যদি জীবনকে সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরিয়ে তুলতে চান তাহলে প্রতিদিন এনার কপালে সিঁদুর লাগাতে ভুলবেন না
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
গণেশ ঠাকুর হলেন সমৃদ্ধির দেবতা। তাই তো দেবের মূর্তি বা ছবি বাড়িতে রেখে নিয়মিত যদি পুজো করা যায়, তাহলে গৃহস্থের অন্দরে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক উন্নতিও ঘটে চোখে পরার মতো। আর যদি “ওম গাম গনপাতায়ে নমহঃ”, এই মন্ত্রটি পাঠ করতে করতে দেবের আরাধনা করেন, তাহলে তো কথাই নেই! এখন প্রশ্ন হল, গণেশ ঠাকুরের পুজো করার সময় তাঁর কপালে সিঁদুর লাগালে কী কী উপকার পাওয়া যায়? শাস্ত্রে বলে বাপ্পার আরাধনা করার সময় লাল সিঁদুর নিবেদন করলে দেব বেজায় প্রসন্ন হন। সেই সঙ্গে গৃহস্তের অন্দরে শুভ শক্তির প্রভাব বেড়ে যাওয়ার কারণে কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চরম সফলতার স্বাদ পেতে অপেক্ষা করতে হয় না। তবে এখানেই শেষ নয়! এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বিশেষ কিছু দিনে যদি গণেশ ঠাকুরের সারা শরীরে সিঁদুর লাগানে যায়, তাহলে আরও উপকার মেলে। যেমন ধরুন…
১. যে কোনও ধরনের কষ্ঠ কমতে সময় লাগে না: শাস্ত্র মতে বুধবার গণেশ ঠাকুরের পুজো করার সময় তাঁকে যদি সিঁদুর পরানো যায়, তাহলে যে কোনও ধরনের কষ্ট কমে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে খারাপ সময়ও কেটে যায় চোখের পলকে। ফলে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে জীবনে। তাই তো বলি বন্ধু নানাবিধ সমস্যায় যদি জীবন দুর্বিসহ চেহারা নিয়ে থাকে, তাহলে এই নিয়মটি মেনে বাপ্পার আরাধনা করতে ভুলবেন না যেন!
২. রোগ-ব্যাধি দূরে পালায়: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে হলির পরের দিন বাপ্পার কপালে ভাল করে লাল সিঁদুর লাগিয়ে তাঁর আরাধনা করলে যে কোনও ধরনের শারীরিক কষ্ট কমে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে জটিল সব রোগ-ব্যাধির প্রকোপও কমে। ফলে আয়ু বাড়ে চোখে পরার মতো।
৩. অনেক অনেক টাকার মালিক হতে: অল্প সময়ে বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখেন নাকি? তাহলে নিয়মিত “সিন্ধুরন শ্বভূম রক্তবিন্দু শুভদন কামদন চাউ সি সিন্দুরন প্রতিঘরেতাম”, এই মন্ত্রটি পাঠ করতে করতে গণেশ ঠাকুরকে সিঁদুর নিবেদন করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এইভাবে দেবের আরাধনা করলে অর্থনৈতিক উন্নতির স্বাদ পেতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই নিয়মটি মেনে দেবের পুজো করলে গণেশ ঠাকুর বেজায় প্রসন্ন হন। ফলে মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতেও সময় লাগে না।
৪. কর্মজীবনে সফলতা পেতে: প্রতিদিন গণেশ ঠাকুরের পুজো করার সময় একটা সোনার বা রূপোর কয়েনে ঘি এবং সিঁদুর লাগালে কর্মিজীবনে উন্নতি লাভ করতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মাইনেও বাড়ে চোখে পরার মতো। শুধু তাই নয়, এমনটা করলে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির প্রভাব এতটা বেড়ে যায় যে কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। প্রসঙ্গত, প্রতিদিন এই নিয়মটি মেনে চললে মনের মতো চাকরি পেতেও সময় লাগে না। তাই যারা চাকরির খোঁজে রয়েছেন, তারা গণেশ ঠাকুরের পুজো শুরু করুন, সেই সঙ্গে অল্প পরিমাণ সিঁদুরে পরিমাণ মতো ঘিতে মাখিয়ে সোনার কয়েনে লাগাতে থাকুন। দেখবেন মনের ইচ্ছা পূরণ হবেই হবে!
৫. খারাপ শক্তি দূরে পালায়: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে দেবের আরাধনা করার সময় তাঁকে সিঁদুর নিবেদন করে যদি তিনবার শঙ্খ বাজানো যায়, তাহলে গৃহস্থের অন্দরে উপস্থিত খারাপ শক্তি দূরে পালাতে শুরু করে। ফলে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি পরিবারে কোনও বিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়।
৬. গণেশ ঠাকুরকে প্রসন্ন করতে: গণেশ ঠাকুর কলা খুব পছন্দ করেন। তাই তো তাঁর পুজো করার সময় কলায় অল্প পরিমাণ সিঁদুর লাগিয়ে দেবের সামনে রাখলে তিনি বেজায় প্রসন্ন হন। আর একবার গণেশ ঠাকুরের মন জয় করে নিলে কী কী সুফল মিলতে পারে, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না!
৭. সাদা ফুল এবং সিঁদুর: শাস্ত্র মতে গণেশ ঠাকুর যদি কারও গৃহস্থের অন্দরে প্রবেশ করেন, তাহলে বাস্তু দোষ কেটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে বাড়ির প্রতিটি কোণায় সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি তো ঘটেই, সেই সঙ্গে ছোটরা পড়াশোনায় বেজায় উন্নতি লাভ করে, বাদ পরেন না বড়রাও, বাপ্পার আশীর্বাদে সফলতা রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে জীবন সুখে-সান্তিতে ভরে উঠতে সময় লাগে না। কিন্তু প্রশ্ন হল বাপ্পার মন জয় করা যায় কীভাবে? এক্ষেত্রে প্রতিদিন দেবের আরাধনা করার সময় সাদা ফুলে সিঁদুর লাগিয়ে ঠাকুরকে নিবেদন করতে হবে। তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে!