May 16, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ধর্ম

এই ৫ টি মন্ত্র নিয়মিত পাঠ করলেই সন্তান সারাজীবন নীরোগ   

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
ই লেখায় এমন কতগুলি মন্ত্র সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা নিয়মিত পাঠ করলে বাচ্চার ধারে কাছে কোনও রোগ ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। তবে এখানেই শেষ নয়, শাস্ত্র মতে এই মন্ত্রগুলি এতটাই শক্তিশালী যে পাঠ করার সময় গৃহস্তের অন্দরে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। ফলে পরিবারে সুখ-শান্তির পরিবেশ যেমন বজায় থাকে, তেমনি কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
প্রসঙ্গত, যে যে মন্ত্রগুলি পাঠ করলে রোগ-ব্যাধি দূরে পালায়, সেগুলি হল…
১. রক্ষাকবচ মন্ত্র: শাস্ত্র মতে ১০১ বার এই মন্ত্রটি পাঠ করলে বাচ্চার শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে পরিবারের অন্দরে কোনও রোগ-ব্যাধির প্রবেশ ঘটার সম্ভাবনাও যায় কমে। তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা হল মন্ত্রটি পাঠ করার সময় হাতে একটু জল নিয়ে নিতে হবে। এরপর ১০১ বার মন্ত্রটি পাঠ করে জলটি তিলকের মতো বাচ্চার কপালে লাগিয়ে দিতে হবে। প্রয়োজনে পরিবারের সবার উপরই জলের ছেটা দিতে পারেন। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল- “ওম নামো ভগবতে গুরুদ্যাভিয়াম কেশায় সাথ্যাস্থ্য নমহঃ”। 
২. ওম মন্ত্র: এই মন্ত্রটির শক্তি সম্পর্কে নিশ্চয় সবারই জানা আছে। কিন্তু এটা জানেন কি নিয়মিত বাচ্চারা যদি এই মন্ত্রটি উচ্চারণ করে, তাহলে দৈহিক ক্ষমতার এত মাত্রায় বিকাশ ঘটে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। আর যদি আপনি একটু সময় বার করে ওম মন্ত্র উচ্চারণ করতে পারেন, তাহলে তো কাথই নেই। কারণ এমনটা করলে একদিকে যেমন শরীর এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, তেমনি গৃহস্তের অন্দরে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। শুধু তাই নয়, ওম মন্ত্র বলে চারিপাশে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে, ফলে মনের ছোট থেকে বড় সব ইচ্ছাই পূরণ হয় চোখের নিমেষে।  
৩. বৃহস্পতি মন্ত্র: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি বৃহস্পতিবার স্নান সেরে ২১ বার এই মন্ত্রটি জপ করলে লর্ড বৃহস্পতি বেজায় প্রসন্ন হন। ফলে শরীরের অন্দরে হিলিং পাওয়ার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে একদিকে যেমন রোগ-ব্যাধি ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না, তেমনি ভগবান বৃহস্পতির আশীর্বাদে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভের সম্ভাবনাও যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্র থেকে সমাজিক জীবন, সব ক্ষেত্রেই সম্মান বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। মন্ত্রটি হল- “ওম সুচিরমর্করা বৃহস্পতিম অধবার্সু নমস্তুতে!”
৪. শিব মন্ত্র: শাস্ত্র মতে প্রতিদিন শিব ঠাকুরের সামনে বসে এক মনে “ওম নম শিবায়”, এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করলে গৃহস্থের অন্দরে শুভ শক্তির প্রবেশ ঘটতে শুরু করে, যার প্রভাবে একদিকে শরীর যেমন রোগমুক্ত হয়ে ওঠে, তেমনি মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতেও সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন ধরুন-খারাপ শক্তির প্রভাবে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে, বাস্তু দোষ কেটে যায়, মনোবল বাড়ে, বাচ্চাদের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে এবং অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটার সম্ভাবনা যায় বেড়ে।
৫. মহর্ষি বশিষ্ঠ মন্ত্র: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন এক মনে মহর্ষি বশিষ্ঠ মন্ত্র পাঠ করলে শরীরের অন্দরের শক্তি এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। শুধু তাই নয়, এই মন্ত্রটি বাচ্চাদের কানে গেলেও সমান উপকার মেলে। সেই সঙ্গে শুভ শক্তির মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও যায় কমে। শুধু তাই নয়, মেলে আরও অনেক ধরনের উপকার। তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তা হল, এই মন্ত্রটি কম করে ২১ বার পাঠ করতে হবে, তবেই কিন্তু উপকার মিলবে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল- “ভয়ম বশিষ্টায়া নমহঃ”।  

Related Posts

Leave a Reply