May 16, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

শীঘ্রই করোনা শীর্ষে পৌঁছবে ভারতে : দৈনিক ৩ লাখের ভয়াবহ পূর্বাভাস এমআইটি’র   

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

টিকা না এলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ভারতে প্রতি দিন প্রায় তিন লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হতে পারে করোনায়। এখনকার পরিস্থিতি না বদলালে বিশ্বে করোনা আক্রান্ত দেশগুলির তালিকায় শীর্ষে পৌঁছে যাবে ভারত। পিছনে ফেলে দেবে আমেরিকা, ব্রাজিল, রাশিয়াকে। পরিস্থিতিটা সবচেয়ে খারাপ জায়গায় পৌঁছবে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে। করোনা নিয়ে ভারতের জন্য এই উদ্বেগের কথাই শোনাল ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি)।

৮৪টি দেশে বিশ্বের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের উপর সমীক্ষা চালিয়ে ভারতের পক্ষে রীতিমতো উদ্বেগজনক এই পূর্বাভাস দিয়েছে এমআইটি-র স্লোয়ান স্কুল অফ ম্যানেজমেন্ট। জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণে আরও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি দেখা দেবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আমেরিকায়। আগামী ৮ মাসে। গবেষকদের পূর্বাভাস, কোনও কার্যকরী টিকা না বের হলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতে করোনায় আক্রান্ত হবেন দৈনিক ২ লক্ষ ৮৭ হাজার মানুষ। আর আগামা মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে গোটা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছবে ২০ থেকে ৬০ কোটির মধ্যে।

যদিও কলকাতার চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞদের একাংশ এমআইটি-র এই সমীক্ষাকে ততটা গুরুত্ব দিতে রাজি হচ্ছেন না। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বিশ্বাস বলছেন, ‘‘আমি এমআইটি-র অঙ্ক কষে একটা সংখ্যা বলে দেওয়াকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।আমাদের দেশের সরকার প্রয়োজন হলে কিছু ব্যবস্থা নেবেন এই রোগ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। তার ফলে, এমআইটি-র হিসাব মিলবে না বলেই আমার বিশ্বাস।আগামী দিনে দেশে কোভিড পরীক্ষাকেন্দ্র অনেক বাড়বে। প্রয়োজনে আরও অনেক কোভিড হাসপাতাল হবে| এই সমীক্ষায় মানুষ অযথা আতঙ্কিত হয়ে পড়বেন।’’

এমআইটি-র স্লোয়ান স্কুল অফ ম্যানেজমেন্টের গবেষকরা এই সমীক্ষা চালাতে গিয়ে দু’টি বিশেষ মডেল ব্যবহার করেছেন। একটি, ‘এসইআইআর (সাসেপ্টেব্‌ল, এক্সপোজ্‌ড, ইনফেকশাস, রিকভার্ড)’। অন্য মডেলটি পুরোপুরি গাণিতিক। কোনও সংক্রামক ব্যাধির সংক্রমণ কতটা হতে পারে, তার আঁচ পেতে যে মডেলটি আকছারই ব্যবহার করে থাকেন এপিডিমিয়োলজিস্টরা।

এমআইটি-র সমীক্ষা জানিয়েছে, টিকা না বেরলে আগামী ফেব্রুয়ারির শেষাশেষি দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় বিশ্বের সব দেশকেই টপকে যাবে ভারত। তার ঠিক পরেই থাকবে আমেরিকা। ওই সময় আমেরিকায় করোনায় দৈনিক আক্রান্ত হবেন ৯৫ হাজার মানুষ। দক্ষিণ আফ্রিকায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা হবে ২১ হাজার। আর ইরানে ১৭ হাজার এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৩ হাজার।

এই পূর্বাভাস করতে গিয়ে গবেষকরা তিনটি সূচকের কথা মাথায় রেখেছিলেন।

প্রথমত, এখন কী হারে কোভিড পরীক্ষা হচ্ছে আর তার ফলাফল কী?

দ্বিতীয়ত, জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে যদি কোভিড পরাক্ষার হার দিনে ০.১ শতাংশ বাড়ে, তা হলে কী হবে?

তৃতীয়ত, কোভিড পরীক্ষার হার যদি এখনকার মতোই থাকে আর যদি এক জন সংক্রমিত সর্ববাধিক আরও ৮ জনকে সংক্রমিত করেন, তা হলে কী হবে?

Related Posts

Leave a Reply