May 21, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ধর্ম

এই চিহ্নগুলি লকেট হিসেবে পরে অপেক্ষা করুন মিরাক্কলের 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
শাস্ত্র মতে তামা, ব্রোঞ্জ, রুপো অথবা সোনার দিয়ে বানানো হারে এই বিশেষ ধরনের লকেটগুলি ঝুলিয়ে পরতে হবে। তবে তার আগে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, তা হল লকেটটি পরার আগে একবার ভগবানের পায়ে তা ছুঁইয়ে নিতে হবে। তাহলে হারটা এবং লকেটটা শুদ্ধ হয়ে যাবে। তারপর পরে ফেলতে হবে এবং অপেক্ষা করতে হবে মিরাকেলের! প্রসঙ্গত, যে যে চিহ্নগুলির লকেট বানিয়ে পরতে হবে, সেগুলি হল…
১. ওম: এই চিহ্নটি লকেট হিসেবে পরলে আমাদের চারিপাশে শুভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে সমৃদ্ধি রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে একদিকে যেমন কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের সম্ভাবনা যায় বড়ে, তেমনি চরম সফলতা লাভারের পথও প্রশস্ত হয়। তবে এখানেই শেষ নয়, বিশেষজ্ঞদের মতে “ওম” লকেটের শক্তিতে নেগেটিভ পাওয়ার দূরে পালাতে থাকে। ফলে একদিকে যেমন কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় কমে, তেমনি পরিবারের অন্দরে কোনও ধরনের অশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। 
২. তলোয়ার: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ছোট একটা তলোয়ারের লকেট পরলে মনের জোর বাড়তে শুরু করে। ফলে জীবন পথে চলতে চলতে সামনে আসা যে কোনও ধরনের বাঁধার পাহাড় সরিয়ে এগিয়ে যেতে কোনও সমস্যাই হয় না। সেই সঙ্গে আরও কিছু উপকার মেলে। যেমন ধরুন- পরিবারে সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে, সেই সঙ্গে কারও পক্ষেই আপনার ক্ষতি করা সম্ভব হয় না। শুধু তাই নয়, কারও কু-দৃষ্টির কারণে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে। 
৩. হাত: একেবারে ঠিক শুনেছেন, হাতের অবয়ব রয়েছে এমন লকেট পরলে পরিশ্রম করার ক্ষমতা বাড়ে। সেই সঙ্গে মনের জোরও বাড়তে শুরু করে। ফলে কর্মক্ষেত্রে সফলতার স্বাদ পেতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে হাতের ছাপ রয়েছে এমন লকেট পরলে হজরত মহম্মদের মেয়ে ফাতিমার আশীর্বাদ লাভ করা সম্ভব হয়। এই কারণেই তো এমন লকেট পরলে জীবনের ছবিটা বদলে যেতে সময় লাগে না।
৪. সোয়াস্তিকা: শাস্ত্র মতে সোয়াস্তিকার চিহ্ন, লকেট হিসেবে পরলে গণেশ দেবতার প্রবেশ ঘটে গৃহস্থে। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি লাভ করার সম্ভাবনা যেমন বেড়ে যায়, তেমনি কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতা লাভ করার পথও প্রশস্ত হয়। ফলে জীবন সুখে-শান্তিতে ভরে উঠতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, খারাপ শক্তির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচাতেও এই লেখায় বেজায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে এখানেই শেষ নয়, অনেকে এমনটা বিশ্বাস করেন যে সোয়াস্তিকা চিহ্ন সঙ্গে রাখলে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। আর এমনটা যখন হয়, তখন মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে যে সময় লাগে না, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই! 
৫. পুঁতির মালা: জপ করতে যে মালা ব্যবহার করা হয়, তা যদি পরতে পারেন, তাহলে একদিকে যেমন শরীরে খারাপ হওয়ার আশঙ্কা কমে, তেমনি খারাপ শক্তির হাত থেকেও রক্ষা মেলে। সেই সঙ্গে অশান্ত মন শান্ত হয়। ফলে সুখের সন্ধান পেতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে তুলসির মালা যেমন পরতে পারেন, তেমনি রুদ্রাক্ষ, চন্দন অথবা ঝিনুকের মালা পরলেও কিন্তু সমান উপকার পাওয়া যায়। 
৬. ত্রিশূল: এমন ধরনের লকেট পরলে ভগবান শিবের আশীর্বাদ মেলে। ফলে জীবনের ছবিটা বদলে যেতে সময় লাগে না। এক্ষেত্রে গুড লাক যেমন রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে, তেমনি মনের জোর বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, প্রতিপক্ষের মার থেকে বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও বাড়ে। সেই সঙ্গে গৃহস্থের অন্দরে উপস্থিত খারাপ শক্তির প্রভাবে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে।
৭. তীরের মাথা: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এমন ধরনের লকেট পরলে কু-দৃষ্টির কারণে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমতে থাকে, সেই সঙ্গে কোনও ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও কমে। ৮. মাছ: অল্প সময়ে অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতে চান নাকি? তাহলে বন্ধু মাছের লকেট পরুন। এমনটা করলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে জীবনে কোনও সময় অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও কমে। আসলে মাছের লকেট পরলে গৃহস্থের পরিবেশ এতটাই শুদ্ধ হয়ে ওঠে যে মা লক্ষী এবং কুবের দেবতার প্রবেশ ঘটে। ফলে জীবনে সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতে সময় লাগে না। 

Related Posts

Leave a Reply