কলকাতা টাইমস :
কৃষ্ণ চন্দ্র এক বিরল ঘটনা। ৩২ মাস অন্তর উদিত হয় কৃষ্ণ চাঁদ। আকাশে একটি পূর্ণ চাঁদ থাকতে থাকতেই উদিত হয় দ্বিতীয় একটি চাঁদ। এই দু’নম্বরটিকেই ‘কৃষ্ণ চাঁদ’ বলে ডাকা হয়। সর্বদাই যে এই চাঁদ সবাই দেখতে পাবেন এমন নয়। অতি আবছা অবস্থায় তাকে দেখা যায়। বেশিরভাগ মানুষ তাকে দেখতেই পান না। এটি আসলে চন্দ্রোদয়ের প্রাথমিক দশা, সেই কারণেই এটি স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয় না।
জ্যোতিষ মতে, সেভাবে দৃশ্যমান না হলেও, কৃষ্ণ চাঁদ মানবজীবনে গভীরতর প্রভাব রাখে। কী সেই প্রভাব, দেখা যেতে পারে—
• কৃষ্ণচন্দ্রোদয় নাকি জীবনে নতুন পর্বকে সূচিত করে। জীবনে নতুন উদ্যমের সঞ্চার ঘটায়। একই সঙ্গে এই তিথি ভয়, শঙ্কা ও নিরাপত্তাহীনতার অনুভবকেও বাড়িয়ে দেয়।
• জীবিকা বা সৃজনকর্মে নতুন সম্ভাবনাকে কৃষ্ণচন্দ্র সূচিত করে। ব্যক্তিগত এবং পেশাগত— উভয় ক্ষেত্রেই এই সম্ভাবনা দেখা যায়।
• কৃষ্ণচন্দ্রোদয় নাকি যে কোনও উদ্যোগকে স্বচ্ছভাবে দেখতে শেখায়। ভবিষ্যৎকে সঠিক পথে চালিত করে এই তিথি।
• বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পরিজন, বন্ধুদের ফিরিয়ে আনতে পারে কৃষ্ণ চাঁদ।
• প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যাঁরা এগোচ্ছেন, তাঁদের সামনে থাকা বাধাকে দূর করে কৃষ্ণ চাঁদ। জীবনকে সহজভাবে নিতে শেখায়।