May 10, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

OMG : দেড়শ বছরেও ‘স্বাভাবিক’ তাদের দেহ!

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

কেবল মমি করে রাখলেই যে মরদেহ ‘অমরত্ব’ লাভ করে, তা কিন্তু নয়। অনেক সময় প্রাকৃতিকভাবেও মরদেহ মমি করে রাখা যায়। মেক্সিকোর গুয়ানাহুয়াতো শহরে ‘স্বাভাবিক’ একশ ১১টি মমি তারই উদাহরণ।

গুয়ানাহুয়াতোর মমি মিউজিয়ামের খ্যাতিই এই একশ ১১টি মমির কারণে। কী করে এবং কোথায পাওয়া গেল এই একশ ১১টি মমি?

মেক্সিকোর প্রাচীন আজটেক সভ্যতায় মমি করার প্রচলন ছিল। তা নিয়ে গল্প-উপন্যাসও লেখা হয়েছে। কুন্তু গুয়ানাহুযাতোর এই মমিগুলি মোটেও আজটেক সভ্যতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়।

এই একশ ১১টি মমি কোনো প্রত্নক্ষেত্র থেকে আমদানি করাও হয়নি। এরা সবাই স্থানীয় মানুষ এবং এদের মমি করা হয়েছিল ১৮৩০ এর দশকে।

১৮৩৩ সালে গুয়ানাহুয়োতোয় কলেরা মহামারী আকারে দেখা দেয়। এত বেশি মানুষ এতে মারা যেতে থাকে যে, তাদের কবর দেওয়া দায় হয়ে পড়েছিল। কলেরা প্রতিরোধের কারণেও মরদেহ দ্রুত সৎকার করাটা জরুরি ছিল। কিন্তু বাধ সাধতে শুরু করে সেই শহরের বারিয়াল ট্যাক্স। কবর দিতে গেলে কবরখানা কর্তৃপক্ষকে একটা মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হতো মৃতের পরিবারকে।

সেই টাকা একবারে অথবা বাৎসরিক কিস্তিতে দেওয়া যেত। কিন্তু যারা দিতে অক্ষম, তাদের প্রিয়জনের মৃতদেহ নিয়ে পড়তে হতো বিপাকে। যারা বেশি টাকা দিতে পারত, তাদের পরিজনের মৃতদেহ কবরের জায়গা করে দেওয়া হতো যারা টাকা দিতে পারেনি, তাদের পরিজনের কবর সরিয়ে।

এই সময়ে লোমিঙ্গো লেরয় নামের এক চিকিৎসক মারা যান। তার মরদেহ কবর থেকে তুলে অন্যজনের দেহ সেখানে কবর দেওয়ার জায়গা করে দিতে হয়। কবর থেকে তোলার পরে দেখা যায়, তার মরদেহ প্রায় অবিকৃত অবস্থায় রয়েছে। এর পরে ওই কবরখানা থেকে আরো মরদেহ তুলে দেখা যায়, অনেক মরদেহই অবিকৃত অবস্থায় থেকে গেছে। এই মরদেহগুলো নিয়েই গড়ে ওঠে গুয়ানাহুয়াতোর মমি মিউজিয়ামের সংগ্রহ।

কী কারণে এই মরদেহগুলোতে পচন ধরেনি, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা আজও তেমন কোনো সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। রে ব্র্যাডবেরির মতো যুগন্ধর সাহিত্যিক গুয়ানাহুয়াতোর এই মমিদের নিয়ে লিখেছেন ‘দ্য নেক্সট ইন লাইন’-এ মতো বিখ্যাত ছোটগল্প। মমি মিউজিয়ামকে তার সিনেমায় স্থান দিয়েছেন জার্মান পরিচালক ওয়ার্নার হারজগ। 

Related Posts

Leave a Reply