July 5, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

বাঁচতে হবে তাদের ৬ঠিক করা এই ৭ সেকেন্ডেই 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

ক গবেষণায় জানা যায় যে, ‘পরবর্তী টার্গেট নির্ধারণে দুর্বৃত্তদের ৭ সেকেন্ডের কম সময় লাগে।’ আপনি লম্বা না খাটো, স্বাস্থ্যবান নাকি স্বাস্থ্যহীন, শক্তিশালী না দুর্বল এর কোনোটিই তাদের কাছে মুখ্য নয়। একজন বিশেষজ্ঞের মতে, আপনার হাঁটার ধরনের ওপর আপনার নিরাপত্তা নির্ভর করে।
ডিফেন্ড ইউনিভার্সিটি অর্গানাইজেশন এর একজন আত্মরক্ষা বিশেষজ্ঞ স্টিভ কার্ডিয়ান বলেন, ‘আপনার শারীরিক ভাষাই দুর্বৃত্তদের কাছে টার্গেট হিসেবে আপনি কেমন সেটা জানিয়ে দেবে।’ আর এসব কিছুর মধ্যে আপনার হাঁটার কৌশল কেমন বা আপনি কিভাবে হাঁটেন সেটা সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করে।
কার্ডিয়ান বলেন, যখন আপনি রাস্তায় হাঁটবেন তখন জোরালো এবং গতিশীল পদক্ষেপে হাঁটুন যেটা আপনার হাঁটার দৃঢ়তা ও আত্মবিশ্বাসকে প্রকাশ করবে। আপনার শরীরের তুলনায় আপনার দুই পা ফেলার মধ্যবর্তী জায়গা মাঝামাঝি থাকবে এবং আপনার হাত এবং পা স্বাভাবিক তালে দুলতে থাকবে।
শারীরিক উপস্থাপন এবং হাঁটার গতিও প্রভাব বিস্তার করে। হাঁটার সময় আপনার চিবুক উন্মোচিত রাখুন, মেরুদণ্ড সোজা রাখুন এবং কাঁধ স্বাভাবিক অবস্থানে রাখুন। যদি আপনি সামনের দিকে ঝুঁকে পড়েন তাহলে তা আপনার দুর্বলতা বা ভয়কে প্রকাশ করবে।
হাঁটার সময় আশেপাশের পথচারীদের গতির সঙ্গে মিলিয়ে হাঁটলে আপনি সহজেই ভিড়ের মধ্যে মিশে যেতে পারবেন। আপনি যদি একটু বেশি গতিতেও হাঁটেন সেটাও আপনার ব্যাপারে ইতিবাচক দিক তুলে ধরবে। বুঝাবে আপনি শক্তিশালী এবং অ্যাথলেটিক।
সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আপনার আশেপাশের পরিবেশ পরিস্থিতি লক্ষ্য করুন, কিছু নোট নিয়ে নিন। এমন পদক্ষেপ পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনার সতর্কাবস্থান অন্যের কাছে তুলে ধরবে। সবচেয়ে জরুরি যেটি তা হল, আপনাকে টার্গেট করার ব্যক্তিটি তখন আপনার ব্যাপারে সতর্ক হয়ে যাবে।
হাঁটার সময় পদক্ষেপের মাঝে বৈচিত্র্যতা পরিহার করুন। খুব বেশি বড় পদক্ষেপে হাঁটা যাবে না আবার খুব ছোট পদক্ষেপেও হাঁটা যাবে না। একইভাবে হাঁটার চেষ্টা করুন। আপনার আগের পদক্ষেপ আপনাকে শক্তিশালী কিংবা সতর্ক প্রমাণ করলেও পরের পদক্ষেপে আপনার দুর্বলতা কিংবা ভয়কে প্রকাশ করতে পারে। হাঁটার সময় মাথা নীচু করে হাঁটা আপনার পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনার অজ্ঞতাকে প্রকাশ করে। সেই সঙ্গে কোনো বিপদে পড়লে সেই বিপদ মোকাবেলা করার অক্ষমতকেও প্রকাশ করে। এ ধরনের আচরণ আপনাকে আপনার আশেপাশে অবস্থান করা কোনো দুর্বৃত্তকারীকে আকর্ষণ করতে পারে।
বিজ্ঞানেও এই বিষয়টি প্রমাণিত। ১৯৮১ সালে পরিচালিত এক গবেষণায় কয়েদিদেরকে ১ থেকে ১০ এর স্কেল এর ভিতরে পদচারীদের টার্গেট হিসেবে নির্ধারণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সব কয়েদিই এমন ব্যক্তিদেরকে টার্গেট করেছিল যাদের হাঁটার ধরনে দুর্বলতা ছিল।
সব কথার শেষ কথা : রাস্তায় চলাচলের সময় চোখ কান খোলা রাখুন। আশেপাশে দেখে শুনে চলাফেরা করুন। এই নিয়ম এর পাশাপাশি যেসকল টিপস ব্যাখ্যা করা হয়েছে সেগুলো মেনে চলুন। তাহলে অন্যান্য আর ১০ জনের থেকে আপনি আরো এক ধাপ বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে রাস্তায় চলাফেরা করতে পারবেন।

Related Posts

Leave a Reply