May 20, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

৯ জনের আত্মহত্যা : পাপ লুকোতে সঞ্জয়ের কর্ম চমকে দিল দুঁদে কর্তাদেরও  

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :

জনের গণ আত্মহত্যা যে এই রূপ নিতে পারে ভাবতে পারেননি দুঁদে পুলিশ কর্তারাও। তেলেঙ্গানার  সেই ৯ সদস্যের কুয়োয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার জোট খুলতেই চমকে গেলেন তারা। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল, করোনা লকডাউনে কর্মহীন, টানা দু’মাস বেতন বন্ধ। অভাব-মানসিক যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে পরিবারের গণ-আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেন মুহাম্মদ মাকসুদ ও তার পরিবারের ৬ সদস্যসহ অন্তত ৯ জন। কিন্তু বাস্তবতা কিন্তু একদম উল্টো।

সম্প্রতি কুয়া থেকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা মুহাম্মদ মাকসুদ ও তাঁর পরিবারের সব সদস্যের দেহ উদ্ধার হয়। তিনি শ্রমিকের কাজ করতেন তেলেঙ্গানায়। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু পরে জান যায়, আসলে অন্য এক শ্রমিক তাদের খুন করেছে। আরো একটি খুনের ঘটনা ঢাকতে গিয়েই এই খুন বলে মনে করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এই ঘটনায় সঞ্জয় কুমার যাদব নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আটক ব্যক্তির বয়ান অনুসারে ওই ব্যক্তি মোট ১০ জনকে খুন করেছে। জানা গেছে হত্যাকারী বিহারের বাসিন্দা। মৃতদের সকলকেই খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিলো। মৃতদের মধ্যে দুই মহিলা এবং এক শিশু ছিল। এদের সকলের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল গোরেকুন্তা গ্রামের পরিত্যক্ত এক কুয়োর মধ্যে।

পুলিশের বক্তব্য অনুসারে, আটক সঞ্জয়ের সঙ্গে এক মহিলার সম্পর্ক ছিল। মাক্সুদ-এর আত্মীয়া ওই মহিলা স্বামী পরিত্যক্তা হয়ে তিন সন্তান সহ ওখানেই থাকতেন এবং চটের ব্যাগ কোম্পানীতে কাজ করতেন। পরবর্তী সময়ে ওই মহিলার ১৫ বছর বয়সী মেয়ের দিকে সঞ্জয়ের কুনজর পড়ে। এরপরই ওই মহিলা নিজের মেয়েকে রক্ষা করার জন্য সঞ্জয়কে বিয়ের চাপ দিতে শুরু করেন। এরপরই সঞ্জয় ওই মহিলাকে কলকাতা নিয়ে যাবার নাম করে রাস্তায় খুন করে ট্রেনলাইনের ধারে মৃতদেহ ফেলে দিয়ে ফের ফিরে আসে।

এই ঘটনায় অন্যদের সন্দেহ হতে তারা সঞ্জয়কে চেপে ধরে এবং পুলিশে অভিযোগ জানানোর কথা বলে। এরপরেই সঞ্জয় ২০ তারিখ রাতে সকলের খাবারের সঙ্গে কড়া ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয় এবং গভীর রাতে মৃতদেহগুলো এক এক করে ওই পরিত্যক্ত কুয়োর মধ্যে ফেলে দেয়।

Related Posts

Leave a Reply