May 11, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

মর্গে তরুণ কোন সুপুরুষের দেহ দেখলেই তরুণীর পোয়া বারো 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

ক্যারেন গ্রিনলের জীবন অপরাধ বিজ্ঞানীদের আছে গবেষণার আকর। কারণ ক্যারেন একজন শবকামী। যেখানে প্রতি ১০ জন শবকামী বা নেক্রোফিলিয়াকদের মধ্যে ৯ জনই পুরুষ‚ সেখানে ব্যতিক্রমী রেখাচিত্র ক্যারেনের আচরণ।

ক্যালিফর্নিয়ার ক্যারেন ছিলেন মর্গ-কর্মী। কাজ করতেন এমবামার হিসেবে। ১৯৭৯ সালে ধরা পড়েন ২২ বছর বয়সী ক্যারেন। প্রমাণ হয়‚ তিনি ৩৩ বছর বয়সী এক যুবকের দেহ নিয়ে পালিয়ে যান। মর্গ থেকে শেষকৃত্যে নিয়ে যাওয়ার বদলে ক্যারেনের গন্তব্য হয়ে যায় পাশের গ্রাম। সেখানে বেশ ক’দিন তিনি ওই শবের সঙ্গে ছিলেন|

পুলিশ তাকে জেরা করে জানতে পারে ততদিনে অন্তত ৪০টি শব নিয়ে গেছে সেখানে। সবকটি ক্ষেত্রেই শবগুলো ছিল তরুণদের। ক্যারেন অপেক্ষা করে থাকতো কবে মর্গে আসবে তরুণ সুপুরুষ কারো দেহ। এলেই কামতাড়িত হয়ে পড়তেন ক্যারেন।

চার পাতার এক স্বীকারোক্তিতে তিনি বলেছেন‚ শবকাম তার কাছে নেশার মতো। তিনি থাকতে পারেন না ওটি ছাড়া। মৃতদেহের গন্ধ তার খুব ইরোটিক বলে মনে হয়। নিজেকে তিনি বলতেন মর্গের ইঁদুর। আর নিথর দেহগুলো সেই ইঁদুরের গর্ত।

ক্যারেন যে সময় ধরা পড়েন‚ ক্যালিফর্নিয়ায় শবকাম দণ্ডনীয় অপরাধ ছিল না। ফলে শুধু মৃতদেহ চুরির দায়ে আর্থিক জরিমানা এবং ক’দিনের কারাদণ্ড হয় ক্যারেনের।

জেল থেকে বেরিয়ে ক্যারেন তখন কর্মহীন। তার দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নিয়ে বই লেখেন জিম মর্টন। নাম‚ Apocalypse Culture। তার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয় কয়েকটি সিনেমাও। কিন্তু হারিয়ে যান ক্যারেন।

শোনা যায়‚ নাম পাল্টে তিনি চলে যান ক্যালিফোর্নিয়া শহর ছেড়ে আমেরিকার অন্য কোথাও। লোকচক্ষুর অন্তরালে। নিজের অতীত নিয়ে তিনি অনুতপ্ত ছিলেন। কিন্তু ব্যাখ্যা করতে পারেননি কেন ওই প্রবণতা থেকে বের হতে পারেননি। এমনকী‚ ভবিষ্যতে ওই বিকৃতির হাত থেকে মুক্তি পাবেন কি না‚ তা নিয়েও নিশ্চিত হতেও পারেননি।
ক্যারেন অপেক্ষা করে থাকবে কবে মর্গে আসবে তরুণ সুপুরুষ কারো দেহ। এলেই কামতাড়িত হয়ে পড়তেন ক্যারেন। কিন্তু কেন? জানতেন না ক্যারেন নিজেই।

Related Posts

Leave a Reply