May 15, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

কি চাই ডাইনোসরের দাঁত কিংবা দুই মাথার বাছুর, সবই পাবেন এই দোকানে 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

দেখলেই লোভ আসে এমন গোলাপী ললিপপের ভেতরে চোখ পড়লে হয়তো অন্তরাত্মা কেঁপে উঠবে। ভেতরে আস্ত এক স্করপিয়ন। আশপাশে আরো আছে প্রমাণ সাইজের একটা কঙ্কাল। আরো আছে রেজিনে সংরক্ষিত প্রজাপতি। 

একুটু বয়ানে মনে হতেই পারে যে এটা কোনো জাদুঘর বা ন্যাচারাল হিস্ট্রি সংরক্ষণের কোনো  প্রতিষ্ঠান। আসলে এটা একটা দোকান। বিবর্তনের দোকান যেখানে এ ধরনের জিনিসপত্র বিক্রি হয়। বিজ্ঞান ও শিল্পকর্মপ্রেমীদের স্বর্গ। নিউ ইয়র্ক শহরের গ্রিনউইচ ভিলেজে অবস্থিত। আবার অসংখ্য পর্যটক এবং স্থানীয়রা অহরহ আসেন স্রেফ কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে। 

নিউ ইয়র্কে নামি-দামি ব্র্যান্ডের চেইন শপে ভরে যাচ্ছে চারদিক। কিন্তু ‘এভোলুশন স্টোর’টি এক পরিবারের ব্যবসা হিসেবে অনন্য বৈশিষ্ট্য নিয়ে টিকে রয়েছে। তবে অন্যদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাওয়া কঠিন। তবে নিজ বৈশিষ্ট্যে তা উজ্জ্বল। 

ডাইনোসরের দাঁত লাগবে?
এই স্টোরের প্রেসিডেন্ট জুলিয়ানা স্টিভেন্স বলেন, সম্ভবত আমরা ফ্রেম করা পতঙ্গের জন্যে বিখ্যাত। বাগ ক্যান্ডিগুলো ক্লাসিক। একটি বয়ামের মধ্যে হাঙর, পিরানহা, কচ্ছপের খোলস, অ্যালিগেটরের মাথা বা রেকুনের যৌনাঙ্গের হাড় এখানকার অসাধারণ সব সংগ্রহ। উ

১৯৯৩ সালে এ ধরনের ব্যবসা গড়ে তুলেছিলেন তার বাবা উইলিয়াম ‘বিল’ স্টিভেন্স। এই ছোটবেলা থেকেই জুলিয়ানা এখানে কাজ করে। সেই সময় থেকেই তিনি এ ব্যবসার ‘শিশু দূত’ এর দায়িত্ব পালন করছেন। যদিও তিনি বড় হয়ে মনোবিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করেছেন এবং থেরাপিস্ট হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পরিবারের এমন ভিন্ন প্রকৃতির ব্যবসার কাজটাকেও এড়িয়ে যেতে পারেন না। 

এই দোকানে একবার গেলে মনেই হবে না যে আপনি কোনো শো রুমে এসেছেন। মনে হবে কোনো প্রতিবেশীর সংগ্রহশালা। জাদুঘরের মতো এসব জিনিস কাচের বাক্সে বন্দি থাকে না। কেউ চাইলে তা স্পর্শ করেও দেখতে পারে। এই জিনিসগুলো আগতদের কেবল পণ্য নয়, বিস্তর শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতা প্রদান করে যাচ্ছে। এমনকি অনেকই আসেন কেবল দেখতে। তারা কোনো পণ্য কেনেন না। কিন্তু এখানে এসে ছবি তোলেন এবং পণ্যের ছবি তুলে তাদের সোশাল মিডিয়ায় দিয়ে দেন। এতেই অনেক মার্কেটিং হয়। 

আবার অনেক সিনেমা বা টিভি শো এর কাজে এমন জিনিস দরকার হয় যার দেখা সহজে মেলে এভোলুশন স্টোরে। এখানে অনেক নামকরা তারকাও এসেছিলেন পছন্দের জিনিসটি খুঁজতে। ‘সপরানোস’ তারকা জেমস গ্যান্ডলফিনি এসেছিলেন বিশেষ একটি মাছ কিনতে যা এর পরিচালককে উপহার দেবেন। আবার ডিজে ডেডমাও৫ এসেছিলেন তার বাসার জন্যে দুই মাথার বাছুর খুঁজতে। এসবই অবশ্য স্টাফ করা জিনিস। 

Related Posts

Leave a Reply