May 18, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

আজব ! হাতে কামড়ে, সিংহ  মেরে প্রেমের জানান 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

ভালবাসা নেই পৃথিবীতে এমন দেশও নেই। ভালবাসা আছে সারা বিশ্বেই। তবে সব দেশের প্রেম নিবেদনের ধরণটা একরকম নয়। দেশ ভেদে প্রেম প্রস্তাবের ব্যতিক্রম কিছু রীতি এখানে তুলে ধরা হয়েছে-

হল্যান্ড: হল্যান্ডে প্রেম প্রস্তাবের বিষয়টি খুবই অদ্ভুত। ধরুন আপনি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। এমন সময় যদি রাস্তার পাশের কোনো বাড়ির জানালায় গোলাপ ফুল রাখা আছে দেখতে পান তাহলে বুঝবেন এই বাড়ির মেয়েটি আপনার প্রেমের প্রস্তাবের জন্য অপেক্ষা করছে।

ব্রিটেন: ব্রিটেনে আপনি যাকে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিপদে পড়তে পারেন। কারণ ব্রিটেনের মেয়েরা তাদের প্রেমের বিষয়টি পোশাকের রঙের মাধ্যমে প্রকাশ করে। যেমন – যারা প্রেম বা বিয়েতে রাজি আছে তারা সবুজ রঙের পোশাক পরে। যারা মাঝামাঝি অবস্থানে থাকেন তারা হলুদ রঙের পোশাক পরে। আর যাদের এসব বিষয়ে কোনো আগ্রহই নেই তারা লাল রঙের পোশাক পরে। এসব বুঝেই সেখানকার ছেলেরা প্রেম প্রস্তাব দিয়ে থাকে।

মেক্সিকো: মেক্সিকোতে বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে মেয়েদের প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া হয়। ধরুন আপনি মেক্সিকোর মেয়ের প্রেমে পড়েছেন। এখন আপনাকে মেয়ের ঘরের জানালার কাছে দিয়ে বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে সুর তুলতে হবে। আপনার এই সুরে যদি মেয়েটি সাড়া দেয় তাহলে বুঝবেন মেয়েটি আপনার প্রেমে সাড়া দিয়েছে। যদি সহজে সাড়া না মেলে তাহলে সারা রাত দাঁড়িয়ে একটানা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে যায় এমন নজিরও আছে।

আফগানিস্তান:আফগানিস্তানের কিছু উপজাতি এলাকার ঐতিহ্য অনুযায়ী একটি ছেলে যখন একটি মেয়েকে ভালোবার প্রস্তাব দিতে চায়, তখন ছেলেটি মেয়ের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আকাশের উদ্দেশ্যে গুলি ছুড়তে থাকবে, এর অর্থ হল আমি তোমাকে ভালোবাসি। কিন্তু এটা শুনতে বেশ একটু আতংকজনক বলেই মনে হয়।

ট্রোবিয়্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ : এ দ্বীপপুঞ্জের মেয়েরা কোন ছেলেকে পছন্দ করলে সে সজোরে পছন্দের ছেলেটির হাতে কামড় দেয় যত জোরে কামড় তত গভীর প্রেম। অর্থাৎ মেয়েটি ছেলেটিকে ভীষণ ভালোবাসে।

কঙ্গো: সেখানকার ছেলেরা পছন্দের নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় একটি ঝলসানো পাখি উপহার দেয়ার মাধ্যমে। এ সময় মেয়েটিকে বলতে হয়, এ পাখি আমার নিজের শিকার করা। প্রস্তাবে মেয়েটি রাজি থাকলে একটি সেদ্ধ ভুট্টা উপহার দিয়ে বলে, এ ভুট্টা আমার চাষ করা। অর্থাৎ তার শিকার ও চাষে পারদর্শী। ফলে বিয়ে করতে পারে।
তাঞ্জানিয়া: তাঞ্জানিয়ার কিছু সংখ্যালঘু জাতির ঐতিহ্য অনুযায়ী কোনো ছেলে যদি তার প্রেমিকাকে খুঁজতে চায়, তাহলে তাকে প্রথমে সিংহর মতো বড় এবং বিপদজনক কোনো পশুকে হত্যা করতে হয়, এর মানে প্রেমের জন্য তার সাহসের প্রকাশ করতে হয়, যেন মেয়েটি তার সাহস দেখে তাকে ভালোবাসে।

Related Posts

Leave a Reply