May 13, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

এই নিয়ম মানলেই বাড়তে থাকা বায়ু দূষণের প্রভাবই পড়বে না ত্বক, চুল এবং শরীরে  

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

ম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, যা কলকাতাবাসীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলতে পারে। কারণ রিপোর্টটি অনুসারে বায়ু দূষণের দিক থেকে দিল্লির পরেই কলকাতার স্থান। শুধু তাই নয়, যে হারে কলকাতায় “এয়ার কোয়ালিটি”এর অবনতি ঘটছে, তাতে ৮-৮০ এর শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যে বাড়বে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন ভঠতে বাধ্য যে বায়ু দূষণের প্রভাব থেকে শরীর, ত্বক এবং চুলকে বাঁচানো যায় কীভাবে? 

বিশেষজ্ঞদের মতে বায়ু দূষণের হাত থেকে ত্বক এবং চুলতে বাঁচাতে কতগুলি নিয়ম মনে চলা একান্ত প্রয়োজন। যেমন ধরুন- 

প্রতিদিন অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পর ভাল করে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। প্রয়োজনে স্কার্বার ব্যবহার করে ত্বকের গভীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দিতে হবে। এরপর ভাল কোনও ময়েশ্চারাইজার ক্রিম লাগিয়ে ভাল করে ত্বকটা মাসাজ করতে হবে। এমনটা করলে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যাবে কমে। 

ভিটামিন ই অথবা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যে কোনও তেল, মুখে এবং সারা শরীরে লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করতে হবে। এমনটা করলেও ত্বকের অন্দরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যাবে, সেই সঙ্গে স্কিন টোনের উন্নতি তো ঘটবেই, এর পাশাপাশি বায়ু দূষণের কারণে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও আর থাকবে না। 

আজকাল বাজারে নানাবিধ অ্যান্টি-পলিউশান স্প্রে পাওয়া যায়। এমন স্প্রে প্রতিদিন বাড়া থেকে বেরনোর আগে চুলে লাগাতে হবে। এমনটা করলে বায়ু দূষণের কারণে চুলের পুষ্টি কমে যাওয়ার অথবা স্কাল্প ড্রাই হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনা যাবে কমে। 

বাড়ি থেকে বেরনোর আগে মনে করে সানস্ক্রিন ক্রিম লাগিয়ে নিতে ভুলবেন না যেন! আসলে এমনটা করলে বায়ু দূষণে এবং সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মীর প্রভাবে স্কিনের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আর তাকবে না বললেই চলে! বায়ু দূষণের হাত থেকে ত্বক এবং চুলকে কীভাবে বাঁচানো যায়, সে সম্পর্কে না হয় জানা গেলে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে শরীরকে কীভাবে চাঙ্গা রাখা যাবে? এক্ষেত্রে এবার আলোচনা হতে চলা খাবারগুলিকে রোজের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে! প্র

সঙ্গত, যে যে খাবারগুলি বায়ু দূষণের হাত থেকে শরীরকে বাঁচাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেগুলি হল… 

১. ব্রকলি, ফুলকোপি এবং বাঁধাকোপি: বায়ু দূষণ এবং কুয়াশার হাত থেকে বাঁচাতে ব্রকলি এবং ক্রসিফেরাস পরিবারের বাকি সদস্যরা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে এই সবজিটির অন্দরে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান, কুয়াশার অন্দরে লুকিয়ে থাকা ক্ষতিকারক ওজন গ্যাসের প্রভাব থেকে শরীরকে বাঁচাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে বায়ু দূষণের কারণে শরীরে ভিতরে জমতে থাকা টক্সিক উপাদানদের বার করে দিতেও এই সবজিটি বিশেষ ভূমিকা নেয়। ফলে বায়ু দূষণের কারণে শরীরের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না বললেই চলে। 

২. পাতি লেবু এবং কমলা লেবুর মতো সাইট্রাস ফল: পাতি লেবু, কমলা লেবু, মৌসম্বি লেবু এবং কিউই-এর মতো সাইট্রাস ফলে উপস্থিত ভিটামিন সি কুয়াশার হাত থেকে শরীরকে বাঁচাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই সারা শীতকাল জুড়ে যদি ফিট এবং চাঙ্গা থাকতে চান, তাহলে রোজের ডায়াটে এই ফলগুলির কোনওটিকে অন্তর্ভুক্ত করা মাস্ট! 

৩. গ্রিন টি: শরীরকে রোগ মুক্ত রাখতে এই পানীয়টি যে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সে বিষয়ে নিশ্চয় সবারই জানা আছে। কিন্তু একথা জানেন কি বায়ু দূষণের প্রকোপ থেকে শরীরকে বাঁচাতেও গ্রিন টি নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। আসলে গ্রিন টিতে থাকা নানাবিধ কার্যকরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফুসফুস এবং শরীরের অন্দরে জমতে টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে বায়ু দূষণের প্রভাবে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
৪. টমাটো: বায়ু দূষণের শরীর থেকে জন্ম নেওয়া কুয়াশার কারণে মূলত ফুসফুসেরই বেশি ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই তো এমন খাবার খাওয়া উচিত, যা লাং-কে বিষাক্ত ধোঁয়ার হাত থেকে বাঁচাবে। আর এক্ষেত্রে টমাটোর ভূমিকাকে অস্বীকার করা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। কারণ এই সবজিটির অন্দরে মজুত থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং লাইকোপেন নামক এক ধরনের উপকারি উপাদান ফুসফুসের মধ্যে জমে থাকা বিষাক্ত উপাদানদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। তাই তো যাদের শ্বাস কষ্ট বা অ্যাস্থেমার মতো রেসপিরেটরি প্রবলেম রয়েছে, তারা যদি নিয়মিত টমাটো খেতে পারেন, তাহলে কিন্তু দারুন উপকার পাবেন। 

৫. অ্যাভোকাডো: ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত এই ফলটি খাওয়া শুরু করলে শরীরের অন্দরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যে তার প্রভাবে বায়ু দূষণের কোনও প্রভাব শরীরের উপর পরতে পারে না। বিশেষত ফুসফুসের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। ফলে অ্যাস্থেমার মতো রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। 

৬. ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া শুরু করলে বায়ু দূষণের কারণে টিস্যুর কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নানাবিধ রোগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা যায় কমে। এই কারণেই তো বাদাম এবং সূর্যমুখি ফুলের বীজ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কারণ এই দুই প্রকৃতিক উপাদানে প্রচুর মাত্রায় মজুত থাকে ভিটামিন ই। প্রসঙ্গত, আরও যে যে খাবারগুলিতে ভিটামিন ই-এর উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়, সেগুলি হল- সামদ্রিক মাছ, লবঙ্গ, তুলসি পাতা, পালং শাক, পার্সলে শাক প্রভৃতি।

৭. গুঁড়: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন অল্প করে গুঁড় খাওয়া শুরু করলে বায়ু দূষণের কারণে শরীরে প্রবেশ করা টক্সিক উপাদানেরা সব বেরিয়ে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে পরিবেশ উপস্থিত ধূলো-বালির কারণ শরীরের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও যায় কমে। শুধু তাই নয়, ফুসফুসের ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও এই খাবারটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো বাতাস যত বিষিয়ে যাচ্ছে, তত গুঁড় খাওয়ার প্রয়োজন বাড়ছে।

Related Posts

Leave a Reply