বাড়ে, ততই এই সারকথাটি তারা বোঝে। তাই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অপেক্ষাকৃত বয়স্ক দম্পতিরা একে অপরের স্বাস্থ্যের প্রতি অনেকটা বেশি ওয়াকিবহাল। কিন্তু অসুখী সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে নিয়ে দীর্ঘদিন ঘর করার পরে অনেকেরই মন এবং শরীর দুই’ই ভেঙে যায়।

এর হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় সময়মতো কাপল কাউন্সেলিং করা এবং যদি তা সত্ত্বেও সম্পর্কের উন্নতি না হয়, তবে কোনও রকম সমঝোতায় আসা যাতে একজনের ‘অ-সুখ’-এ অন্যজনের শরীরে ‘অসুখ’ না বাসা বাঁধে।

Related Posts

Leave a Reply